পটুয়াখালীর রাঙ্গাবালীতে নববধূকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ মামলায় তিন আসামিকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
গলাচিপার বিচারিক হাকিম আদালতে বৃহস্পতিবার বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে তোলা হলে বিচারক শান্তনু কুমার মণ্ডল তাদের কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
যাদের কারাগারে পাঠানো হয়েছে তারা হলেন ২২ বছরের ছলেমন ব্যাপারী, ২৩ বছরের আরিফ খান ও ২৪ বছরের বাপ্পি ব্যাপারী।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন রাঙ্গাবালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) দেওয়ান জগলুল হাসান।
এর আগে বৃহস্পতিবার সকালে রাঙ্গাবালী থানায় ৭ জনকে আসামি করে মামলা করেন ওই নববধূর বাবা।
এজাহার সূত্রে জানা যায়, গলাচিপার চরবিশ্বাস এলাকায় সম্প্রতি বিয়ে হয় ওই তরুণীর। বুধবার সকাল সোয়া ১০টার দিকে বাবার বাড়ি রাঙ্গাবালী উপজেলার চরবেষ্টিন গ্রামে যাচ্ছিলেন তিনি। স্বামী বাড়িতে না থাকায় নববধূকে বাবার বাড়ি পৌঁছে দেয়ার দায়িত্ব পান স্বামীর চাচাতো ভাই ছলেমন।
দক্ষিণ চরআগস্তি হাক্কাঘাটে ছলেমন ভাবিকে নিয়ে তার বন্ধু আরিফের ট্রলারে ওঠেন। এ সময় ছলেমন তার আরও কয়েকজন বন্ধুকে ফোনে ডাকেন। তারা রাঙ্গাবালী উপজেলার ছোট বাইশদিয়া ইউনিয়নের সাপেরখাল এলাকায় অবস্থান নেন।
বেলা ১টার দিকে সাপেরখাল এলাকায় পৌঁছালে ট্রলারে ওঠেন ছলেমনের বন্ধুরা। সেখানে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ করা হয় নববধূকে।
বিকেল ৪টার দিকে ওই এলাকায় মাছ ধরতে আসেন একদল জেলে। তাদের দেখে পালিয়ে যান ছলেমন ও তার বন্ধুরা। পরে জেলেরা গৃহবধূকে উদ্ধার করে চরকাজল অস্থায়ী পুলিশ ক্যাম্পে নিয়ে যান।
পুলিশ অভিযোগ পেয়ে আসামিদের ধরতে অভিযানে নামে। জব্দ করা হয় ট্রলারটি। আর শারীরিক পরীক্ষার জন্য নববধূকে পাঠানো হয় পটুয়াখালী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে।
রাঙ্গাবালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) দেওয়ান জগলুল হাসান জানান, চরকাজলের অস্থায়ী পুলিশ ক্যাম্পের সদস্যরা বুধবার রাত ১১টার দিকে ছলেমনকে আটক করে।
তার দেয়া তথ্যে রাত ৩টার দিকে আটক করা হয় বাপ্পীকে। আর বৃহস্পতিবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে আটক হন আরিফ।
পরে নববধূর বাবার করা মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতে তোলা হলে বিচারক তাদের কারাগারে পাঠানো নির্দেশ দেন।
মামলার পলাতক ৪ আসামিকে ধরতে অভিযান অব্যাহত আছে বলেও জানান ওসি।