রাজধানীর পল্লবী থেকে ‘নিখোঁজ’ তিন কলেজছাত্রী কক্সবাজারে গিয়েছিল বলে জানিয়েছে র্যাব।
র্যাব-৪-এর অধিনায়ক অতিরিক্ত ডিআইজি মোজাম্মেল হক নিউজবাংলাকে এ তথ্য জানিয়েছেন।
গত ৩০ সেপ্টেম্বর সকালে পল্লবী থেকে কলেজছাত্রী তিন কিশোরী ‘নিখোঁজ’ হয়। তারা বাসা ছেড়ে বের হওয়ার সময় টাকা, অলংকার ও নিজেদের সার্টিফিকেট নিয়ে যায়।
দীর্ঘ সময় ছাত্রীরা বাসায় না ফেরায় পরিবার খোঁজাখুঁজি শুরু করে। পরে এ বিষয়ে পল্লবী থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) হয়।
তিন কলেজছাত্রীর সন্ধান না পেয়ে চারজনের নাম উল্লেখ করে এবং আরও চার থেকে পাঁচজনকে অজ্ঞাতপরিচয় আসামি করে মামলা হয়।
এজাহারে দাবি করা হয়, কলেজছাত্রীদের পরিবার লোক মারফত জানতে পেরেছে অপহরণের ঘটনা। পল্লবী ১০ নম্বর সেকশনের প্যারিস রোডের কাইল্লার মোড়ের উত্তর পাশের পাকা রাস্তা থেকে একটি সাদা মাইক্রোবাসে তাদের উঠিয়ে নেয়া হয়।
এ মামলায় এজাহারভুক্ত চারজনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আগেই আটক করেছিল পুলিশ। পরে তাদের মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়।
মিরপুর বেড়িবাঁধ এলাকা থেকে বুধবার ভোরে তিন কলেজছাত্রীকে উদ্ধার করে র্যাব।
তাদের বিষয়ে র্যাবের কর্মকর্তা মোজাম্মেল হক নিউজবাংলাকে বলেন, ‘তিন মেয়ের বক্তব্য অনুযায়ী, মেহজাবিন নামে এক মেয়ের সঙ্গে ওদের পরিচয় হয়েছিল। সে তাদের কক্সবাজার নিয়ে গিয়েছিল।
‘আমরা সিসিটিভি ফুটেজ চেক করেছি, কিন্তু মেহজাবিনকে পাইনি। শুধু তিনজন মেয়েকেই দেখা গেছে।’তিনি জানান, নিখোঁজ হওয়া তিনজনের সন্ধানে র্যাব কক্সবাজারেও গিয়েছিল। কিন্তু বাহিনীর উপস্থিতি টের পেয়ে তিনজন ঢাকায় চলে আসে। ঢাকায় আসার পর তাদের বেড়িবাঁধ এলাকা থেকে উদ্ধার করা হয়।
মেহজাবিনের বিষয়ে র্যাব বলছে, তিন কলেজছাত্রী মেহজাবিন নামে যার কথা বলেছে, তার মোবাইল নম্বর তাদের কাছে নেই। তারা যেসব মোবাইল নিয়ে গিয়েছিল, সেগুলো নষ্ট করে দিয়েছে। নতুন মোবাইল কিনে মেহজাবিনের কোনো নম্বর ওঠায়নি বলে তারা জানিয়েছে।
তিন কলেজছাত্রীর বক্তব্য যাচাই-বাছাই করছে র্যাব। কেউ তাদের নিয়ে গিয়েছিল, নাকি তারা স্বেচ্ছায় বাইরে গিয়েছিল, তা তদন্ত করা হচ্ছে।
র্যাব-৪-এর অধিনায়ক মোজাম্মেল হক বলেন, ‘আজকেই পল্লবী থানা এবং পরিবারের কাছে তিন মেয়েকে হস্তান্তর করা হবে।’