সাংবাদিক ও প্রথমা প্রকাশনের সমন্বয়ক অরুণ বসু করোনায় মারা গেছেন।
বৃহস্পতিবার সকাল পৌনে ৮টার দিকে রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান ৬৮ বছরের অরুণ বসু।
মঙ্গলবার তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল। করোনায় সংক্রমিত হওয়ার আগে ঠান্ডা জ্বর ও জন্ডিসে আক্রান্ত হলেও সেরে উঠেছিলেন তিনি।
বিকেলে পারিবারিক সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ঢাকার রাজারবাগ শ্মশানে সমাধিস্থ করা হয় তার মরদেহ।
এর আগে বেলা ১টার দিকে তার কর্মস্থল রাজধানীর কারওয়ান বাজারে প্রথম আলোর প্রধান কার্যালয়ে তাকে শেষ শ্রদ্ধা জানানোর জন্য নেয়া হয়।
অরুণ বসু ১৯৫৩ সালের ১০ নভেম্বর ফরিদপুর সদরের কৃষ্ণনগর ইউনিয়নের কৃষ্ণনগর গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। মৃত্যুকালে তিনি স্ত্রী ও এক সন্তান রেখে গেছেন।
অরুণ বসুর মৃত্যুতে ফরিদপুরের সাংস্কৃতিক অঙ্গনে নেমে এসেছে শোকের ছায়া। ফরিদপুর সাহিত্য ও সংস্কৃতি উন্নয়ন সংস্থার নির্বাহী কমিটির সাবেক সদস্য ছিলেন তিনি। ছিলেন শিশু সংগঠন ‘ফুলকী’র উপদেষ্টা।
ফরিদপুর সাহিত্য পরিষদের প্রতিষ্ঠাতা সম্পাদক এম এ সামাদ বলেন, ‘সাংবাদিকতার পাশাপাশি ফরিদপুরের সাংস্কৃতিক অঙ্গনে তার পদচারণ ছিল তেজোদীপ্ত। ঢাকায় প্রথম আলো পত্রিকায় তিনি সংবাদিকতার সঙ্গে যুক্ত হলেও ফরিদপুরের যেকোনো সাংস্কৃতিক কর্মযজ্ঞে সবার আগে ডাক পড়ত তারই।
‘ফরিদপুরের সাংস্কৃতিক অঙ্গনে মহীরুহ ব্যক্তি হয়ে উঠেছিলেন অরুণ বসু। ছিলেন সবার ভরসা। এ ক্ষতি পূরণ হওয়ার নয়। অরুণ বসুর মৃত্যুতে আমাদের একটি অস্থার জায়গা চলে গেল।’
ফরিদপুর সাহিত্য ও সংস্কৃতি উন্নয়ন সংস্থার সভাপতি আবুল ফয়েজ বলেন, ‘আমাদের সাংস্কৃতিক অঙ্গনের যে ক্ষতি হলো, তা কখনও পূরণ হওয়ার নয়।’
তার মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেছেন ঢাকা ইউনিভার্সিটির অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি এ কে আজাদ, দৈনিক সমকালের উপদেষ্টা সম্পাদক আবু সাঈদ খান, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সুবল চন্দ্র সাহা, সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ মাসুদ হোসেন, জেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ মোদাররেছ আলী, জেলা সিপিবির সভাপতি রফিকুজ্জামানসহ আরও অনেকে।