কিশোরগঞ্জে বর্ণাঢ্য আয়োজনে উদযাপন করা হয়েছে বিশ্ব শিক্ষক দিবস। আলোচনাসভা ও শোভাযাত্রার মাধ্যমে মঙ্গলবার দিবসটি পালন করে বাংলাদেশ শিক্ষক সমিতি কিশোরগঞ্জ জেলা শাখা।
কিশোরগঞ্জ বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় মিলনায়তনে দুপুর ২টায় আলোচনা সভার আয়োজন করে শিক্ষকদের সংগঠনটি। পরে সেখান থেকে শুরু হওয়া শোভাযাত্রা কিশোরগঞ্জ পৌর এলাকার বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের বেসরকারি শিক্ষক-কর্মচারী অবসর সুবিধা বোর্ডের সচিব অধ্যক্ষ শরীফ আহমেদ সাদী।
তিনি বলেন, ‘শিক্ষকরা হলেন মানুষ গড়ার কারিগর। শিক্ষার্থীরা কে, কার সন্তান একজন শিক্ষকের কাছে এ নিয়ে কোনো ভেদাভেদ নেই। একজন শিক্ষকের কাছে রিকশাচালকের সন্তান যেমন, মন্ত্রী বা আমলার সন্তানও সে রকমই।
‘অতীতে খাদ্যের চিন্তায় মানুষের ঘুম আসত না। সন্তানকে পড়ানোর চিন্তা তাদের মাথায় আসতই না। এখন খাদ্যের চিন্তা দূর হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকার ছাত্র-ছাত্রীদের বিনামূল্যে বই দিচ্ছে। বিনামূল্যে পড়ার সুযোগ করে দিচ্ছে।
‘স্কুলে মিড-ডে মিল বাস্তবায়নের মাধ্যমে খাদ্যও দেয়া হচ্ছে। শুধু তাই নয়, শিক্ষার্থীদের উপবৃত্তি দিয়েও সহায়তা দিচ্ছে বর্তমান সরকার। এ সুযোগ কাজে লাগিয়ে সন্তানদেরকে বিদ্যালয়ে পাঠাতে হবে অভিভাবকদের।’
অধ্যক্ষ শরীফ আহমেদ সাদী আরও বলেন, ‘আমরা বিশ্বাস করি, যার শিক্ষা নাই সে অন্ধ, বোবা, বধির। আমরা অনেক গরিবের সন্তানকে ডাক্তার, ইঞ্জিনিয়ার, ম্যাজিস্ট্রেট হতে দেখেছি। যারা আমাদের হাত দিয়েই হয়েছে।
‘আমরা জাতি গড়ার কারিগর, জাতিকে সৃষ্টি করি আমরা। বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে এ কারণেই। এগিয়ে যাওয়ার প্রধান কারণটিই হলো শিক্ষা।’
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন জেলা শিক্ষক সমিতির সভাপতি আফাজুর রহমান। সমিতির সাধারণ সম্পাদক হুমায়ুন কবীরের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা শামসুন্নাহার মাকসুদা।
অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য দেন আরজত আতরজান উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আবু বকর সিদ্দিক ও উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়ের সিনিয়র শিক্ষক আবুল হাসেম।