বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

ক্লিন ফিড দিতে দেড় বছর সময় চায় কোয়াব

  •    
  • ৫ অক্টোবর, ২০২১ ২১:৪৭

কোয়াবের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক এবিএম সাইফুল হোসেন বলেন, ‘ক্লিন ফিড দিয়ে বিদেশি চ্যানেলগুলো সম্প্রচার করতে হলে আগে দেশের কেব্‌ল কন্ট্রোলরুমগুলোকে ডিজিটাল করতে হবে। আমাদের দেশে ৫৬০টি কন্ট্রোলরুম আছে। সবগুলো কন্ট্রোলরুমে বক্স স্থাপন করে ডিজিটাল করতে হবে। এটা সময়ের ব্যাপার।’

দেশে ক্লিন ফিড দিয়ে বিদেশি চ্যানেল সম্প্রচারের পক্ষে আছে কেব্‌ল অপারেটরদের সংগঠন কোয়াব। সে জন্য প্রক্রিয়াটি ডিজিটাল করতে হবে। আর ডিজিটাল করতে অন্তত দেড় বছর সময় চেয়েছেন সংগঠনের নেতারা।

মঙ্গলবার বিকেলে রাজধানীর বনানীর এফএসবিএল টাওয়ারে অ্যাটকো ও কোয়াব নেতাদের এক বৈঠক শেষে এ সময় চান তারা।

সরকারি নির্দেশনায় ১ অক্টোবর থেকে ক্লিন ফিড ছাড়া বিদেশি চ্যানেলের সম্প্রচার বন্ধ রেখেছে দেশের ক্যাবল অপারেটররা। এতে দর্শকরা বিদেশি চ্যানেল দেখতে পারছেন না।

বিষয়টিকে টেলিভিশন মালিকদের সংগঠন অ্যাটকো সহজভাবে নিলেও দ্বিধায় ছিলেন কেব্‌ল অপারেটরবা। সমাধান খুঁজতে প্রাথমিকভাবে এ বৈঠক করেছে দুই সংগঠনের নেতারা।

বৈঠক শেষে অ্যাসোসিয়েশন অফ টেলিভিশন চ্যানেল ওনার্স- অ্যাটকোর সভাপতি অঞ্জন চৌধুরী সাংবাদিকদের জানান, সরকার দেশের ভালো চিন্তা করেই এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে। অ্যাটকো সিদ্ধান্তটিকে সাধুবাদ জানায়।

তিনি বলেন, ‘সরকার যে সিদ্ধান্ত নিয়েছে আমরা তাকে স্বাগত জানিয়েছি। এ সিদ্ধান্ত দেশ ও দেশের টেলিভিশন সংশ্লিষ্ট সবার জন্যই ভালো। এটা সারা বিশ্বেই আছে। আমাদের দেশে ২০০৬ সালেই এ নিয়মটি হয়েছিল, কিন্তু এতোদিন বাস্তবায়ন হয়নি। এটা আমাদের প্রাণের দাবি ছিল।’

তিনি আরও বলেন, ‘ক্লিন ফিডের বিষয়টা শুধু আমাদের না, এর সঙ্গে কেব্ল অপারেটর ভাইয়েরাও আছেন, তাদের মাধ্যমেই সম্প্রচার হয়। তারাও এ সিদ্ধান্তের সঙ্গে আছেন।

‘এটি বাস্তবায়নের জন্য কিছু কিছু বিষয়ের সমাধান করতে হবে। সে জন্য আমরা আজকে প্রাথমিকভাবে কোয়াব ও অ্যাটকোর কয়েকজন বসেছিলাম। আমরা দুই সংগঠনের নেতারা ৭ তারিখ আবার বসব।’

ক্লিন ফিড জটিলতা নিরসনে কোয়াব ও অ্যাটকো নেতাদের বৈঠক। ছবি: নিউজবাংলা

কোয়াবের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি এস এম আনোয়ার পারভেজ বলেন, ‘আমাদের মূল শক্তি আমাদের দর্শক। কিন্তু সরকারের একটি সিদ্ধান্তে আমাদের দর্শকরা বিদেশি চ্যানেলগুলো দেখতে পারছেন না। আমরা কীভাবে সমস্যা থেকে বের হয়ে আসতে পারি সে জন্যআবারও বসব।’

তিনি বলেন, ‘আমাদের নেটওয়ার্ক শিল্পটা না থাকলে দেশের টেলিভিশনগুলোর ওপর এর নেতিবাচক প্রভাব পড়বে। নিশ্চয়ই আমরা আলোচনা করে এর একটি সমাধানের পথ খুঁজে বের করব।’

কোয়াবের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক এবিএম সাইফুল হোসেন বলেন, ‘ক্লিন ফিড দিয়ে বিদেশি চ্যানেলগুলো সম্প্রচার করতে হলে আগে দেশের কেব্‌ল কন্ট্রোলরুমগুলোকে ডিজিটাল করতে হবে। আমাদের দেশে ৫৬০টি কন্ট্রোলরুম আছে। সবগুলো কন্ট্রোলরুমে বক্স স্থাপন করে ডিজিটাল করতে হবে। এটা সময়ের ব্যাপার।

‘সরকার আমাদের ২০১৯ সালে ডিজিটাল করার নির্দেশনা দিলেও করোনা মহামারির জন্য এর বাস্তবায়ন সম্ভব হয়নি। এটা করতে আমাদের আরও দেড় বছর সময় লাগবে। সে সময় দিতে হবে। আমরাও বিদেশি বিজ্ঞাপনের পক্ষে নই। তবে সময় না দিলে আমাদের দর্শকরা বঞ্চিত হচ্ছেন।’

এ বিভাগের আরো খবর