করোনাভাইরাসে আক্রান্তদের মধ্যে গত ২৪ ঘণ্টায় ২১ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ সময়ে সংক্রমণ ধরা পড়েছে ৭০৩ জনের দেহে। আরও কমেছে শনাক্তের হার।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে মঙ্গলবার পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। এতে বলা হয়, দেশে এ পর্যন্ত করোনার সংক্রমণ ধরা পড়েছে ১৫ লাখ ৬০ হাজার ১৫৫ জনের দেহে। এর মধ্যে মৃত্যু হয়েছে ২৭ হাজার ৬৩৫ জনের।
গত ২৪ ঘণ্টায় দেশের ৮২১টি ল্যাবে ২৪ হাজার ৩৭৮ নমুনা পরীক্ষা করা হয়। পরীক্ষা বিবেচনায় শনাক্তের হার ৫ শতাংশের নিচে, ২ দশমিক ৮৮ শতাংশ। এ নিয়ে টানা ১৬ দিন দেশের করোনা শনাক্তের হার ৫ শতাংশের নিচে।
দেশে করোনা শনাক্ত হয় গত বছরের ৮ মার্চ। সেই বছরের ডিসেম্বরে প্রথম ঢেউ নিয়ন্ত্রণে আসে। এরপর মার্চে দেখা দেয় দ্বিতীয় ঢেউ। ভারতীয় ডেল্টা ভ্যারিয়েন্ট উদ্বেগজনক পরিস্থিতি তৈরি করে। মাস ছয়েক পর পরিস্থিতি আবার নিয়ন্ত্রণের পথে। গত কয়েক দিন ধরেই ধারাবাহিকভাবে কমছে মৃত্যু ও শনাক্তের সংখ্যা।
চলতি বছরের এপ্রিল, মে, জুন ও জুলাই মাসে পরীক্ষার বিপরীতে শনাক্তের হার ২০ শতাংশ ছাড়িয়ে যায়। একপর্যায়ে তা ৩০ শতাংশও হয়ে যায়। এ অবস্থায় এপ্রিলে লকডাউন ও পরে জুলাইয়ে দেয়া হয় শাটডাউন নামে বিধিনিষেধ। ১১ আগস্ট বিধিনিষেধ প্রত্যাহারের পর থেকে করোনা রোগী শনাক্ত ও মৃত্যু ধীরে ধীরে কমে আসে। কমে আসে শনাক্ত হারও।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় মৃত ব্যক্তিদের মধ্যে পুরুষ ৯, নারী ১২ জন। মৃত্যুর হার ১ দশমিক ৭৭ শতাংশ। মৃতদের মধ্যে একজন শিশু রয়েছে। এ ছাড়া ত্রিশোর্ধ্ব ২, ত্রিশোর্ধ্ব ২, চল্লিশোর্ধ্ব ৪, পঞ্চাশোর্ধ্ব ৬, ষাটোর্ধ্ব ২ ও সত্তরোর্ধ্ব ৪ জন।
বিভাগ অনুযায়ী সর্বোচ্চ ৮ জনের মৃত্যু হয়েছে ঢাকা বিভাগে। এ ছাড়া চট্টগ্রামে ৮, খুলনা ২, সিলেট ১ ও রংপুরে ২ জনের মৃত্যু হয়েছে।
গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা থেকে সুস্থ হয়েছেন ৮১৭ জন। এখন পর্যন্ত সুস্থ হয়েছেন ১৫ লাখ ২১ হাজার ১১৩ জন। সুস্থতার হার ৯৭ দশমিক ৫০ শতাংশ।