জন্ম ও মৃত্যুর নিবন্ধনকাজকে আরও সহজ করতে চায় সরকার। আইন ও বিধিমালায় যদি কোথাও সমস্যা থাকে, সেগুলোরও দ্রুত সমাধান করা হবে। নিবন্ধন বিনা মূল্যে করার পরিকল্পনাও রয়েছে সরকারের।
স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায়মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম বুধবার এক অনুষ্ঠানে এসব কথা জানান।
জাতীয় জন্ম ও মৃত্যুনিবন্ধন দিবসে বুধবার রাজধানীর জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরে এক আলোচনা সভা হয়। এ বছর দিবসটির প্রতিপাদ্য ‘সবার জন্য প্রয়োজন, জন্ম ও মৃত্যুর পরপরই নিবন্ধন’।
আলোচনা সভায় মন্ত্রী তাজুল ইসলাম বলেন, ‘নাগরিকদের জন্মনিবন্ধন করা থাকলে যেকোনো সরকারি সুবিধা নেয়া-দেয়া সহজ হয়। যত দ্রুত জন্ম ও মৃত্যুনিবন্ধন করা হবে, তত দ্রুত ও সহজে আমরা সেবা পাব।'
জন্ম-মৃত্যুর নিবন্ধন বিনা মূল্যে করার পরিকল্পনা জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, ‘বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে এটা চালু হতে পারে। এ জন্য জাতীয় কমিটিকে বলা হবে। নিবন্ধনকাজকে আরও সহজ করতে চায় সরকার। আইন ও বিধিমালায় যদি কোথাও সমস্যা থাকে, সেগুলোরও সমাধান করা হবে। রেজিস্ট্রার জেনারেলের কার্যালয়কে সক্ষম ও শক্তিশালী করতে অনেক উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।’
অনৈতিক পন্থায় জন্ম-মৃত্যুর নিবন্ধন হচ্ছে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘নিবন্ধন জালিয়াতির মাধ্যমে অনেক সময় আইডি কার্ড দেয়া হয় ও ভোটার তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করা হয়। এসব ঠেকাতে প্রযুক্তির ব্যবহার নিশ্চিত করতে হবে।’
সভায় ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) মেয়র আতিকুল ইসলাম জানান, জন্ম বা মৃত্যুর পর ৪৫ দিন পর্যন্ত সময়ে এখন বিনা মূল্যে সনদ দেয়া হয়। আর ৪৫ দিনের পর থেকে ৫ বছর সময় পর্যন্ত ২৫ টাকা, ৫ বছরের পর থেকে ১০ বছর পর্যন্ত ৫০ টাকা ও ১০ বছরের পর থেকে ১০০ টাকায় নিবন্ধন সনদ দেয়া হয়।
মেয়র বলেন, ‘টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (এসডিজি) অর্জনে সব নাগরিককে নিবন্ধনের আওতায় আনতে হবে। এ জন্য সহজে নিবন্ধন সনদ দিতে কাউন্সিলরদের দায়িত্ব দেয়া দরকার।’
স্থানীয় সরকার বিভাগের সিনিয়র সচিব হেলালুদ্দীন আহমদের সভাপতিত্বে আলোচনায় অংশ নেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস, স্বাস্থ্য বিভাগের সিনিয়র সচিব লোকমান হোসেন মিয়াসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা।