রাজধানীর কারওয়ানবাজার এলাকায় দুর্বৃত্তদের ছুরিকাঘাতে খুন হন বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী কেশব রায় পাপন। ওই ঘটনার সঙ্গে জড়িত অন্যতম আসামি মো. তুহিনকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব।
বৃহস্পতিবার গ্রেপ্তারের পর তুহিন জানিয়েছে ছিনতাই করতে গিয়েই খুন করা হয় পাপনকে। র্যাব-২ এর অপারেশন অফিসার সহকারি পুলিশ সুপার মো. ফজলুল হক এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, ‘গত ০৫ অক্টোবর তেজগাঁওয়ের তেজতুরী বাজারে হোটেল মেরিন-এর সামনে আনুমানিক রাত ৯টার দিকে কয়েকজন অস্ত্রধারী বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী পাপনকে ছুরিকাঘাত করে পালিয়ে যায়। পরে আশপাশের পথচারীরা পাপনকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত বলে ঘোষণা করেন।
‘এই ঘটনায় নিহত পাপনের মামা তেজগাঁও থানায় একটি হত্যা মামলা করেন। ঘটনার গুরুত্ব বিবেচনায় র্যাব এ বিষয়ে ছায়া তদন্ত শুরু করে এবং গোয়েন্দা নজরধারী বাড়ায়।’
তুহিনের গ্রেপ্তার প্রসঙ্গে এএসপি ফজলুল হক জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে বৃহস্পতিবার র্যাব-২ এর একটি দল জানতে পারে যে, ঘটনাটির সঙ্গে জড়িত এক আসামি গাজীপুর শহরে গোপনে অবস্থান করছে। সংবাদের সত্যতা যাচাই করে র্যাব-২ এর একটি দল গাজীপুর টঙ্গী মুন্নুনগর এলাকায় অভিযান চালিয়ে তুহিনকে গ্রেপ্তার করে।
গ্রেপ্তারের পর জিজ্ঞাসাবাদে তুহিন জানায়, তারা ছিনতাই করার জন্যই পাপনের ওপর হামলা করেছিল। পরে ছুরির আঘাতে তার মৃত্যু হয়। ছুরিকাঘাতের পরই পালিয়ে যায় ছিনতাইকারীরা।
তুহিন নিজে এই হত্যায় অংশ নেয়ার কথা স্বীকার করেছে। পরে তাকে তেজগাঁও থানায় হস্তান্তর করা হয়।