রাজধানীর কামরাঙ্গীরচর থানার হযরতনগর এলকায় স্ত্রী তানিয়া আক্তারকে হত্যার মামলায় আসামী আল-আমিনকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন ট্রাইব্যুনাল।
এ ছাড়াও আসামীকে এক লাখ টাকা অর্থদণ্ডের আদেশও শুনিয়েছেন বিচারক।
বৃহস্পতিবার বিকেলে ঢাকার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৪ এর বিচারক তাবাসসুম ইসলামের আদালত এই রায় ঘোষণা করে। আসামি আল-আমিনের উপস্থিততেই রায় ঘোষণা করা হয়।
এ সময় আদালতকক্ষে উপস্থিত ছিলেন আল-আমিনের মা। রায় ঘোষণার পর আল-আমিন চিৎকার করে তার মাকে শান্তনা দেন, ‘তুমি চিন্তা করো না মা, আমার কিছুই হবে না।’
শিশুকাল থেকেই আল-আমিন খুব দুধর্ষ প্রকৃতির বলে নিউজবাংলাকে জানান সংশ্লিষ্ট ট্রাইব্যুনালের বিশেষ পাবলিক প্রসিকিউটর মো. ফোরকান মিয়া। তিনি বলেন, ‘কিশোর বয়সেই আরও দুটি খুন করেছে আল-আমিন। খুন করায় সে সিদ্ধহস্ত।’
মামলার অভিযোগে উল্লেখ আছে, ২০১৮ সালের ১৮ মার্চ তানিয়া আক্তারের কাছে তিন লাখ টাকা যৌতুক দাবি করেন আল-আমিন। যৌতুক দিতে অস্বীকার করলে হাতে থাকা সুইচগিয়ার চাকু দিয়ে তানিয়ার বুকের বাম পাশে আঘাত করেন আসামি। এতে ঘটনাস্থলেই ভিকটিমের মৃত্যু হয়।
ওই ঘটনায় নিহতের মা আনোয়ারা বেগম আনু বাদী হয়ে কামরাঙ্গীরচর থানায় মামলা করেন। তদন্ত শেষে ওই বছরের ১১ জুন সংশ্লিষ্ট থানার পুলিশ পরিদর্শক মোস্তফা আনোয়ার আসামির বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন। এরপর ২৪ আগস্ট মামলাটি বিচারের জন্য ট্রাইব্যুনালে আসে।
বিচার চলকালীন মামলার অভিযোগপত্রে থাকা ১৬ সাক্ষীর মধ্যে ১৫ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ করেছে ট্রাইব্যুনাল। মোট ৪৪ কার্যদিবসে মামলাটির বিচার কার্যক্রম শেষ হয়েছে।