টাকা দিয়ে প্রতিশ্রুত সময়ে পণ্য না পাওয়ায় অর্থ আত্মসাৎ ও প্রতারণার মামলা হয়েছে ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান ই-অরেঞ্জের মালিকসহ সাতজনের বিরুদ্ধে।
মামলায় আসামিরা হলেন প্রতিষ্ঠানটির মালিক সোনিয়া মেহজাবিন, তার স্বামী মাসুকুর রহমান, সাবেক পুলিশ কর্মকর্তা শেখ সোহেল রানা, প্রতিষ্ঠানটির কর্মকর্তা আমানুল্লাহ, বীথি আক্তার, জায়েদুল ফিরোজ ও নাজমুল হাসান রাসেল।
চট্টগ্রাম মহানগর হাকিম হোসেন মোহাম্মদ রেজার আদালতে বুধবার বেলা ৩টার দিকে মামলাটি করেন নুরুল আবছার পারভেজ নামের এক ব্যবসায়ী।
ই-অরেঞ্জের আরও দুই গ্রাহক মোর্শেদ শিকদার ও মাহমুদুল হাসানের পক্ষে তিনি মামলাটি করেন। এই তিনজনই প্রতারণার শিকার হয়েছেন বলে অভিযোগে উল্লেখ করা হয়েছে।
মামলাটি আমলে নিয়ে বিচারক পুলিশ ব্যুরো অফ ইনভেস্টিগেশনকে (পিবিআই) তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়ার নির্দেশ দিয়েছেন।
অভিযোগে বলা হয়, চলতি বছরের ২৭ মের পর থেকে তারা তিনজন বিভিন্ন পণ্যের জন্য ই-অরেঞ্জকে ১১ লাখ টাকা দিয়েছিলেন। নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে পণ্য সরবরাহের প্রতিশ্রুতি থাকলেও আজ পর্যন্ত তারা পণ্য বুঝে পাননি।
মামলায় বাদীপক্ষের আইনজীবী গোলাম মাওলা মুরাদ বলেন, ‘ই-অরেঞ্জ সারা দেশে লাখ লাখ গ্রাহকের সঙ্গে প্রতারণা করেছে। আমরা চট্টগ্রামে প্রতারিত গ্রাহকদের টাকা ফেরত চেয়ে আদালতে মামলা করেছি। আশা করি, আমরা ন্যায়বিচার পাব।’
এর আগে একই অভিযোগে ঢাকা ও কুমিল্লায় সোনিয়া মেহজাবিন ও তার স্বামী মাসুকুর রহমানের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে।