দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) মামলায় আত্মসমর্পণ করে জামিন পেয়েছেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সাবেক মহাপরিচালক (ডিজি) অধ্যাপক মোহাম্মদ আবুল কালাম আজাদ।
ঢাকার মহানগর সিনিয়র স্পেশাল জজ কে এম ইমরুল কায়েশের আদালতে বৃহস্পতিবার আইনজীবীর মাধ্যমে আত্মসমর্পণ করে জামিন আবেদন করেন আবুল কালাম আজাদ।
তার পক্ষে জামিন শুনানি করেন মাসুদ মজুমদার। দুদকের পক্ষে মীর আহম্মেদ আলী সালাম জামিনের বিরোধিতা করেন। উভয় পক্ষের শুনানি শেষে আদালত পরবর্তী শুনানির দিন ২ নভেম্বর পর্যন্ত আবুল কালামকে জামিন দেয়।
নিউজবাংলাকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন দুদকের আদালত পরিদর্শক আমিনুল ইসলাম।
এর আগে গত ৫ অক্টোবর আত্মসমর্পণ করতে আদালতে আসেন আবুল কালাম, কিন্তু বিচারক অন্য মামলায় ব্যস্ত ছিলেন। ফলে ওই দিন আবেদনের ওপর শুনানি হয়নি। আবেদন নিয়ে বিচারক তাকে বৃহস্পতিবার আদালতে হাজির হতে বলেছিলেন।
সম্প্রতি আবুল কালাম আজাদসহ ছয়জনকে অভিযুক্ত করে আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ও দুদকের উপপরিচালক ফরিদ আহমেদ পাটোয়ারী।
অভিযোগপত্রভুক্ত অন্য পাঁচ আসামি হলেন রিজেন্ট হাসপাতালের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ সাহেদ ওরফে সাহেদ করিম, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সাবেক পরিচালক ডা. আমিনুল হাসান, উপপরিচালক ডা. মো. ইউনুস আলী, সহকারী পরিচালক ডা. মো. শফিউর রহমান এবং গবেষণা কর্মকর্তা ডা. মো. দিদারুল ইসলাম।
আসামিদের বিরুদ্ধে ক্ষমতার অপব্যবহার করে লাইসেন্স নবায়নহীন রিজেন্ট হাসপাতালকে ডেডিকেটেড কোভিড হাসপাতালে রূপান্তর, সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর এবং সরকারি প্রতিষ্ঠান নিপসমের ল্যাবে ৩ হাজার ৯৩৯ জন করোনা রোগীর নমুনা বিনা মূল্যে পরীক্ষা করার অভিযোগ আনা হয়েছে।
সেখান থেকে আসামিরা পারিতোষিক হিসেবে রোগীপ্রতি ৩ হাজার ৫০০ টাকা করে ১ কোটি ৩৭ লাখ ৮৬ হাজার ৫০০ টাকা গ্রহণ করেন বলে উল্লেখ করা হয়েছে।
এ ছাড়া অভিযোগপত্রে রিজেন্ট হাসপাতালের মিরপুর ও উত্তরা শাখার চিকিৎসক, নার্স, ওয়ার্ডবয় ও অন্যান্য কর্মকর্তার খাবারের খরচ বরাদ্দের বিষয়ে ১ কোটি ৯৬ লাখ ২০ হাজার টাকার মাসিক চাহিদা তুলে ধরাসহ সমঝোতা স্মারকের খসড়া স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রণালয়ে পাঠানোর উদ্যোগ নেয়ার অভিযোগ আনা হয়েছে।
আসামিদের বিরুদ্ধে ৩ কোটি ৩৪ লাখ ৬ হাজার ৫০০ টাকা আত্মসাতের অভিযোগ আনা হয়েছে অভিযোগপত্রে।
গত বছরের ২৩ সেপ্টেম্বর দুদক সমন্বিত জেলা কার্যালয় ঢাকা-১-এ মামলাটি করেন ফরিদ আহমেদ পাটোয়ারী। মামলায় প্রথমে আবুল কালাম আজাদকে আসামি করা হয়নি। পরে তদন্তে নাম আসায় অভিযোগপত্রে তার নাম অন্তর্ভুক্ত করা হয়।