করোনাভাইরাস প্রতিরোধে এ বছর পূজামণ্ডপে পুরোহিতদের মাস্ক পরে অর্চনা করার বাধ্যবাধকতাসহ ৬ দফা নির্দেশনা জারি করেছে ধর্ম মন্ত্রণালয়।
এবারের দুর্গোৎসবে স্বাস্থ্যবিধির কড়াকড়ির বিষয়টি বুধবার মন্ত্রণালয় থেকে দেয়া এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়।
বলা হয়, পুরোহিত বা ঠাকুর এবং উপস্থিত পূজারিকে অবশ্যই মাস্ক পরতে হবে।
যেসব মন্দিরে শারদীয় দুর্গাপূজা উদযাপিত হবে, সেসব মন্দিরের প্রবেশপথে সাবান পানি দিয়ে হাত ধোয়া বা হ্যান্ড স্যানিটাইজারের ব্যবস্থা রাখতে হবে। প্রয়োজনে প্রবেশপথে থার্মাল স্ক্যানার দিয়ে তাপমাত্রা পরিমাপের ব্যবস্থা করতে হবে।
পাশাপাশি ঢাকার রামকৃষ্ণ মিশন মন্দির, ঢাকাশ্বেরী মন্দির, জয়কালী মন্দির, রমনা কালী মন্দিরসহ বড় বড় মন্দিরে কঠোর স্বাস্থ্যবিধি মেনে পূজা-অর্চনা করতে বলা হয়েছে।
প্রতিমা বিসর্জনের সময় সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার বাধ্যবাধকতাও আরোপের কথা বলা হয় বিজ্ঞপ্তিতে।
এ ছাড়া আজান ও নামাজের সময় মসজিদ পাশের পূজামণ্ডপগুলোতে পূজা ও বিসর্জনের সময় শব্দযন্ত্রের ব্যবহার সীমিত রাখার জন্য এবং উচ্চ স্বরে শব্দযন্ত্র ব্যবহারে নিরুৎসাহিত করার কথা বলা হয়।
স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ করে সব ধর্মীয় রীতিনীতি, পূজা-অর্চনা, মাঙ্গলিক কাজ, প্রতিমা বিসর্জনসহ অন্য কার্যক্রম পালনের কথাও জানানো হয় এতে।
নির্দেশনা অমান্য করলে স্থানীয় প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণকারী বাহিনীকে সংশ্লিষ্ট মণ্ডপের দায়িত্বশীলদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়ারও নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দুর্গোৎসবের পুণ্যলগ্ন শুভ মহালয়া মঙ্গলবার। এদিন অমাবস্যার শুরু এবং পরবর্তী পূর্ণিমায় কোজাগরি লক্ষ্মীপূজার মধ্য দিয়ে শেষ হয় দেবীপক্ষ। মহালয়ার পাঁচ দিন পর ১১ অক্টোবর মহাষষ্ঠীতে শুরু হয় মূল দুর্গোৎসব। আর ১৫ অক্টোবর দশমীতে বিসর্জনের মধ্য দিয়ে শেষ হবে এবারের দুর্গাপূজা।