চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জে পদ্মায় নৌকাডুবির ঘটনায় আদালতে মামলা করেছেন নিহতদের স্বজনেরা।
শিবগঞ্জ আমলি আদালতে মঙ্গলবার ঘাট ইজারাদার মনিরুল ইসলামসহ সংশ্লিষ্ট সাতজনের বিরুদ্ধে পৃথকভাবে মামলা করেন নিহত নিলুফা বেগমের ছেলে মোহাম্মদ সুমন ও তার মেয়ে জামাই ফিটু আলী।
আদলতের বিচারক আবু কাহার মামলা দুইটি নিয়ে শিবগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে (ওসি) এ বছর ১২ ডিসেম্বরের মধ্যে তদন্ত করে আদালতে প্রতিবেদন দেয়ার নির্দেশ দিয়েছেন।
মামলার বাদী ফিটু আলী জানান, নৌকায় তার পরিবারের ছয়জন ছিল। তার স্ত্রী বেঁচে গেলেও তার ছেলে-মেয়ে ও শ্বশুর-শ্বাশুড়ি মারা গেছেন।
বাদী পক্ষের আইনজীবী শফিক এনায়েতুল্লাহ জানান, নৌকাডুবির ঘটনাকে হত্যাকাণ্ড দাবি করে আদালতের কাছে বিচার চাওয়া হয়েছে। অতিরিক্ত মালামাল ও যাত্রী না নেয়ার জন্য একাধিকবার ঘাটের লোকজনকে বলা হলেও তারা শুনেনি। উল্টো তারা যাত্রীদের নৌকা থেকে নামিয়ে দেয়ার কথা বলেছিলেন।
আদালত মামলা দুটি আমলে নিয়ে শিবগঞ্জ থানার ওসিকে ১২ ডিসেম্বরের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন দেয়ার নির্দেশনা দিয়েছে।
শিবগঞ্জের পদ্মা নদীতে ২৯ সেপ্টম্বর নৌকাডুবির ঘটনায় প্রথম দিন নিলুফা বেগম ও ফিটু আলীর মেয়ে মাইশার মরদেহ পাওয়া।
পরদিন বিকালে রাজশাহীর গোদাগাড়ি উপজেলার সুলতানগঞ্জ থেকে ফিটু আলীর ছেলে আসমাউলের মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
১ অক্টোবর আবারও সুলতানগঞ্জ এলাকা থেকে হারুনের স্ত্রী ডেজিআরা বেগমের মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
গত সোমবার চাঁপাইনবাবগঞ্জের চরবাগডাঙ্গা বাখরআলী এলাকার পদ্মা নদী থেকে ডেজিআরা বেগমের মেয়ে বৃষ্টি খাতুনের মরদেহ উদ্ধার করে স্থানীয়রা।
এ নৌকাডুবির ঘটনায় পাঁচজনের মরদেহ উদ্ধার হয়েছে। নিখোঁজ অন্তত তিনজন। তারা হলেন খাইরুল ইসলাম, দুলভপুর ইউনিয়নের আল আমিনের পাঁচ বছর বয়সী মেয়ে আমেনা ও দুই বছরের ছেলে মাসুম।