আমদানি-রপ্তানি বাড়লেও চট্টগ্রাম কাস্টমস হাউসে অর্থবছরের প্রথম প্রান্তিক (জুলাই-সেপ্টেম্বর) রাজস্ব লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত হয়নি।
কাস্টমস সূত্রে জানা গেছে, চলতি অর্থবছরের জুলাই থেকে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত রাজস্ব আদায় হয়েছে ১২ হাজার ৯৩৮ কোটি ১৫ লাখ টাকা। লক্ষ্যমাত্রা ছিল ১৪ হাজার ৫০২ কোটি টাকা। অর্থাৎ লক্ষ্যমাত্রার তুলনায় গত তিন মাসে রাজস্ব আয় কমেছে ১ হাজার ৫৬৩ কোটি ৮৫ লাখ টাকা।
গত অর্থবছরের একই সময়ে রাজস্ব আদায় হয়েছিল ১০ হাজার ৩৭৪ কোটি ৬৫ লাখ টাকা। অর্থাৎ গতবারের চেয়ে এবার ২ হাজার ৫৬৩ কোটি ৫০ লাখ টাকা বেশি রাজস্ব অর্জিত হয়েছে। এই অর্জনের মাধ্যমে চট্টগ্রাম কাস্টমস হাউসের চলতি অর্থবছরের প্রথম প্রান্তিকে প্রবৃদ্ধি দাঁড়িয়েছে ২৪ দশমিক ৭১ শতাংশ।
চট্টগ্রাম কাস্টমস কমিশনার ফখরুল আলম বলেন, ‘গত অর্থবছরের প্রথম প্রান্তিকের তুলনায় এই প্রান্তিকে আমরা প্রায় ২৫ শতাংশ রাজস্ব প্রবৃদ্ধি অর্জন করেছি। এই প্রান্তিকের জুলাই মাসের অর্ধেক সময় আমরা কোরবানি ঈদের ছুটি, কঠোর লকডাউনে কাটিয়েছি। সবশেষ সেপ্টেম্বরের শেষদিকে পরিবহন ধর্মঘটে রাজস্ব আয় ব্যাহত হয়েছে।’
এবারের রাজস্ব আয়ের লক্ষ্যমাত্রা অর্জন না হওয়ার কারণ জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘মিথ্যা ঘোষণায় পণ্য আমদানিতে শাস্তির হার বাড়ার পরও কিছু স্বার্থান্বেষী মহল এখনও রাজস্ব ফাঁকি দেয়ার চেষ্টা করছে।
‘এ ছাড়া অপ্রত্যাশিত পণ্য পরিবহন ধর্মঘট ডেকে দেশের আমদানি-রপ্তানি কাজকে ব্যাহত করা হচ্ছে। এসব ঘটনা না ঘটিয়ে নিয়ম মেনে এবং দেশের বৃহৎ স্বার্থের কথা চিন্তা করে ঐক্যবদ্ধভাবে আমদানি-রপ্তানির কাজ করলে রাজস্ব আহরণের লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করা কঠিন কিছু হবে না।’
চলতি ২০২১-২২ অর্থবছরে চট্টগ্রাম কাস্টমস হাউসের রাজস্ব আয়ের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ৬৪ হাজার ৭৫ কোটি টাকা। সে হিসাবে কাস্টমস হাউসকে আগামী ৯ মাসে আরও ৫১ হাজার ১৩৬ কোটি ৮৫ লাখ টাকা আহরণ করতে হবে।