ভোটের মাঠে বিএনপির কোনো জনসমর্থন নেই বলে মনে করেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও তথ্যমন্ত্রী হাছান মাহমুদ। দলটির নেতাকর্মী ও সমর্থকদের তিনি খালি কলসির সঙ্গে তুলনা করেছেন। খালি কলসি বলেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুলকেও।
বৃহস্পতিবার সচিবালয়ে বিএনপির নেতা-কর্মীদের বিভিন্ন সময়ে দেয়া বক্তব্যের সমালোচনা করে সাংবাদিকদের কাছে তথ্যমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, ‘এগুলো আসলে খালি কলসি, যেমন বেশি বাজে। মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সাহেবও প্রতিদিন বেশি বাজে। কারণ তারা সমর্থনহীন।’
তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী যথার্থই বলেছেন, কোন দুঃখে মানুষ বিএনপিকে ভোট দেবে? আবার কি পেট্রোলবোমা মারার জন্য, ৫০০ জায়গায় এক সাথে বোমা বিস্ফোরণের জন্য, আদালতে বোমা বিস্ফোরণের জন্য? বঙ্গবন্ধু এভিনিউতে গ্রেনেড হামলার জন্য? কিবরিয়া, আহসান উল্লাহ মাস্টারের মতো মানুষের মৃত্যু হওয়ার জন্য?’
বাংলাদেশে আর কোনো দিন তত্ত্বাবধায়ক সরকার গঠন হবে না বলেও সোজাসাপ্টা জানিয়েছেন হাছান মাহমুদ।
তিনি বলেন, ‘সংবিধান অনুযায়ী বর্তমান সরকারই নির্বাচনকালীন সরকারের দায়িত্ব পালন করবে। রুটিন কাজ করবে। আর নির্বাচন হবে নির্বাচন কমিশনের অধীনে।’
‘সরকারের অধীনে নির্বাচন হয় না। সকল উন্নত দেশে তাই হয়। আমাদের দেশেও তাই হবে’, যোগ করেন তিনি।
সম্প্রতি নির্বাচন কমিশন গঠন নিয়ে সার্চ কমিটির প্রক্রিয়াকে ধোঁকাবাজি বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি ও কয়েকজন বুদ্ধিজীবী। এ প্রসঙ্গে দৃষ্টি আকর্ষণ করলে তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের দেশে কিছু বুদ্ধিজীবী আছেন। বিভিন্ন সময়ে উনারা যদি এ ধরনের কথা না বলেন, তাহলে তাদের যে বুদ্ধি আছে সেটা জনগণ জানবে না।’
তিনি আরও বলেন, ‘সার্চ কমিটির মাধ্যমে গত নির্বাচন কমিশন গঠিত হয়েছিল। সেই কমিশনে বিএনপির ঘোর সমর্থক একজন নিয়োগ পেয়েছেন। সার্চ কমিটি যে সঠিকভাবে কাজ করে সেটা এই নির্বাচন কমিশন দেখলেই বোঝা যায়। এবারও সার্চ কমিটির মাধ্যমে নির্বাচন কমিশন গঠিত হবে।’
বিএনপি মহাসচিবের সমালোচনা করে তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘আওয়ামীলীগের শাসনামলে দেশের মানুষের যে উন্নয়ন অগ্রগতি হয়েছে সেটা মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সাহেব শিক্ষিত মানুষ হিসেবে না জানান কথা নয়। ৬০০ ডলারের মাথাপিছু আয় প্রায় ৪ গুণ বেড়ে ২২২৭ ডলারে উন্নীত হয়েছে।
‘এখন বাংলাদেশে খালি পায়ে, ছেঁড়া কাপড় পড়া মানুষ দেখা যায় না। কুঁড়ে ঘর সহজে খুঁজে পাওয়া যায় না। এটিই বদলে যাওয়া বাংলাদেশ। গ্রামের মেঠোপথ এখন অনেকটাই হারিয়ে গেছে।’
তিনি বলেন, ‘আগে আমরা স্লোগান দিতাম শ্রমিকের মজুরি হবে সাড়ে ৩ কেজি চালের দামের সমান। এখন শ্রমিকের মজুরি কমপক্ষে ১২ কেজি চালের দামের সমান। ৫০০ টাকা একজন শ্রমিকের মজুরি হলে প্রতিদিন সে ১২ কেজি চাল কিনতে পারে। কোন কোন স্থানে ৮০০ টাকায়ও শ্রমিক পাওয়া যায় না।’
তিনি বলেন, ‘এই যে বদলে যাওয়া বাংলাদেশ। সারা পৃথিবী যার প্রশংসা করে। অথচ মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সাহেবরা প্রশংসা করতে পারে না। এটি দুর্ভাগ্যজনক।’