বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) ছাত্র আবরার ফাহাদের ৯০ বছর বয়সী দাদা আবদুল গফুরের শেষ ইচ্ছা মৃত্যুর আগে দেখে যাবেন নাতি হত্যার বিচার।
তিনি বলেন, ‘দু্ই বছর তো হলো। আর কত সময় লাগবে বিচার হতে। সবাইতো জানেন, দেখেছেন কারা কীভাবে মেরেছে আবরারকে। মরার আগে বিচার দেখে যেতে চাই।’
২০১৯ সালের ৬ অক্টোবর রাতে বুয়েটের শের-ই-বাংলা হলে ছাত্রলীগ নেতা-কর্মীরা ছয় ঘণ্টা ধরে নির্যাতন করে ফেলে রাখে আবরারকে। শিবির সন্দেহে তার ওপর এ নির্যাতন চালানো হয়।
৭ অক্টোবর সকালে তার নিথর দেহ উদ্ধার হলে সারাদেশে প্রতিবাদ শুরু হয়।
ঘটনার দুই বছর পরেও শোকে কাতর আবরারের পরিবারের সদস্যরা। হত্যাকারীদের মৃত্যুদণ্ড চান তারা।
ঘটনার দিন সকালেই কুষ্টিয়ার পিটিআই রোডের বাড়ি থেকে ঢাকায় গিয়েছিলেন আবরার। সেই স্মৃতি হাতরে এখনও শোকে ভেঙে পড়েন মা রোকেয়া খাতুন।
বাড়িতে এখনও যত্নে রাখা আছে আবরারের ব্যবহার করা জিনিসপত্র।
তিনি বলেন, ‘রোগে মারা গেলে মেনে নিতে পারতাম। কিন্তু এভাবে আমার ছেলের মৃত্যু মেনে নিতে পারি না। সবসময় অস্থির লাগে। যা করতে যাই ওর কথা মনে পড়ে।’
তিনি আরও বলেন, ‘বিচারের কিছু প্রক্রিয়া আছে। আমরা তার জন্য অপেক্ষা করছি। আমার ছেলেকে যারা হত্যা করেছে তাদের মা-বাবার কাছে লাশ গেলে আমার কষ্টটা বুঝতে পারবে।’
শিগগিরি রায় ঘোষণা এবং তা কার্যকরের দাবি জানান আবরার ফাহাদের ছোট ভাই আবরার ফায়াজ।
আবরারের বাবা বরকত উল্লাহর করা মামলায় এ হত্যাকাণ্ডের বিচারকাজ অনেক দূর এগিয়েছে। পুনরায় চার্জগঠন শেষে যুক্তিতর্ক উপস্থাপন পর্যায়ে রয়েছে। আগামী মাসেই রায়ের আশা করছে রাষ্ট্রপক্ষ।