বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

শাপলা চত্বরে মৃত্যু নিয়ে অতিরঞ্জন: আদিলুরের বিরুদ্ধে সাক্ষ্য শুরু

  •    
  • ৫ অক্টোবর, ২০২১ ১৮:৪৩

২০১৩ সালে হেফাজতের শাপলা চত্বরে সমাবেশে ৬১ জনের মৃত্যু হয়েছে মর্মে প্রতিবেদন প্রকাশ করে বেসরকারি মানবাধিকার সংগঠন অধিকার। পরে এই দাবির পক্ষে কোনো প্রমাণ দিতে পারেনি সংগঠনটি। এ ঘটনায় একই বছর ১০ আগস্ট গুলশান থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেন ডিবির উপপরিদর্শক আশরাফুল ইসলাম।

আট বছর আগে মতিঝিলের শাপলা চত্বরে হেফাজতে ইসলামের কর্মীদের হটানোর রাতে ব্যাপক হারে হত্যার ‘ভিত্তিহীন’ অভিযোগ তোলার মামলায় মানবাধিকার সংগঠন ‘অধিকার’ এর সম্পাদক আদিলুর রহমান খানের বিরুদ্ধে সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু হয়েছে।

মঙ্গলবার ঢাকার সাইবার ট্রাইব্যুনালের বিচারক আসসামছ জগলুল হোসেনের আদালতে ডিবির তৎকালীন উপপরিদর্শক (বর্তমানে সিআইডির পরিদর্শক) আশরাফুল ইসলাম সাক্ষ্য দেন।

জবানবন্দিতে তিনি বলেন, ‘হেফাজতে ইসলামের ওই সমাবেশে পুলিশের উপর হামলা ও সংঘর্ষের ঘটনায় ২০১৩ সালের ৫ মে সকালে পুলিশসহ ১১ জন মারা যান।

অথচ অধিকারের ওয়েবসাইটে একই বছরের ১০ জুন ৬১ জনের মৃত্যুর কথা উল্লেখ করা হয়।

ওই প্রতিবদনে বিভিন্ন সময়ে নাশকতার পুরনো কিছু ছবিও যুক্ত করা হয়। এই প্রতিবেদনের মাধ্যমে সংখ্যাগরিষ্ঠ মুসলিম জনগোষ্ঠীকে উসকানি ও রাষ্ট্রের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করার অপরাধ করার অভিযোগ আনা হয়েছে।

তদন্ত প্রতিবদেন ২০০৬ সালের তথ্যপ্রযুক্তি আইনের ৫৭(১)(২) ধারার অপরাধের উপাদান পাওয়া গেছে বলে উল্লেখ করা হয়।

বিষয়টি নিউজবাংলাকে নিশ্চিত করেন সংশ্লিষ্ট আদালতের পেশকার শামিম আল মামুন।

২০১৩ সালের ৫ মে রাতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর অভিযানের মুখে শাপলা চত্বরের অবস্থান ছেড়ে আত্মসমর্পণের মতো করে বের হয়ে আসে হেফাজত কর্মীরা। ফাইল ছবি

রাষ্ট্রপক্ষে আইনজীবী ওই ট্রাইব্যুনালের স্পেশাল পাবলিক প্রসিকিউটর নজরুল ইসলাম শামীম বাদীর জবানবন্দি গ্রহণ করেন৷ আসামির আইনজীবী মোহাম্মদ রুহুল আমিন ভুঁইয়া তাকে জেরা করেন।

ঘটনার বিবরণীতে উল্লেখ করা হয়, ২০১৩ সালে হেফাজতের শাপলা চত্বরে সমাবেশে ৬১ জনের মৃত্যু হয়েছে মর্মে প্রতিবেদন প্রকাশ করে বেসরকারি মানবাধিকার সংগঠন অধিকার। পরে এই দাবির পক্ষে কোনো প্রমাণ দিতে পারেনি সংগঠনটি।

এ ঘটনায় একই বছর ১০ আগস্ট গুলশান থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেন ডিবির উপপরিদর্শক আশরাফুল ইসলাম।

একই বছরের ৪ সেপ্টেম্বর ঢাকার সিএমএম আদালতে গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) তৎকালীন উপপরিদর্শক (বর্তমান পরিদর্শক) আশরাফুল আলম আদিলুর রহমান ও নাসিরুদ্দিন এলানের বিরুদ্ধে মিথ্যা তথ্য ডিজিটাল মাধ্যমে প্রচার করার অভিযোগে অভিযোগপত্র জমা দেন। পরদিন ৫ সেপ্টেম্বর ঢাকার মুখ্যমহানগর হাকিম বিকাশ কুমার সাহা মামলাটি বিচারের জন্য ঢাকার সাইবার ক্রাইম ট্রাইব্যুনালে পাঠান।

এরপর ১১ সেপ্টেম্বর ‘অধিকার’ সম্পাদক আদিলুর রহমান খান ও পরিচালক এএসএম নাসির উদ্দিন এলানের বিরুদ্ধে আদালতে জমা দেয়া অভিযোগ আমলে নিয়ে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করে ট্রাইব্যুনাল। সে মামলায় আদিলুরকে গ্রেপ্তারের দেখানোর পাশাপাশি পলাতক আসামি নাসির উদ্দিন এলানের বিরুদ্ধেও গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করে আদালত।

পরে আদিলুর রহমান খান ও নাসিরুদ্দিন এলান জামিনে মুক্তি পান৷

এ বিভাগের আরো খবর