বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

নুরসহ ৫ জনকে অব্যাহতি, মামুনকে গ্রেপ্তারে পরোয়ানা

  •    
  • ৫ অক্টোবর, ২০২১ ১৯:৪২

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এক ছাত্রীর করা ধর্ষণ মামলায় নুরসহ পাঁচ আসামিকে অব্যাহতি দিয়ে অভিযোগপত্র জমা দিয়েছে পিবিআই। শুধু অভিযুক্ত করা হয়েছে ছাত্র অধিকার পরিষদের সাবেক আহ্বায়ক হাসান আল মামুনকে। আদালত অভিযোগপত্রটি আমলে নিয়েছে।

রাজধানীর কোতোয়ালী থানার ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের (ডাকসু) সাবেক সহ-সভাপতি (ভিপি) নুরুল হক নুরসহ পাঁচজন অব্যাহতি পেয়েছেন। তবে ২ নম্বর আসামি ছাত্র অধিকার পরিষদের সাবেক আহ্বায়ক হাসান আল মামুনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছে আদালত।

ঢাকার সাইবার ট্রাইব্যুনালের বিচারক আসসামছ জগলুল হোসেনের আদালত মঙ্গলবার এই আদেশ দেন।

কোতয়ালী থানায় ধর্ষণ, ধর্ষণে সহযোগিতা ও ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে গত বছর মামলাটি করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এক ছাত্রী।

সেই মামলায় ছাত্র অধিকার পরিষদের সাবেক আহ্বায়ক হাসান আল মামুনের নামে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে অভিযোগপত্র জমা দেয় পিবিআই৷ বাকি পাঁচ আসামিকে এই অভিযোগ থেকে অব্যাহতির সুপারিশ করা হয়।

সেই অভিযোগপত্র গ্রহণ করে আদালত পাঁচ আসামিকে অব্যাহতি এবং মামুনের নামে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছে বলে নিউজবাংলাকে নিশ্চিত করেন পেশকার শামিম আল মামুন।

আদালতে আসামিপক্ষে আইনজীবী ছিলেন খাদেমুল ইসলাম ও সিরাজুল ইসলাম। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ট্রাইব্যুনালের পাবলিক প্রসিকিউটর মোহাম্মদ নজরুল ইসলাম শামীম।

মামলা থেকে অব্যাহতিপ্রাপ্তরা হলেন ডাকসুর সাবেক ভিপি নুরুল হক, ছাত্র অধিকার পরিষদের সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক মো. সাইফুল ইসলাম, নাজমুল হাসান সোহাগ, নাজমুল হুদা ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী আব্দুল্লাহিল বাকী।

মামলায় অভিযোগ করা হয়, ওই তরুণীকে অপহরণের পর পারস্পরিক সহযোগিতায় ধর্ষণ করা হয় এবং সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে হেয় প্রতিপন্ন করা হয়।

মামলায় ঘটনার দিনক্ষণ উল্লেখ করা হয়েছে ২০২০ সালের ৯ ফেব্রুয়ারি সন্ধ্যা ৭টা ৪০ মিনিট থেকে রাত সাড়ে ৮টা পর্যন্ত। স্থান উল্লেখ করা হয়েছে, কোতোয়ালি থানা এলাকার সদরঘাট হোটেল অ্যান্ড রেস্টুরেন্ট।

সেই মামলায় ধর্ষণের ঘটনা নিয়ে পৃথক অভিযোগপত্র জমা দেয়া হয়। তাতে ছাত্র অধিকারের সাবেক নেতা নাজমুল হাসান সোহাগকে অভিযুক্ত করা হয়। মামলাটি নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-১ এ বিচারাধীন।

অপরদিকে মামলায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের একটি ধারায় হাসান আল মামুনকে অভিযুক্ত করে পৃথক অভিযোগপত্র জমা দেয়া হয়েছে।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ওই ছাত্রী ছয় আসামির বিরুদ্ধে লালবাগ থানায়ও একটি মামলা করেন। সেই মামলাতেও হাসান আল মামুনকে ধর্ষণের ঘটনায় অভিযুক্ত করে অভিযোগপত্র জমা দেয়া হয়। মামলাটি বর্তমানে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-২ এ বিচারাধীন রয়েছে।

এ বিভাগের আরো খবর