বিদেশি চ্যানেলের ক্লিন ফিড নিশ্চিতে কেব্ল অপারেটররা আরও সময় চাইলেও তাতে একমত নন তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী হাছান মাহমুদ।
সচিবালয়ে বুধবার বাংলাদেশ সেক্রেটারিয়েট রিপোর্টার্স ফোরামের সংলাপে তিনি বলেন, ‘বিদেশি চ্যানেলগুলো যেদিন থেকে ক্লিন ফিড পাঠাবে, সেদিন থেকেই তারা সম্প্রচার করতে পারবে। এর আগে, তাদের সময় দেয়ার পক্ষপাতী আমি নই। অনেক চ্যানেল এরই মধ্যে ক্লিন ফিড প্রচার শুরু করেছে। বাকিগুলোও শিগগিরই করবে।’
ক্লিন ফিড (বিজ্ঞাপনমুক্ত) ছাড়া বিদেশি চ্যানেল সম্প্রচারের ওপর সরকার বিধিনিষেধ জারির পর গত বৃহস্পতিবার রাত থেকে সব বিদেশি চ্যানেল প্রদর্শন বন্ধ করে দিয়েছে কেব্ল অপারেটররা। এ সিদ্ধান্ত কার্যকরে আরও সময় চেয়েছেন তারা। এমনকি যেসব চ্যানেল ক্লিন ফিড সম্প্রচার করছে, সেসব চ্যানেলও কেব্ল অপারেটররা সম্প্রচার করছেন না বলে অভিযোগ উঠেছে।
বিজ্ঞাপনসহ অনুষ্ঠান প্রচার করে, এমন বিদেশি চ্যানেলগুলো থেকে বিজ্ঞাপন কেটে বাদ দিয়ে সম্প্রচার করা সম্ভব নয়। এ কারণে তারা চ্যানেলগুলো দেখানোই বাদ দিয়ে দিয়েছেন। সরকারের নতুন কোনো নির্দেশনা না আশা পর্যন্ত সেগুলো বন্ধই থাকবে।
ক্লিন ফিড নিশ্চিত করা হলে দেশে কোনো বিদেশি টেলিভিশন চ্যানেলের সম্প্রচারে বিদেশি কোনো বিজ্ঞাপন বা অন্যান্য কোনো বাণিজ্যিক কনটেন্ট থাকবে না। বিষয়টি নিশ্চিত করতে দীর্ঘদিন ধরে দাবি জানিয়ে আসছিল অ্যাটকো, টিভি চ্যানেল ডিস্ট্রিবিউটর ও কেব্ল অপারেটররা।
গত মাসের শুরুতে তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী হাছান মাহমুদের সঙ্গে অ্যাসোসিয়েশন অফ টেলিভিশন চ্যানেল ওনার্স (অ্যাটকো), টিভি চ্যানেল ডিস্ট্রিবিউটর ও কেব্ল অপারেটর প্রতিনিধিদের বৈঠকে দেশে ক্লিন ফিড ছাড়া বিদেশি চ্যানেল ১ অক্টোবর থেকে বন্ধের সিদ্ধান্ত হয়। ওই সিদ্ধান্ত অনুযায়ীই, উদ্যোগ নিয়েছে সরকার।
বিদেশি শিল্পী দিয়ে দেশি বিজ্ঞাপন তৈরির বিষয়েও কড়াকড়ি আরোপ করা হচ্ছে বলেও জানান তথ্যমন্ত্রী। বলেন, ‘আমরা এরই মধ্যে একটি পরিপত্র জারি করেছি। কোনো নির্মাতা যদি বিদেশি শিল্পী দিয়ে বিজ্ঞাপন তৈরি করতে চান তাহলে তাকে শিল্পীপ্রতি ২ লাখ টাকা করে ট্যাক্স দিতে হবে। আর যে চ্যানেলে এটি প্রচার হবে তাদের এককালীন ২০ হাজার টাকা দিতে হবে।’