ক্যান্সার আক্রান্ত জায়দা খাতুনকে করোনাপ্রতিরোধী টিকা দিতে ১ আগস্ট রেজিস্ট্রেশন করেছিলেন তার ছেলে আজমল হোসেন। তবে চিকিৎসকের পরামর্শে পরে তাকে আর টিকা দেয়া হয়নি।
টিকার প্রথম ডোজ না নিলেও গত ১৮ সেপ্টেম্বর অবশ্য দ্বিতীয় ডোজ নেয়ার জন্য এসএমএস আসে ৬৪ বছরের জায়দার মোবাইল নম্বরে। এইবারও টিকা দেয়া হয়নি। তবে ৪ অক্টোবর তাকে টিকা দেয়ার সনদ নিতে এসএমএস দেয়া হয়।
এর মধ্যে ২৯ সেপ্টেম্বর ক্যান্সারে আক্রান্ত জায়দার মৃত্যু হয়। টিকার কোনো ডোজ না নিয়েও সনদ দেয়ার অভিযোগটি উঠেছে মৌলভীবাজার সদর হাসপাতালের বিরুদ্ধে।
জায়দার ছেলে আজমল বলেন, ‘আমার মা ক্যান্সার রোগী। আমি ১ আগস্ট আমার আম্মাকে টিকা দেয়ার জন্য রেজিস্ট্রেশন করে উনার ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করি। তবে ডাক্তার উনাকে টিকা না দেয়ার জন্য বললে আমি আর কোনো যোগাযোগ করিনি।
‘উনাকে প্রথম ডোজ টিকা দেয়ার জন্য কোনো এসএমএসও আসেনি। তবে দ্বিতীয় ডোজ দেয়ার জন্য ১৮ সেপ্টেম্বর একটি এসএমএস আসে। আর আমার আম্মা ২৯ সেপ্টেম্বর ইন্তেকাল হয়েছেন।’
তিনি আরও বলেন, ‘আম্মার মৃত্যুর পর ম্যাসেজ আসে যে তাকে দ্বিতীয় ডোজ টিকাও দেয়া হয়েছে। আর ৪ অক্টোবর আমার ফোনে আম্মার টিকা সনদ সংগ্রহ করার জন্য এসএমএস আসে।
‘আমি লগইন করে সনদ ডাউনলোড করে দেখি আম্মাকে দুই ডোজ টিকাই দেয়া হয়েছে। এখন আমার মাথায় আসে না তিনি কীভাবে টিকা দিলেন।’
এ বিষয়ে মৌলভীবাজারের সিভিল সার্জন ডা. চৌধুরী জালাল উদ্দিন মুর্শেদ বলেন, ‘এই ধরনের কিছু হওয়ার কথা না। প্রথমে ডাটা এন্ট্রি করা হয়। তারপর তা অনলাইনে আপডেট হয়। এই ধরনের জটিলতা হওয়া কোনোভাবেই সম্ভব নয়।’