বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

ঘোষণা ছাড়াই পরিবহন ধর্মঘট, দুর্ভোগে যাত্রীরা

  •    
  • ৭ অক্টোবর, ২০২১ ১১:৪৫

গাড়ি চলাচল বন্ধ থাকলেও পরিবহন শ্রমিকদের অনেকেই জানেন না তার কারণ। বেশ কয়েকজন পরিবহন শ্রমিক জানান, কাউন্টার থেকে অনুমতি না দেয়ায় তারা গাড়ি চালাতে পারছেন না।

পরিবহন ধর্মঘটের কারণে চট্টগ্রাম নগরের বেশ কয়েকটি রোডে বাস চলাচল বন্ধ রয়েছে।

ঘোষণা ছাড়াই গণপরিবহন বন্ধ থাকায় দুর্ভোগে পড়েছেন স্কুলের শিক্ষার্থী ও অফিসগামী লোকজন।

বৃহস্পতিবার সকাল থেকে নগরের অক্সিজেন মোড়, আতুরার ডিপো, হামজারবাগ, মুরাদপুরসহ বিভিন্ন মোড়ে শত শত মানুষকে গাড়ির জন্য দীর্ঘ অপেক্ষা করতে দেখা যায়।

নগরের নতুনপাড়া এলাকায় গাড়ির জন্য অপেক্ষা করছিলেন ব্যবসায়ী আবদুল আজিজ।

তিনি নিউজবাংলাকে বলেন, ‘আমার দোকান জুবলি রোডে। প্রতিদিন তিন নম্বর গাড়িতে করে নতুনপাড়া থেকে দোকানে যাই, কিন্তু সকাল থেকে তিন নম্বর রোডের সব গাড়ি বন্ধ রয়েছে। কেন বাস বন্ধ রয়েছে, কেউ কিছুই জানে না।’

এদিকে গণপরিবহন না থাকার সুযোগে অতিরিক্ত ভাড়া আদায় করছে রিকশাচালকেরা। এ নিয়ে বিভিন্ন জায়গায় রিকশাচালকদের সঙ্গে যাত্রীদের বাগ্‌বিতণ্ডার ঘটনা ঘটেছে।

গণপরিবহন না থাকার কারণ জানতে পরিবহন মালিকদের সঙ্গে যোগাযোগ করলে তারা জানান, প্রশাসনের নির্যাতনের কারণে তারা গাড়ি চালাতে পারছে না। এ জন্য পরিবহন বন্ধ রেখেছেন।

চট্টগ্রাম জেলা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির মহাসচিব মনজুরুল আলম মঞ্জু বলেন, ‘দিন দিন প্রশাসনের নির্যাতন বেড়েই চলেছে। কোনো কারণ ছাড়াই মামলা দেয়া হচ্ছে।

‘ট্রাফিক পুলিশসহ প্রশাসনের লোকজন বিভিন্নভাবে নির্যাতন চালাচ্ছেন। আমরা আর পারছি না। তাই বাধ্য হয়ে গাড়ি বন্ধ রেখেছি।’

বাংলাদেশ পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশনের চট্টগ্রাম অঞ্চলের সাধারণ সম্পাদক অলি আহম্মদ নিউজবাংলাকে বলেন, ‘বুধবার অলংকার থেকে গণপরিবহন মালিকদের একজন লাইনম্যানকে গ্রেপ্তার করায় পরিবহন মালিকরা এ অঘোষিত ধর্মঘট পালন করছে, তবে পিকেটিং বা অন্য কোনো কর্মকাণ্ড হচ্ছে না। বিকেলে একটি মিটিং হওয়ার কথা রয়েছে। দেখা যাক কী হয়?’

চট্টগ্রাম জেলা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির নেতা গোলাম রসুল বাবুল বলেন, ‘ধর্মঘট তো না, তবে গতকাল সকালে অলংকার থেকে আমাদের ৫ জন শ্রমিককে উঠিয়ে নেয়া হয়। আমরা থানা, ডিবি, এসবি সব জায়গায় খোঁজ নিলাম, কিন্তু কেউ নাকি কিছু জানে না।

‘পরে জানতে পারলাম তাদের বিরুদ্ধে মামলাও দেয়া হয়েছে। তাই শ্রমিকরা ক্ষিপ্ত হয়ে পরিবহন চলাচল বন্ধ রেখেছে। বিকেল পাঁচটায় মালিক ফেডারেশন আর শ্রমিক ফেডারেশনের একটা বৈঠক আছে। দেখা যাক কী সমাধান আসে।’

এ বিষয়ে জানতে চট্টগ্রাম মেট্রো পরিবহন মালিক সমিতির সভাপতি মো. বেলায়ত হোসেনকে একাধিকবার কল করা হলেও তিনি রিসিভ করেননি।

গাড়ি চলাচল বন্ধ থাকলেও পরিবহন শ্রমিকদের অনেকেই জানেন না তার কারণ।

বেশ কয়েকজন পরিবহন শ্রমিক জানিয়েছেন, কাউন্টার থেকে অনুমতি না দেয়ায় তারা গাড়ি চালাতে পারছেন না।

বিশ্ববিদ্যালয় টু নিউমার্কেটে চলাচলকারী গাড়ি দ্রুতযান সার্ভিসের চালক মো. আবু বলেন, ‘সকালে ডিউটিতে এসেছি। তবে কাউন্টার থেকে জানাল আজকে গাড়ি চলবে না। তবে কী কারণে গাড়ি চলছে না, সেটি জানি না। এ জন্য এখানে (কাউন্টারে) বসে আছি।’

প্রশাসন বলছে, পরিবহন মালিক ও শ্রমিকদের হয়রানির সুনির্দিষ্ট কোনো ঘটনা ঘটেনি।

চট্টগ্রাম মহানগর পুলিশের ট্রাফিক উত্তর বিভাগের উপকমিশনার আলী হোসেন বলেন, ‘হয়রানির বিষয়ে আমার কোনো বক্তব্য নেই। পরিবহন মালিক-শ্রমিকদের সঙ্গে এই বিষয়ে কোনো আলোচনা হয়নি।’

এ বিভাগের আরো খবর