ঝালকাঠিতে বাস ভাড়া নিয়ে তর্কের জেরে আড়াই ঘণ্টা যান চলাচল বন্ধ ছিল বরিশাল-খুলনা মহাসড়ক।
পাশাপাশি ঝালকাঠি-পিরোজপুর আঞ্চলিক সড়কেও সব ধরনের যানচলাচল বন্ধ ছিল। মোড়ে মোড়ে আগুন জ্বালিয়ে বিক্ষোভ করেছে আন্তঃজেলা বাস ও মিনিবাস শ্রমিকরা।
বৃহস্পতিবার দুপুর ২টা থেকে বিকেল সাড়ে ৪টা পর্যন্ত শহরের প্রবেশমুখ কৃষ্ণকাঠি পেট্রোলপাম্প মোড় এবং বাস টার্মিনালে যানবাহন রেখে ব্যারিকেড তৈরি করে মোটর শ্রমিকরা। এতে যান চলাচলে বিঘ্ন ঘটে বরিশাল-খুলনা মহাসড়ক ও ঝালকাঠি-পিরোজপুর আঞ্চলিক সড়কে।
মোটর শ্রমিকরা জানান, দিগন্ত পরিবহনের একটি বাসে বরিশাল থেকে ঝালকাঠি আসার পথে নিজেকে ছাত্র পরিচয় দেন একজন। তার নাম পরিচয় জানা যায়নি। ভাড়া নিয়ে গাড়ির হেলপারের সঙ্গে কথা কাটাকাটি হয় তার।
বাসটি ঝালকাঠি টার্মিনালে পৌঁছলে ‘ঝালকাঠি জেলা ও দায়রা জজের চালক এবং দেহরক্ষী’ ওই বাসের চালক শহিদুল ইসলমকে মারধর করেন। তারা ওই চালককে প্রাইভেট কারে তুলে নিয়ে যান।
মোটর শ্রমিক আবুল হোসেন নিউজবাংলাকে বলেন, ‘শহিদুলকে ফিরিয়ে দেয়ার আগ পর্যন্ত আমরা সড়কে আন্দোলন করেছি। বিনা দোষে শহিদুলকে মারধর করেছে জজ সাহেবের দেহরক্ষী।’
প্রত্যক্ষদর্শী মো. শহিদুল ইসলাম বলেন, ‘বাসে থাকা ওই যাত্রী জজ সাহেবের ড্রাইভারের ছেলে। বাসটি টার্মিনালে এলে ড্রাইভারের নির্দেশে জজ সাহেবের দেহরক্ষী ওই বাস চালককে মারধর করে গাড়িতে তুলে নিয়ে যান।’
জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক খান সাইফুল্লাহ পনির বলেন, ‘দুপক্ষের মধ্যে যে সমস্যা তৈরি হয়েছিল তার সমাধান হয়েছে। বাসচালক শহিদুলকে ছেড়ে দেয়া হয়েছে। বিকেলেই সড়কের ব্যারিকেড তুলে নেয় মোটর শ্রমিকরা। যান চলাচল এখন স্বাভাবিক।’