বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

বেক্সিমকোর সৌর বিদ্যুৎকেন্দ্র আগামী বছরের মাঝামাঝি

  •    
  • ৭ অক্টোবর, ২০২১ ১২:৫৪

এটিই দেশের সবচেয়ে বড় সৌরবিদ্যুৎকেন্দ্র। এই চুক্তিকে দেশে সৌরবিদ্যুতের বিস্তারে একটি মাইলফলক হিসেবে দেখছে বেক্সিমকো। কেন্দ্র নির্মাণের পাশাপাশি ৩৫ দশমিক ৩৫ কিলোমিটার লম্বা সঞ্চালন লাইনও তৈরি করছে বেক্সিমকো। এই লাইনের মাধ্যমেই সুন্দরগঞ্জের কেন্দ্রটি থেকে রংপুর গ্রিড সাবস্টেশনে বিদ্যুৎ সরবরাহ করা হবে।

পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত বেক্সিমকো লিমিটেড গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জে ২৮০ মেগাওয়াটের সৌরবিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপনের অনুমতি পেয়েছে। আর এই কেন্দ্র স্থাপনে বিদেশি সরবরাহকারীদের সঙ্গে চুক্তি হয়েছে কোম্পানিটির। চুক্তিমূল্য ১ হাজার ৭০০ কোটি টাকা।

বাংলাদেশে সৌরবিদ্যুৎ উৎপাদনে শীর্ষস্থানীয় এই কোম্পানির মোট উৎপাদনক্ষমতা ৩২৫ মেগাওয়াট। তবে উৎপাদন হবে ২৩০ মেগাওয়াট।

বৃহস্পতিবার ঢাকা ও চিটাগং স্টক এক্সচেঞ্জের ওয়েবসাইটে বেক্সিমকোর পক্ষ থেকে এ তথ্য প্রকাশ করা হয়। এতে জানানো হয়, কেন্দ্রটি ২০২২ সালের মাঝামাঝি উৎপাদনে আসবে।

কেন্দ্র নির্মাণের পাশাপাশি ৩৫ দশমিক ৩৫ কিলোমিটার লম্বা সঞ্চালন লাইনও তৈরি করছে বেক্সিমকো। এই লাইনের মাধ্যমেই সুন্দরগঞ্জের কেন্দ্রটি থেকে রংপুর গ্রিড সাবস্টেশনে বিদ্যুৎ সরবরাহ করা হবে।

জানানো হয়, সোলার মডিউল সরবরাহের জন্য লঞ্জি সোলার টেকনোলজি কোম্পানি লিমিটেডের সঙ্গে চুক্তি করা হয়েছে। ইপিসি মেইন প্লান্ট সরবরাহের জন্য রেজ পাওয়ার ইনফ্রা প্রাইভেট লিমিটেড ও জেটওয়ার্ক ম্যানুফ্যাকচারিং বিজনেস প্রাইভেট লিমিটেডের কনসোর্টিয়ামের সঙ্গে চুক্তি করা হয়েছে।

সুইচইয়ার্ড ও সাবস্টেশন নির্মাণের জন্য সরবরাহকারী হিসেবে এবিবির সঙ্গে চুক্তি করা হয়েছে। আর ট্রান্সমিশন লাইন নির্মাণের জন্য চুক্তি করা হয়েছে কনফিডেন্স ইনফ্রাস্ট্রাকচার লিমিটেডের সঙ্গে।

এটিই দেশের সবচেয়ে বড় সৌরবিদ্যুৎকেন্দ্র। আর এই চুক্তিটিকে দেশে সৌরবিদ্যুতের বিস্তারে একটি মাইলফলক হিসেবে দেখছে বেক্সিমকো।

কেন্দ্রটি নির্মাণে অর্থায়নের জন্য বেক্সিমকো লিমিটেড ৩ হাজার কোটি টাকার সুকুক বন্ড ছেড়েছে। বছরে ন্যূনতম ৯ শতাংশ মুনাফা ছাড়াও শর্তে আরও বেশ কিছু বিষয় আছে, যা বিনিয়োগকারীদের জন্য বেশ সুবিধাজনক হতে পারত।

তবে সাধারণ বিনিয়াগকারীরা এই বন্ড নিয়ে উচ্ছ্বাস দেখাননি। বেক্সিমকোর ৭৫০ কোটি টাকা তোলার পরিকল্পনা ছিল সাধারণ বিনিয়োগকারীদের কাছ থেকে। তবে তারা ৬০ কোটি টাকার জন্য আবেদন করেছেন। ৩০০ কোটি টাকার কিছু বেশি আবেদন জমা পড়েছে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের পক্ষ থেকে।

বাকি অর্থ এখন প্রাইভেট প্লেসমেন্ট থেকে সংগ্রহ করবে বেক্সিমকো।

এই বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণ বেক্সিমকো লিমিটেডের ব্যবসা সম্প্রসারণের একটি অংশ। গত এক বছর করোনার সময় যুক্তরাষ্ট্রে স্বাস্থ্য সুরক্ষাসামগ্রী পাঠাতে একটি পিপিই পার্কও করেছে কোম্পানিটি। সেখান থেকে বছরে ৫ হাজার কোটি টাকার পণ্য নেবে দেশটি।

এসব তথ্যে বেক্সিমকো লিমিটেডের শেয়ার দরে উল্লম্ফন হয়েছে গত এক বছরে। এ সময়ে শেয়ার মূল্য ১৮ টাকা ৫০ পয়সা থেকে ১৫১ টাকা ২০ পয়সা পর্যন্ত ওঠানামা করেছে।

এ বিভাগের আরো খবর