সাংবাদিক কনক সারোয়ারের বোন নুসরাত শাহরিন রাকাকে পৃথক দুই মামলায় পাঁচ দিনের রিমান্ডে পেয়েছে পুলিশ।
ঢাকার অতিরিক্ত মুখ্যমহানগর হাকিম আবুবকর ছিদ্দিকের আদালত বুধবার ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলায় রাকাকে ৩ দিন এবং মহানগর হাকিম নিভানা খায়ের জেসীর আদালত মাদক মামলায় ২ দিনের রিমান্ড আদেশ দেয়।
এর আগে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা উত্তরা পশ্চিম থানার এসআই বদরুল মিল্লাত আসামি রাকাকে আদালতে হাজির করেন। পরে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলায় সাত দিন এবং মাদক মামলায় সাত দিন করে মোট ১৪ দিনের রিমান্ড আবেদন করেন।
রাষ্ট্রপক্ষে ঢাকা মহানগর পাবলিক প্রসিকিউটর আব্দুল্লাহ আবু রিমান্ড মঞ্জুরের প্রার্থণা করেন। তিনি বলেন, ‘এ আসামি ডিজিটাল প্ল্যাটফর্ম ব্যবহার করে সরকারের মন্ত্রী, বিভিন্ন সংস্থাকে কটূক্তি করত। দেশের গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন করাসহ মিথ্যা তথ্য প্রকাশ ও প্রচারের মাধ্যমে দেশের আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি ঘটানোর চেষ্টায় লিপ্ত। তার ভাই কনক সারোয়ারও বিদেশে বসে সরকারের বিরুদ্ধে উস্কানীমূলক বক্তব্য দেয়।’
আসামির পক্ষে মাসুদ আহমেদ তালুকদার, ঢাকা বারের সাধারণ সম্পাদক খন্দকার মো. হযরত আলী, ওমর ফারুক ফারুকী রিমান্ড বাতিল চেয়ে জামিন আবেদন করেন। তারা বলেন, ‘কেউ একজন তার নামে ফেক আইডি ইউজ করছে। এটা জেনে তিনি ২৭ সেপ্টেম্বর উত্তরা পশ্চিম থানায় ডিডি করেন ফেক আইডি বন্ধের জন্য। পরে পুলিশই তার বিরুদ্ধে অভিযোগ আনলো। তাকে গ্রেপ্তার করল।’
জিঘাংসা, প্রতিহিংসার শিকার রাকা। নারী, অসুস্থ বিবেচনায় রাকার রিমান্ড বাতিল চেয়ে জামিন আবেদন করেন তারা।
উভয়পক্ষের শুনানি শেষে আদালত পাঁচ দিনের রিমান্ড আদেশ দেয় বলে নিউজবাংলাকে নিশ্চিত করেন আইনজীবী হেমায়েত উদ্দিন খান হিরণ।
রাজধানীর উত্তরায় অভিযান চালিয়ে সোমবার দিবাগত রাতে রাকাকে গ্রেপ্তার করে র্যাবের সদস্যরা। ডিজিটাল প্ল্যাটফর্ম ব্যবহার করে রাষ্ট্রবিরোধী তৎপরতার অভিযোগে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। এরপর তার বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে একটি এবং মাদক আইনে আরেকটি মামলা করে র্যাব।
র্যাব জানায়, বিদেশে অবস্থানকারী একটি ‘চক্র’ দেশে থাকা ‘এজেন্টদের যোগসাজশে’ ভার্চুয়ালি ‘রাষ্ট্রবিরোধী অপপ্রচার’ চালাচ্ছেন। বিষয়টি গোয়েন্দা নজরে আসার পর তাদের ধরতে সক্রিয় হয় র্যাব। যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থানরত ভাই কনক সারোয়ারকে সহযোগিতা করতে রাকাও এসব কর্মকাণ্ডের সঙ্গে যুক্ত।