বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

পুলিশ হাসপাতালে ক্যানসার ইউনিট চান আইজিপি

  •    
  • ৭ অক্টোবর, ২০২১ ১৯:৪৪

পুলিশপ্রধান বেনজীর আহমেদ বলেন, ‘ফেনসিডিল আসে প্রতিবেশী এক দেশ থেকে, ইয়াবা আসে প্রতিবেশী আরেক দেশ থেকে। এখন আবার আসতেছে আইস, যা প্রতিবেশী এক দেশসহ পশ্চিমা বিভিন্ন দেশ থেকে। এসব মাদকের কোনোটাই কিন্তু বাংলাদেশের অভ্যন্তরে তৈরি হয় না।’

রাজধানীর রাজারবাগে কেন্দ্রীয় পুলিশ হাসপাতালে বাহিনীর সদস্যদের চিকিৎসার জন্য ক্যানসার ইউনিটের দাবি জানিয়েছেন আইজিপি বেনজীর আহমেদ।

তিনি বলেছেন, ‘আমাদের জব স্ট্রেস থেকে অনেক সময় ক্যানসার রোগ হয়। আমাদের প্রচুর লোক আছে যারা ক্যানসারে আক্রান্ত। আমরা চেষ্টা করি তাদের সাধ্যমতো সাহায্য করার জন্য। ক্যানসারের চিকিৎসা অনেক ব্যয়বহুল।

‘একজন ক্যানসার আক্রান্ত রোগী মৃত্যুবরণ করার আগে তার পরিবারকে রাস্তায় বসিয়ে দিয়ে যায়। এই জন্য পুলিশ হাসপাতালে আমরা একটি ক্যানসার ইউনিট করতে চাই। স্বাস্থ্যমন্ত্রীর কাছে অনুরোধ জানাব আগামী বছরের মধ্যে ইউনিট করে দেয়ার জন্য।’

বৃহস্পতিবার দুপুরে ঢাকার দক্ষিণ কেরানীগঞ্জে বাংলাদেশ পুলিশ কল্যাণ ট্রাস্ট পরিচালিত মাদকাসক্তি নিরাময় ও মানসিক স্বাস্থ্য পরামর্শ কেন্দ্র ওয়েসিসের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সভাপতির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

এ সময় কোনো মাদকই দেশে তৈরি হয় না দাবি করে পুলিশপ্রধান বলেন, ‘ফেনসিডিল আসে প্রতিবেশী এক দেশ থেকে, ইয়াবা আসে প্রতিবেশী আরেক দেশ থেকে। এখন আবার আসতেছে আইস, যা প্রতিবেশী এক দেশসহ পশ্চিমা বিভিন্ন দেশ থেকে। এসব মাদকের কোনোটাই কিন্তু বাংলাদেশের অভ্যন্তরে তৈরি হয় না।’

বেনজীর আহমেদ বলেন, ‘পুলিশে চাকরি করার সুবাদে গরিব বা ধনী পরিবারের কেউ যদি মাদকাসক্ত হয় তাহলে পরিবারটির কী অবস্থা দাঁড়ায় সেটি দেখার দুর্ভাগ্য আমার অনেকবার হয়েছে। এই সমাজের অনেক সম্মানিত ব্যক্তির নীরব কান্না দেখতে হয়েছে আমাকে। এই গোপন কান্না এত কষ্টের যা কারও সঙ্গে শেয়ারও করা যায় না সামাজিক মর্যাদার কারণে।’

তিনি বলেন, ‘আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী হিসেবে আমরা যে কাজটা করার চেষ্টা করি সেটা হচ্ছে মাদকের সাপ্লাই কাট। এসব দমনের জন্য ছয় থেকে সাতটা বাহিনী একসঙ্গে কাজ করে। এ ছাড়া কাস্টমস বিভিন্ন পোর্টে মাদক দমনে কাজ করে। কিন্তু যদি ডিমান্ড থাকে, কোনো না কোনোভাবে দেশে মাদকের সাপ্লাই হবেই। আর সেটা যদি হয় ১ কোটি, ৮০ লাখ ও ৩৬ লাখ তাহলে প্রত্যেক দিন এই মাদক কোনো না কোনোভাবে দেশে ঢোকার চেষ্টা হবেই। এ কারণে অবশ্যই আমাদের মাদকের ডিমান্ড কাট করতে হবে।

‘ডিমান্ড কাট করতে হলে যারা মাদকাসক্ত আছে, তাদের চিকিৎসার ব্যবস্থা করতে হবে। এদের পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করতে হবে। সে ক্ষেত্রে ‘‘ওয়েসিস’’ আমাদের অতি ক্ষুদ্র একটি উদ্যোগ।’

পুলিশ কল্যাণ ট্রাস্টের আরেকটি মাদক নিরাময় কেন্দ্র নির্মাণের কথা উল্লেখ করে আইজিপি বলেন, ‘আমরা মানিকগঞ্জের কালিগঙ্গা নদীর তীরে মনোরম পরিবেশে একটি মাদক নিরাময় কেন্দ্র বা হাসপাতাল নির্মাণের পরিকল্পনা করেছি। সেখানে আমরা ইতোমধ্যে ২০ বিঘা জমি কিনেছি। আমি পারলে ১০০ বিঘা জমি কিনতে চাই। সেখানের পরিবেশে ঢুকলে মানুষের মন যেন এমনিই ভালো হয়ে যায়৷ আমরা এমন একটি পরিবেশে ৫০০ থেকে ১ হাজার বেডের হাসপাতাল তৈরি করতে চাই। এটাকে আমরা মাদক চিকিৎসার ক্ষেত্রে রিজনাল হাব করতে চাই।’

পুলিশপ্রধান বেনজীর আহমেদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল। বিশেষ অতিথি হিসেবে ছিলেন বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল বাসার মোহাম্মদ খুরশীদ আলম ও মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মো. আজিজুল ইসলামসহ অনেকে।

এ বিভাগের আরো খবর