রিমান্ডের আদেশ শুনে অশ্রু গড়িয়ে পড়ছিল সাংবাদিক কনক সরোয়ারের বোন নুসরাত শাহরিন রাকার।
৬ অক্টোবর ঢাকার অতিরিক্ত মুখ্যমহানগর হাকিম আবুবকর ছিদ্দিকের আদালতে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলায় শুনানি চলাকালে এ ঘটনা ঘটে। এই মামলায় আদালত তার তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
এর আগে এই মামলায় রাকাকে সাত দিনের হেফাজতে নিতে আবেদন করেন তদন্ত কর্মকর্তা উত্তরা পশ্চিম থানা পুলিশের উপপরিদর্শক বদরুল মিল্লাত।
রাষ্ট্রপক্ষে মহানগর আদালতের প্রধান পাবলিক প্রসিকিউটর আবদুল্লাহ আবু ও সহকারী পাবলিক প্রসিকিউটর হেমায়েত উদ্দিন খান হিরন শুনানি করেন।
শুনানিতে তারা বলেন, ডিজিটাল আইডি ব্যবহার করে বিভিন্ন সময় রাষ্ট্র এবং সরকারের বিরুদ্ধে প্রপাগন্ডা করেছেন রাকা। তাই এই মামলায় তার উৎসমূলের অনুসন্ধান করা জরুরি। তদন্তের স্বার্থে তাই জিজ্ঞাসাবাদ করতে তাকে সাত দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করে আদেশ দেয়া হোক।
আসামি পক্ষে মাসুদ আহমেদ তালুকদার ও ওমর ফারুক শুনানি করেন। তারা বলেন, মামলার উৎস্য কিভাবে হয়েছে সেটা একটু দয়া করে আদালতকে জানাতে চাই। আসামি রাকার নামে একটি ফেক ফেসবুক আইডি বানানো হয়েছে। সেই আইডিটি গত ২৭ সেপ্টেম্বর দেখতে পেয়ে গত ১ অক্টোবর একটি জিডি করেন তিনি। সেই জিডির সূত্র ধরে এই মামলার উদ্ভব হয়েছে। রাষ্টের একজন নাগরিক হিসেবে নিজের নিরাপত্তার জন্য করা জিডি। অথচ সেই জিডি দিয়ে তাকেই ফাঁসিয়ে দিয়েছে পুলিশ।
উভয় পক্ষের শুনানি শেষে বিচারক যখন রিমান্ড আদেশ দিচ্ছিলেন, তখনই রাকার অশ্রু গড়িয়ে পড়তে দেখা যায়।
এই মামলার শুনানি শেষে আরেকটি মাদক মামলার শুনানির জন্য ভবনে মহানগর হাকিম নিভানা খায়ের জেসীর আদালতে নেয়া হয় রাকাকে। সেখানে শুনানি শেষে আরও দুই দিনসহ মোট পাঁচ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর হয় তার।