দেশে উন্নয়ন ও গণতন্ত্র কোনোটিই নেই বলে মন্তব্য করেছেন নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না।
তিনি বলেন, ‘দেশে অনেকে বলে গণতন্ত্র নেই, তবে উন্নয়ন তো হচ্ছে। আমি বলি দেশে কোনো উন্নয়নই হচ্ছে না আর গণতন্ত্র তো নাই-ই।’
বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের (বিএফইউজে) সাবেক সভাপতি ‘রুহুল আমিন গাজীর নিঃশর্ত মুক্তি ও সব সাংবাদিকের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রমূলক মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারে’র দাবিতে আয়োজিত এক বিক্ষোভ সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন।
বৃহস্পতিবার দুপুর ১টার দিকে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে এই বিক্ষোভ সমাবেশ করে বাংলাদেশ মফস্বল সাংবাদিক অ্যাসোসিয়েশন (বিআরজেএ)।
এ সময় মাহমুদুর রহমান মান্না বলেন, ‘অনেকে উন্নয়নের কথা বলেন। উন্নয়ন যদি হয় তাহলে গত এক-দেড় বছরে দুই কোটি লোক দরিদ্র হয়েছে। কয়টা লোকের চাকরি হয়েছে? কয়টা কারখানা হয়েছে? কেবল মেগাপ্রজেক্ট কয়েকটা হচ্ছে যেখান থেকে এরা লুট করতে পারে।
‘১০ হাজার কোটি টাকার প্রজেক্টে ৬০ হাজার কোটি যায়। এরা লুটেরা, এরা ভোট ডাকাত, এরা জুলুমবাজ। এরা মানুষের অধিকারে বিশ্বাস করে না, সাংবাদিকদের লেখার অধিকারেও বিশ্বাস করে না।’
গণতন্ত্রের বিষয় উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘তাদের (সরকার) বলি একবার বিবেচনা দেখান, দয়া দেখান, আপনারা গণতন্ত্রে বিশ্বাস করেন। মানুষের বাক্স্বাধীনতায় বিশ্বাস করেন।’
মান্না বলেন, ‘স্বাধীনতার উষালগ্ন থেকে তারা (সরকার) যখন ক্ষমতায় গেছে তখন থেকেই গণতন্ত্রকে হত্যা করেছে। এখন আবার কেউ যখন গণতন্ত্রের কথা বলে তাদের টুঁটি চেপে ধরছে, এই হলো তাদের অবস্থা।’
রুহুল আমিন গাজীর মুক্তি দাবি করে মান্না বলেন, ‘একজন মুক্তিযোদ্ধাকে সম্মান দেখাননি, মামলার ভিত্তি নেই, জামিন পাবার অধিকার রাখেন, কিন্তু জামিন দিবে না। এভাবে সব সাংবাদিক বিশেষ করে প্রতিবাদী সাংবাদিক ও লেখকদের লেখা বন্ধের পাঁয়তারা হচ্ছে। যারা গণতন্ত্র ও বাক্স্বাধীনতায় বিশ্বাস করে, তাদের দাবির প্রতি আমিও সমর্থন জানাই। মুক্তির দাবি জানাই।’
সমাবেশে আরও বক্তব্য দেন বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের (বিএফইউজে) সাবেক সভাপতি নুরুল আমিন রুকন, সাধারণ সম্পাদক এম আব্দুল্লাহ, ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি কাদের গণি চৌধুরী, দৈনিক নয়া দিগন্তের সম্পাদক আলমগীর মহিউদ্দিনসহ অনেকে।