ফরিদপুরে দুলাইভাইয়ের কাছ নেয়া ধারের টাকা সাজানো ছিনতাইয়ের ঘটনার মাধ্যমে আত্মসাত চেষ্টার অভিযোগ উঠেছে এক যুবকের বিরুদ্ধে।
এ ঘটনায় করা মামলায় শ্যালক অনিক ইসলাম রনি ও তার সহযোগী জাকির হোসেন সবুজকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার দুপুর ২টার দিকে তাদের ফরিদপুর আমলি আদালত নেয়া হলে বিচারক কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
দুপুর ১২টার দিকে সংবাদ সম্মেলনে তাদের গ্রেপ্তারের তথ্য গণমাধ্যমকে জানায় সহকারী পুলিশ সুপার (মধুখালী সার্কেল) সুমন কর।
গ্রেপ্তার রনির বাড়ি বোয়ালমারী উপজেলার গোবিন্দপুর গ্রামে। তার সহযোগী জাকিরের বাড়ি রাজবাড়ী সদরের উদয়পুর গ্রামে।
পুলিশ কর্মকর্তা সুমন কর জানান, এক্সিভেটর বা ভেকু কেনার জন্য গোবিন্দপুর গ্রামের এফ এম এ মুছার কাছ থেকে পাঁচ লাখ টাকা ধার চান তার শ্যালক অনিক।
মঙ্গলবার বিকেলে অনিককে ওই টাকা নিতে মধুখালীর বনমালিদিয়ার মেছড়দিয়া মোড়ের বাজারে যেতে বলেন মুছা। অনিক গেলে তাকে টাকা দিয়ে চলে যান মুছা। পরে ফরিদপুরগামী একটি মোটরসাইকেল নিয়ে দুই আরোহী তার কাছে থাকা টাকার ব্যাগ ছিনিয়ে নিয়ে যায় বলে মুছাকে জানান অনিক। এ ঘটনায় ওই দিন রাতেই মধুখালী থানায় মুছা ও রনি নামে আরেকজন টাকা ছিনতাইয়ের বিষয়ে লিখিত অভিযোগ দেন।
সহকারী পুলিশ সুপার আরও জানান, অনিকের কথায় সন্দেহ হলে পুলিশ বুধবার বিকেলে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তাকে থানায় ডাকে। এক পর্যায়ে তিনি ছিনতাইয়ের ঘটনাটি পূর্বপরিকল্পিত বলে স্বীকার করেন এবং এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত দুইজনের পরিচয় জানান। পরে তাদের বিরুদ্ধে মামলা করেন অনিকের দুলাভাই মুছা।
অনিকের দেয়া তথ্যে বৃহস্পতিবার ভোরে সবুজকে গ্রেপ্তার করা হয়। ঘটনায় জড়িত অপর ব্যক্তি রাজবাড়ী সদরের রাজাপুর গ্রামের মাসুদ মোল্যার বাড়ি থেকে টাকার ব্যাগ এবং ছিনতাইয়ে ব্যবহার করা মোটরসাইকেল উদ্ধার করে পুলিশ। তবে মাসুদকে আটক করা যায়নি।
এ সময় মধুখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শহিদুল ইসলাম জানান, মাসুদকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে। অনিক ও সবুজকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।