বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

৩০ কোটি টাকা তুলে ঠিকাদার লাপাত্তা, সড়কের কাজ বন্ধ

  •    
  • ৭ অক্টোবর, ২০২১ ১৭:৫২

স্থানীয়দের অভিযোগ, রাস্তাটির কার্পেটিং তুলে ইটের খোয়া বিছানোর পরই নিম্নমানের কাজের অভিযোগ ওঠায় কাজ বন্ধ হয়ে যায়। এরপর তিন বছর পার হয়ে গেলেও আর কাজ শুরু করতে পারেনি সড়ক ও জনপথ বিভাগ।

শেরপুরের নন্দীর বাজার থেকে কামালপুর পর্যন্ত আঞ্চলিক সড়ক সংস্কারের প্রায় ৩০ কোটি টাকা তুলে লাপাত্তা হয়ে গেছে দুই ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। তিন বছর ধরে কাজ বন্ধ থাকায় খানখন্দে ভরা সড়কটি দিয়ে চলাচলে জনদুর্ভোগ চরমে পৌঁছেছে।

জেলার সড়ক ও জনপথ বিভাগ থেকে জানা যায়, জামালপুর-শেরপুর আঞ্চলিক সড়কটির দুই অংশ নন্দীর বাজার থেকে ঝগড়ারচর পর্যন্ত ১৫ কিলোমিটার ৫০ কোটি টাকায় এবং ঝগড়ারচর থেকে বকশীগঞ্জ পর্যন্ত একই দৈর্ঘ্যের অন্য অংশ ৫০ কোটি টাকায় সংস্কারের টেন্ডার পায় এমএম বিল্ডার্স ও স্পেক্ট্রা ইঞ্জিনিয়ার্স লিমিটেড নামে দুটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান।

২০১৮ সালের ফেব্রুয়ারিতে এ সড়কের কাজ শুরু করে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান দুটি। ১০০ কোটি টাকা ব্যয়ে সড়কটির কাজ শেষ হওয়ার কথা ছিল ১৫ মাসের মধ্যে।

স্থানীয়দের অভিযোগ, রাস্তাটির কার্পেটিং তুলে ইটের খোয়া বিছানোর পরই নিম্নমানের কাজের অভিযোগ ওঠায় কাজ বন্ধ হয়ে যায়। এরপর তিন বছর পার হয়ে গেলেও আর কাজ শুরু করতে পারেনি সড়ক ও জনপথ বিভাগ।

সড়ক ও জনপথ বিভাগ জানিয়েছে, ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান দুটি এরই মধ্যে ৩০ শতাংশ টাকা তুলে ফেলেছে। সরকারি প্রতিষ্ঠানটি একাধিকবার ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে চিঠি দিলেও তারা কাজ শুরু করেনি।

স্থানীয়রা জানিয়েছেন, খানাখন্দে ভরা সড়কটি দিয়ে চলাচলের সময় প্রায়ই দুর্ঘটনার শিকার হচ্ছেন তারা। গর্তে পড়ে দ্রুত নষ্ট হচ্ছে ছোট যানবাহন।

ভাঙা সড়কের কারণে কৃষিতে উদ্বৃত্ত অঞ্চলটির উৎপাদিত ফসল দেশের বিভিন্ন জায়গায় পাঠানোও সম্ভব হচ্ছে না। এতে ন্যায্যমূল্য না পাওয়ায় অর্থনৈতিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন কৃষকরা।

শ্রীবরদীর ঝগড়ারচর বাজারের ব্যবসায়ী আব্দুস সালাম বলেন, ‘আমরা বহুদিন থেকে এই ভাঙা রাস্তায় চলাচল করতেছি। খুব সমস্যায় আছি। রাস্তাটার কাজ তাড়াতাড়ি শেষ করলে আমগোর খুব উপকার হইত।’

নন্দীর বাজারের কড়ইতলা এলাকার ইজিবাইকচালক সেকান্দর আলী বলেন, ‘ঠিকমতো গাড়ি চালাইতে পারি না। দুই দিন পরপর গাড়ি নষ্ট হয়ে যায়। মাঝে মধ্যে সড়কের গর্তে পড়ে গাড়ি উল্টেও যায়। বহুত ঝামেলায় আছি।’

বেসরকারি একটি কোম্পানিতে চাকরি করা এস এম বাবুল মিয়া বলেন, ‘খানাখন্দে ভরা এই রাস্তায় চলাচল করা খুব কষ্ট। এ রাস্তায় মোটরসাইকেল চালাতে গিয়ে আমি বেশ কয়েক দিন পড়েও গেছি।’

ঝগড়ারচরের বাসিন্দা আলী বলেন, ‘আমরা কৃষক মানুষ। ধান, গম, পাটসহ আমাদের উৎপাদিত ফসল শহরে নিয়ে বেচাবিক্রি করতে পারি না। এই ভাঙা সড়কে গাড়ি আসতে চায় না। তাই ফসলের ন্যায্যমূল্য পাই না।’

সড়কটির উন্নয়ন ও সংস্কারকাজে তদারকিতে থাকা জামালপুর সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী এবিএম সাদ্দাম হোসেন নিউজবাংলাকে মোবাইল ফোনে বলেন, ‘আমরা সংশ্লিষ্ট ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে বারবার চিঠি দেয়ার পরও তারা কাজ করছে না। এখন তাদেরকে চূড়ান্তপত্র দেয়া হবে। এরপরও কাজ শুরু না করলে তাদের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।’

এ বিভাগের আরো খবর