বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

অপহরণকারী চক্রের ৩ সদস্য কারাগারে

  •    
  • ৫ অক্টোবর, ২০২১ ২০:০০

আরএমপির পুলিশ কমিশনার আবু কালাম সিদ্দিক বলেন, প্রেমের ফাঁদ পেতে নানা শ্রেণি-পেশার মানুষকে বাসায় ডেকে নিত চক্রটি। তারপর আপত্তিকর ছবি তুলে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে দেয়ার হুমকি দিয়ে আদায় করত টাকা। সামাজিক মর্যাদা হারানোর ভয়ে বেশির ভাগ ভুক্তভোগী ঘটনা চেপে তাদের দাবি করা টাকা দিয়ে দিত।   

রাজশাহীতে প্রেমের ফাঁদে ফেলে অপহরণের পর মুক্তিপণ আদায়কারী চক্রের তিন সদস্যকে কারাগারে পাঠিয়েছে আদালত।

প্রতারণা, অপহরণ ও মুক্তিপণ আদায়ের মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে মঙ্গলবার বিকেলে মহানগর হাকিম আদালত-২-এ তোলা হলে বিচারক শংকর কুমার তাদের কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।

যাদের কারাগারে পাঠানো হয়েছে তারা হলেন চক্রের মূল হোতা পবা থানার চৌবাড়িয়া এলাকার ৫২ বছরের নার্গিস নাহার হেলেনা, বোয়ালিয়া থানার সুলতানাবাদ এলাকার ৩২ বছরের বাপ্পী ও পঞ্চবটী এলাকার ৪৩ বছরের কোহিনুর রাত্রী।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন আদালত পরিদর্শক আবুল হাশেম।

রাজশাহী মেট্রোপলিটন পুলিশের সদর দপ্তরে মঙ্গলবার দুপুরে সংবাদ সম্মেলনে পুলিশ কমিশনার আবু কালাম সিদ্দিক জানান, সোমবার রাতে অভিযান চালিয়ে অলোকার মোড় থেকে চক্রের মূল হোতা নার্গিস নাহার হেলেনাকে আটক করে গোয়েন্দা পুলিশ। পরে তার দেয়া তথ্যে আটক হন কোহিনুর ও বাপ্পী।

পুলিশ কমিশনার বলেন, ‘প্রেমের ফাঁদ পেতে নানা শ্রেণি-পেশার মানুষকে বাসায় ডেকে নিত চক্রটি। তারপর আপত্তিকর ছবি তুলে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে দেয়ার হুমকি দিয়ে আদায় করত টাকা। সামাজিক মর্যাদা হারানোর ভয়ে বেশির ভাগ ভুক্তভোগী ঘটনা চেপে তাদের দাবি করা টাকা দিয়ে দিত।

‘সম্প্রতি এক ব্যক্তিকে সুলতানাবাদ এলাকার একটি বাসায় ডেকে এক নারীর সঙ্গে আপত্তিকর ছবি তোলে চক্রটি। তারপর ওই ব্যক্তির কাছে দাবি করা হয় ৫০ হাজার টাকা। তাৎক্ষণিক ওই ব্যক্তি ১৮ হাজার টাকা তাদের দেন। বাকি টাকার জন্য তিনি তার পরিবারের সদস্যদের ফোন নম্বর দেন। কিন্তু পরিবারের সদস্যরা টাকা না দিয়ে বিষয়টি পুলিশকে জানান। পুলিশ অভিযান চালিয়ে ওই ব্যক্তিকে উদ্ধার করে এবং আটক করে তিনজনকে।’

কমিশনার আরও বলেন, ‘প্রায় ১৫ বছর ধরে চক্রটিকে নিয়ন্ত্রণ করে আসছেন নার্গিস। তিনি নারীদের ভাড়া করে লোকজনকে জিম্মি করাতেন। কোহিনুরকে ৩ হাজার টাকায় ওই কাজের জন্য ভাড়া করেছিলেন নার্গিস।’

এই চক্র থেকে সচেতন থাকতে সবার প্রতি আহ্বান জানিয়ে পুলিশ কমিশনার বলেন, ‘রাজশাহী নগরে এ ধরনের প্রতারক চক্র আরও আছে। তাদের আইনের আওতায় আনতে কাজ করছে পুলিশ। এ কাজে সবার সহযোগিতা চাইছি।’

এ বিভাগের আরো খবর