বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

দেশে ব্যবসার পরিবেশ উন্নত হচ্ছে, বলছে গবেষণা

  •    
  • ৭ অক্টোবর, ২০২১ ২৩:২৭

১০টি সূচকের মানদণ্ডের ভিত্তিতে প্রতিবেদনটি তৈরি হয়েছে। মোট ১০০ পয়েন্টের ভিত্তিতে তৈরি এই সূচকে ব্যাবসায়িক পরিবেশকে চারটি ভাগে ভাগ করা হয়েছে।

বাংলাদেশে ব্যবসার পরিবেশ উন্নত হচ্ছে বলে দেশীয় এক গবেষণা প্রতিবেদনে বলা হয়েছে।

মেট্রোপলিটন চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (এমসিসিআই) এবং গবেষণা সংস্থা পলিসি এক্সচেঞ্জ বাংলাদেশ (পিইবি) যৌথভাবে দেশে প্রথমবার এ ধরনের ব্যাবসায়িক পরিবেশের সূচক তৈরি করেছে।

বৃহস্পতিবার ‘বাংলাদেশ বিজনেস ক্লাইমেট ইনডেক্স’ বা ‘বিবিএক্স’ শিরোনামে প্রতিবেদনটি আনুষ্ঠানিকভাবে প্রকাশ করা হয়। এতে দেখা গেছে, ব্যাবসায়িক পরিবেশ সূচকে বাংলাদেশের পয়েন্ট ৬১ দশমিক ০১। এই সূচকের আলোকে বলা হয়েছে, বাংলাদেশের ব্যবসার পরিবেশ উন্নতির দিকে এবং ভবিষ্যতে আরও উন্নতির সুযোগ আছে।

ব্যবসা শুরু, জমির সহজলভ্যতা, অবকাঠামো, কর পরিশোধসহ ১০টি সূচকের মানদণ্ডের ভিত্তিতে প্রতিবেদনটি তৈরি করা হয়েছে। মোট ১০০ পয়েন্টের ভিত্তিতে তৈরি এই সূচকে ব্যাবসায়িক পরিবেশকে চারটি ভাগে ভাগ করা হয়েছে। এ অনুযায়ী ব্যাবসায়িক পরিবেশের পয়েন্ট ০ থেকে ২০ হলে ব্যবসার পরিবেশ খুব কঠিন। পয়েন্ট ২১ থেকে ৪০ হলে ব্যাবসায়িক পরিবেশে মারাত্মক প্রতিকূলতা আছে। আর ৬১ থেকে ৮০ হলে ব্যবসার পরিবেশ উন্নতির দিকে এবং ৮১ থেকে ১০০ পয়েন্টের মধ্যে থাকলে দেশে ব্যবসা সহায়ক পরিবেশ বিরাজ করছে বলে ধরা হয়েছে।

এ ক্ষেত্রে বাংলাদেশের ব্যাবসায়িক পরিবেশ তৃতীয় ভাগে অবস্থান করছে। অনলাইন প্ল্যাটফর্মে এই প্রতিবেদনটি উপস্থাপন করেন পলিসি এক্সচেঞ্জ বাংলাদেশের ড. এম মাশরুর রিয়াজ।

প্রতিবেদন প্রকাশ উপলক্ষে এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প বিনিয়োগ উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান।

ব্যবসার পরিবেশের ওপর এত দিন বিশ্বব্যাংক ডুয়িং বিজনেস রিপোর্ট প্রকাশ করে আসছিল। কিন্তু সাম্প্রতিক সময়ে এই রিপোর্টের বিষয়ে পক্ষপাতিত্ব ও অনিয়মের অভিযোগ ওঠে। ফলে ডুইং বিজনেস রিপোর্ট আর প্রকাশ না করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সংস্থাটি।

মেট্রোপলিটন চেম্বার ও পিইবি বাংলাদেশের ব্যবসার পরিবেশ নিয়ে কাজ করে আসছে গত ডিসেম্বর থেকে। বৃহস্পতিবার আনুষ্ঠানিকভাবে তারা প্রথমবারের মতো প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে সালমান এফ রহমান বলেন, ‘এই সূচক শুধু ঢাকা ও চট্টগ্রাম নয়, সত্যিকার অর্থেই পুরো বাংলাদেশের ব্যাবসায়িক পরিবেশকে তুলে ধরেছে।’

তিনি আশা করেন, বিশদ ও কার্যকর গবেষণা পদ্ধতির কারণে এই সূচক শিগগিরই বৈশ্বিক উদ্যোক্তাদের মাঝে গ্রহণযোগ্যতা পাবে।

বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ-বিডার নির্বাহী চেয়ার‌ম্যান মো. সিরাজুল ইসলাম বলেন, ‘বিশ্বব্যাংক তাদের প্রতিবেদন প্রকাশ বন্ধের ঘোষণা দিলেও দেশের ব্যবসার পরিবেশ সহজ করতে সংস্থাটির কার্যক্রম অব্যাহত আছে।’

এমসিসিআই ও পিইবির ব্যাবসায়িক পরিবেশ সূচক তৈরির উদ্যোগ বিডার কার্যক্রমে আরও গতি আনবে বলে আশ্বাস দেন তিনি।

এফবিসিসিআই সভাপতি মো. জসিম উদ্দিন বলেন, ‘বিশ্বব্যাংকের ব্যবসা সহজীকরণবিষয়ক প্রতিবেদন প্রকাশ বন্ধ হয়ে যাওয়ায় উদ্যোক্তাদের জন্য ভবিষ্যৎ বিনিয়োগ পরিকল্পনা নেয়া কঠিন হয়ে পড়েছিল। তবে এমসিসিআই এবং পিইবির এমন উদ্যোগ সরকারি সংস্থাগুলোর জন্য ব্যবসার প্রতিবন্ধকতা দূর করতে সহায়ক ভূমিকা পালন করবে।’

বাংলাদেশে নিযুক্ত জাপানের রাষ্ট্রদূত ইতো নাওকি বলেন, ‘বাংলাদেশের অবকাঠামো, পরিবহন ও যোগাযোগব্যবস্থাকে উন্নত করতে মেট্রোরেলসহ বিভিন্ন মেগাপ্রকল্পে আর্থিক ও কারিগরি সহায়তা দিচ্ছে জাপান। এসব প্রকল্পের বাস্তবায়ন শেষ হলে এ দেশের ব্যাবসায়িক পরিবেশের আরও উন্নতি হবে।’

অনুষ্ঠানে প্যানেল আলোচনায় অংশ নেন বিদেশি বিনিয়োগকারীদের সংগঠন এফআইসিসিআইয়ের সভাপতি রুপালী হক চৌধুরী, এমসিসিআইয়ের সাবেক সভাপতি সৈয়দ নাসিম মঞ্চুর, ডিসিসিআই সভাপতি রিজওয়ান রাহমান, গবেষণা সংস্থা বিল্ডের চেয়ারপারসন ও এফবিসিসিআইয়ের পরিচালক আবুল কাশেম খান।

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন এমসিসিসিআই সভাপতি নিহাদ কবির।

এ বিভাগের আরো খবর