বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

কিউকমের টাকা যার হাতে, অনুমোদন নেই তারই

  •    
  • ৫ অক্টোবর, ২০২১ ২১:০৪

গ্রেপ্তারের পর কিউকমের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা রিপন মিয়া পুলিশকে জানান, তিনি গ্রাহকদের ২৫০ কোটি টাকা সরিয়েছেন। এ ছাড়া পেমেন্ট গেটওয়ে ফস্টারের কাছে তাদের ৩৯৭ কোটি টাকা আছে। তবে ফস্টার পেমেন্ট লাইসেন্সের জন্য বাংলাদেশ ব্যাংকে আবেদন করলেও এখনও তা বিবেচনায় নেয়া হয়নি। প্রতিষ্ঠানটির বিরুদ্ধে মানি লন্ডারিংসহ বিভিন্ন অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতেই লাইসেন্স দেয়া হয়নি।

ই-কমার্স প্রতারণায় অভিযুক্ত কিউকমের পেমেন্ট গেটওয়ে বা পরিশোধ সেবাদাতা প্রতিষ্ঠান (পিএসও) ফস্টার পেমেন্ট বাংলাদেশ ব্যাংক অনুমোদিত প্রতিষ্ঠান নয়।

এ প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে মানি লন্ডারিংয়ের অভিযোগ রয়েছে।

ফস্টারের ব্যাংক অ্যাকাউন্ট ইতোমধ্যে ফ্রিজ করেছে বিএফআইইউ। গত ৯ সেপ্টেম্বর প্রতিষ্ঠানটির অ্যাকাউন্টের লেনদেন স্থগিত করা হয়। মানি লন্ডারিংয়ের অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) অনুরোধে এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে বলে জানা গেছে।

ফস্টারের বড় গ্রাহক প্রতিষ্ঠান কিউকম। প্রতারণার দায়ে গত রোববার এর প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. রিপন মিয়াকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

গ্রেপ্তারের পর রিপন মিয়া পুলিশকে জানিয়েছেন, তিনি গ্রাহকদের ২৫০ কোটি টাকা সরিয়েছেন। এ ছাড়া ফস্টারের কাছে তাদের ৩৯৭ কোটি টাকা আছে।

বাংলাদেশ ব্যাংক সূত্রে জানা গেছে, ই-পেমেন্ট গেটওয়ে বা ই-ওয়ালেট সেবা দিতে বাংলাদেশ পেমেন্ট অ্যান্ড সেটেলমেন্ট সিস্টেমস রেগুলেশনস-২০১৪ এর আওতায় কেন্দ্রীয় ব্যাংক থেকে লাইসেন্স নিতে হয়। এখন পর্যন্ত ৯টি প্রতিষ্ঠানকে লাইসেন্স দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। এর মধ্যে পেমেন্ট সার্ভিস অপারেটর বা ই-পেন্টে গেটওয়ে সেবার জন্য লাইসেন্স পেয়েছে পাঁচটি।

আর চারটি প্রতিষ্ঠানকে পেমেন্ট সার্ভিস প্রোভাইডার বা ই-ওয়ালেট সেবার জন্য লাইসেন্স দেয়া হয়েছে। সর্বশেষ চলতি বছরের ১২ জানুয়ারি পেমেন্ট সার্ভিস অপারেটর হিসেবে লাইসেন্স পেয়েছে পোর্টোনিক্স লিমিটেড।

ফস্টার পেমেন্ট লাইসেন্সের জন্য বাংলাদেশ ব্যাংকে আবেদন করলেও এখনও তা বিবেচনায় নেয়া হয়নি। প্রতিষ্ঠানটির বিরুদ্ধে মানি লন্ডারিংসহ বিভিন্ন অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতেই লাইসেন্স দেয়া হয়নি।

বিভিন্ন পর্যায়ে অনুসন্ধান শেষে সিআইডির অনুরোধে সম্প্রতি তাদের অ্যাকাউন্ট ফ্রিজ করা হয়েছে। অবশ্য বাংলাদেশ ব্যাংকের অনুমোদিত না হলেও গত ২৭ সেপ্টেম্বর বাণিজ্য মন্ত্রণালয় থেকে গভর্নর ফজলে কবির বরাবর পাঠানো একটি চিঠিতে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের অনুমোদিত হিসেবে উল্লেখ করা হয়।

গ্রাহকদের সঙ্গে প্রতারণা বন্ধ ও অটোমেটেড পদ্ধতিতে ই-কমার্স প্রতিষ্ঠানের লেনদেন নিষ্পত্তির জন্য স্ট্যান্ডার্ড অপারেটিং প্রোসিডিউর (এসওপি) প্রণয়নের কাজ করছে একটি কমিটি।

বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক খুরশীদ আলমের নেতৃত্বে গঠিত কমিটিতে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়, ব্যাংক, এমএফএস, ইক্যাব, কুরিয়ার সার্ভিস প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধি রয়েছেন।

ইভ্যালিসহ কয়েকটি ই-কমার্স প্রতিষ্ঠানের প্রতারণার বিষয়টি সামনে আসায় সম্প্রতি বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের একটি নির্দেশিকা ও বাংলাদেশ ব্যাংকের সার্কুলারের আলোকে ই-কমার্সের লেনদেন কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে।

এসব নীতিমালার আওতায় কোনো ই-পেমেন্ট গেটওয়ে গ্রাহক পণ্য বুঝে না পাওয়া পর্যন্ত অর্থ ছাড় করতে পারছে না। এক্ষেত্রে ম্যানুয়াল পদ্ধতিতে দ্বৈবচয়ন ভিত্তিতে লেনদেনের তথ্য যাচাই করে পরিশোধ করতে বলা হয়েছে।

যে কারণে অনেক ক্ষেত্রে গ্রাহককে পণ্য বুঝিয়ে দেয়ার পরও ই-কমার্স প্রতিষ্ঠানগুলোর টাকার পেতে দেরি হচ্ছে।

এ বিভাগের আরো খবর