ময়মনসিংহের ভালুকা উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতিকে চেক জালিয়াতির মামলায় এক বছরের কারাদণ্ড ও ২০ লাখ টাকা জরিমানা করেছে আদালত।
বৃহস্পতিবার দুপুর ১২টার দিকে ময়মনসিংহের তৃতীয় জেলা দায়রা জজ আদালতের বিচারক হাবিবুল্লাহ মাহমুদ এ রায় দেন।
বিষয়টি নিউজবাংলাকে নিশ্চিত করেছেন আদালত পুলিশের পরিদর্শক প্রসূন কান্তি দাস।
তিনি বলেন, ২০১৬ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারি ময়মনসিংহের আদালতে মামলাটি করেছিলেন একই উপজেলার কামরুল ইসলাম চান মিয়া।
দীর্ঘ বিচারিক প্রক্রিয়া শেষে বৃহস্পতিবার ওই মামলার রায়ে ভালুকা উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি মনিরুজ্জামান মামুনকে ২০ লাখ টাকা জরিমানা ও এক বছরের জেল দেন বিচারক। রায় ঘোষণার সময় আদালতে উপস্থিত ছিলেন না মামুন। তবে কিছুক্ষণ পর আদালতে এসে জামিন নিয়েছেন তিনি।
বাদীপক্ষের আইনজীবী নুরুল হক মামলার বরাত দিয়ে বলেন, ছাত্রলীগ সভাপতি মনিরুজ্জামান মামুন ও কামরুল ইসলাম চান মিয়া ঘনিষ্ঠ বন্ধু ছিলেন। বন্ধুত্বের সূত্রে কামরুল ২৪ লাখ টাকা ধার দিয়েছিলেন মামুনকে। এর মধ্যে ৬ লাখ টাকা দিতে অস্বীকার করে কামরুলকে ১৮ লাখ টাকার চেক দেয়া হয়। কিন্তু অ্যাকাউন্টে টাকা না থাকায় চেকটি ডিজঅনার হয়। পরে কামরুল আদালতে চেক জালিয়াতির মামলা করেন।
ভালুকা উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি মনিরুজ্জামান মামুন নিউজবাংলাকে বলেন, ‘চেকে আমি সই দিইনি। চেকটি কীভাবে কামরুলের হাতে গেছে, তাও আমি জানি না। আমার সঙ্গে তার সম্পর্ক ভালো না থাকায় ফাঁসানোর চেষ্টা চলছে। আমি হাইকোর্টে যাব।’