ওমানে ঘূর্ণিঝড় শাহিনের কবলে লক্ষ্মীপুরের একই পরিবারের তিনজনের মৃত্যু হয়েছে।
বাংলাদেশ সময় মঙ্গলবার সন্ধ্যায় দুজনের ও বুধবার বিকেলে একজনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
মৃতরা হলেন সদর উপজেলার পার্বতীনগর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) মকরধ্বজ এলাকার শামছুল ইসলাম, জিল্লুর রহমান ও আমজাদ হোসেন হৃদয়। শামছুল ও জিল্লুর চাচাত ভাই, হৃদয় শামছুলের ভাগনে।
পরিবারের সদস্যরা জানায়, মৃতরা ওমানের সাহামে উম্মে ওয়াদি লেবান পারপার এলাকায় থাকতেন। তারা সবাই খেজুর বাগানে কাজ করতেন। রোববার তারা কাজ করার সময় ঝড়ো বাতাসের সঙ্গে তীব্র বৃষ্টি শুরু হয়। বাতাসের বেগ ছিল ঘণ্টায় ১২০ থেকে ১৫০ কিলোমিটার। পানির স্রোতে তারা ভেসে যান।
স্থানীয় লোকজন তাদের খোঁজাখুঁজি করে পায় না। দুদিন পর মঙ্গলবার তাদের কর্মস্থল থেকে ৫০ কিলোমিটার দূরে জিল্লুর ও শামছুলের এবং বুধবার হৃদয়ের ক্ষত-বিক্ষত মরদেহ পাওয়া যায়।
জিল্লুরের বাবা লুৎফর রহমান নিউজবাংলাকে জানান, শামছুল, জিল্লুর ও হৃদয় তাদের পরিবারের একমাত্র উপার্জনক্ষম ব্যক্তি ছিলেন। মরদেহ দেশে আনতে এখনও কোনো ব্যবস্থা নেয়া হয়নি। তারা যে কোম্পানির হয়ে কাজ করতেন তাদের সঙ্গে কথা বলে মরদেহ দেশে আনার চেষ্টা চলছে।
পার্বতীনগর ইউপি চেয়ারম্যান সালা উদ্দীন ভূঁইয়া জানান, তিনি এ বিষয়ে এখনও কিছু জানেন না। পরিবারের সঙ্গে কথা বলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবেন।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মামুন হোসেন বলেন, ‘এ ধরনের তথ্য আমি এখনও পাইনি। এ বিষয়ে খবর নিয়ে প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে মৃতদের পরিবারের জন্য আর্থিক অনুদানের ব্যবস্থা করার চেষ্টা করব।’