বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

গৃহবধূ হত্যা, স্বামী কারাগারে

  •    
  • ৭ অক্টোবর, ২০২১ ১৭:১৮

রোকেয়ার বাবা রবিউল ইসলাম বলেন, ‘আমার মেয়ে শিক্ষিত, তার দুটি সন্তান রয়েছে। সে কখনোই আত্মহত্যা করতে পারে না। তার স্বামীসহ পরিবারের লোকজন তাকে শ্বাসরোধ করে হত্যার পর পুকুরে ফেলে দিয়েছে।’

পঞ্চগড় সদরে পুকুর থেকে গৃহবধূ রোকেয়ার মরদেহ উদ্ধারের ঘটনার মামলায় স্বামী এরশাদ হোসেনকে গ্রেপ্তার করেছে পুুলিশ।

বৃহস্পতিবার দুপুরে পঞ্চগড় মুখ্য বিচারিক হাকিম আদালতে নিলে বিচারক হুমায়ূন কবির তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।

ঘটনাটি ঘটেছে পঞ্চগড় সদরের সাতমেরা ইউনিয়নের জোতহাসনা গ্রামে।

বুধবার ভোরে বাড়ির পাশের পুকুর থেকে রোকেয়ার মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।

৩৬ বছর বয়সী রোকেয়া ওই গ্রামের এরশাদ হোসেনের স্ত্রী। তিনি দুই কন্যাসন্তানের জননী।

স্থানীয়দের বরাত দিয়ে পুলিশ জানায়, ভোরে প্রতিবেশীরা রোকেয়ার মরদেহ পুকুরে ভাসতে দেখে থানায় জানান। পুলিশ মরদেহের প্রাথমিক সুরতহাল শেষে ময়নাতদন্তের জন্য পঞ্চগড় আধুনিক সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠায়।

রোকেয়ার বাবা রবিউল ইসলাম জানান, ভোরে এরশাদ ফোন করে বলেন,‘আপনার মেয়ে রাতে বাড়ি থেকে বের হয়ে গেছে। তাকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না।’ তবে ঘটনার দিন রাতে দুজনের মধ্যে ঝগড়া হয়েছিল বলে প্রতিবেশীরা জানিয়েছেন।

পঞ্চগড় সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল লতিফ মিঞা ঘটনা নিশ্চিত করে বলেন, ‘মৃত্যুটি রহস্যজনক। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট এলে বিস্তারিত জানা যাবে। এ ঘটনায় রোকেয়ার স্বামী এরশাদকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।’

বৃহস্পতিবার রবিউল ইসলাম সদর থানায় এরশাদসহ তার ছয় ভাই ও এক বোনের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা করেছেন।

ওসি জানান, জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক এরশাদকে এই মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতে নেয় পুলিশ। শুনানি শেষে বিচারক তাকে কারাগারে পাঠিয়েছেন।

রোকেয়ার বাবা রবিউল ইসলাম বলেন, ‘আমার মেয়ে শিক্ষিত, তার দুটি সন্তান রয়েছে। সে কখনোই আত্মহত্যা করতে পারে না। তার স্বামীসহ পরিবারের লোকজন তাকে শ্বাসরোধ করে হত্যার পর পুকুরে ফেলে দিয়েছে।’

এ বিভাগের আরো খবর