বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

কুতুবদিয়ায় পানিতে ডুবে ৯ মাসে ৪৩ শিশুর মৃত্যু

  •    
  • ৬ অক্টোবর, ২০২১ ১০:০২

কুতুবদিয়ায় পানিতে ডুবে সবচেয়ে বেশি শিশুর মৃত্যু হয়েছে আগস্ট ও সেপ্টেম্বর মাসে। দ্বীপের উত্তর ধুরুং, দক্ষিণ ধুরুং ও কৈয়ার বিল ইউনিয়নে এসব ঘটনা বেশি ঘটছে। এর মধ্যে ১০ বছরের কম বয়সী শিশুর সংখ্যা তুলনামূলক বেশি। তাদের মৃত্যু হয়েছে বাড়ির পাশের পুকুর বা ডোবার পানিতে পড়ে।

কক্সবাজারের দ্বীপ উপজেলা কুতুবদিয়ায় ডোবা ও পুকুরে ডুবে একের পর এক শিশু মৃত্যুর ঘটনা ঘটছে।

উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগের তথ্যানুযায়ী, ১ জানুয়ারি থেকে ৩১ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ৯ মাসে উপজেলার ছয়টি ইউনিয়নে অন্তত ৪৩ শিশুর পানিতে ডুবে মৃত্যু হয়েছে।

সবশেষে গত শুক্রবার উপজেলার দক্ষিণ ধুরুং ও কৈয়ারবিল ইউনিয়নে একই দিনে পানিতে ডুবে তিন শিশুর মৃত্যু হয়। সেই হিসাবে জানুয়ারি থেকে অক্টোবরের ৩ তারিখ পর্যন্ত মোট ৪৬ শিশু পানিতে ডুবে মারা গেছে।

শিশুমৃত্যুর হার পর্যালোচনা করে দেখা গেছে, গত দুই বছরের তুলনায় চলতি বছর পানিতে ডুবে শিশুমৃত্যুর হার বেড়েছে। চলতি বছরে প্রতি মাসে অন্তত পাঁচ শিশু এভাবে মারা গেছে।

সবচেয়ে বেশি শিশুর মৃত্যু হয়েছে আগস্ট ও সেপ্টেম্বর মাসে। দ্বীপের উত্তর ধুরুং, দক্ষিণ ধুরুং ও কৈয়ার বিল ইউনিয়নে পুকুরে ডুবে মৃত্যুর ঘটনা বেশি ঘটছে। এর মধ্যে ১০ বছরের কম বয়সী শিশুর সংখ্যা তুলনামূলক বেশি। এসব শিশুর মৃত্যু হয়েছে বাড়ির পাশের পুকুর কিংবা ডোবার পানিতে পড়ে।

পানিতে ডুবে শিশুমৃত্যুর কারণ অনুসন্ধানে দ্বীপের বিভিন্ন পয়েন্টে গিয়ে দেখা যায়, বসতবাড়ি নির্মাণে ভিটা ভরাট করার জন্য অথবা নিত্যপ্রয়োজনীয় কাজে ব্যবহারের জন্য মাটি তুলে ছোট, বড় বা মাঝারি আকারের পুকুর কিংবা ডোবা খনন করা হয়েছে। বেশির ভাগ পুকুর বা ডোবার চারপাশ ঘেরা না থাকায় শিশুরা খেলার সময় পানিতে ডুবে প্রাণ হারাচ্ছে।

এ বিষয়ে উত্তর ধুরুং ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান শাহারিয়ার চৌধুরী‌ ও দক্ষিণ ধুরুং ইউনিয়ন পরিষদ ছৈয়দ আহমদ চৌধুরী নিউজবাংলাকে জানান, পানিতে ডুবে শিশুমৃত্যুর প্রধান কারণ পারিবারের সদস্যদের অসচেতনতা ও অসাবধানতা। পারিবারিক সচেতনতা বাড়লে এসব দুর্ঘটনা এড়ানো সম্ভব বলে মনে করেন তারা।

উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ইপিআই টেকনিশিয়ান কামরুল হাসান নিউজবাংলাকে বলেন, ‘কুতুবদিয়ার বেশির ভাগ পুকুরের চারপাশে কোনো ঘেরা নেই। যার কারণে শিশুরা খেলার সময় পুকুরে পড়ে যায়।’

উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী নিউজবাংলাকে বলেন, ‘মা-বাবার অসচেতনতায় হচ্ছে শিশুদের পানিতে ডুবে প্রাণ হারানোর প্রধান কারণ। তারা সচেতন না হলে পানিতে পড়ে শিশুর মৃত্যু মহামারি আকার ধারণা করবে।’

এ বিষয়ে সচেতনতামূলক সভা করতে হাসপাতালের একাধিক সভায় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে (ইউএনও) প্রস্তাব দেয়া হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, পানিতে ডুবে শিশুর মৃত্যু প্রতিরোধে উপজেলা প্রশাসন থেকে শিগগিরই অভিভাবকদের সচেতন করতে সভা ও সেমিনারের আয়োজন করা হবে।

এ বিষয়ে উপজেলা প্রশাসন কী পদক্ষেপ নিয়েছে জানতে চাইলে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. নূরে জামান চৌধুরী নিউজবাংলাকে বলেন, ‘বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে দেখা হচ্ছে। পানিতে ডুবে শিশুর মৃত্যু রোধে মাঠপর্যায়ে উঠান বৈঠকের মাধ্যমে গ্রামের নারীদের সতর্ক করার জন্য শিগগিরই সভা-সেমিনারের আয়োজন করা হবে।’

এ বিভাগের আরো খবর