সংরক্ষণ নিয়ে জটিলতা দূর হওয়ায় ঢাকা ছাড়াও বড় বিভাগীয় শহর ও জেলা পৌরসভায়ও করোনাভাইরাস প্রতিরোধী ফাইজারের টিকা দেয়া হবে। স্বাস্থ্যকর্মীদের প্রশিক্ষণ ও প্রস্তুতি শেষ করে শিগগিরই এই কার্যক্রম শুরু হবে।
মঙ্গলবার দুপুরে সম্প্রসারিত টিকাদান কর্মসূচি (ইপিআই) ভবনে কোভ্যাক্স থেকে পাওয়া ফাইজারের টিকা সংরক্ষণের সক্ষমতা পরিদর্শন শেষে এসব কথা জানান স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. এ বি এম খুরশীদ আলম।
তিনি বলেন, ‘ফাইজারের টিকা এবার ঢাকা ছাড়াও বড় বিভাগীয় শহর ও জেলা পৌরসভায় দেয়ার পরিকল্পনা নেয়া হয়েছে। প্রশিক্ষণ ও প্রস্তুতি শেষ করে অচিরেই দেয়া হবে।’
টিকা সংরক্ষণে পর্যাপ্ত সক্ষমতা রয়েছে জানিয়ে স্বাস্থ্যের মহাপরিচালক বলেন, ‘যেভাবে টিকা আসছে তাতে সংরক্ষণে কোনো সমস্যা হবে না। মাইনাস ৭০ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রার ফাইজারের টিকা সংরক্ষণে আমরা ২৬টি আলট্রা লো ফ্রিজার পেয়েছি। সামনে আরও টিকা আসবে।’
তিনি বলেন, ‘১৮ বছরের নিচে শিশুদের আপাতত টিকা দেয়া হচ্ছে না। এটি এখনও আলোচনার পর্যায়ে রয়েছে। এমনকি সিটি করপোরেশনের স্কুলপড়ুয়া শিক্ষার্থীদেরও টিকা দেয়ার বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি। শিশুদের টিকা প্রয়োগের জন্য কার্যক্রম চলছে। বিষয়টি স্পর্শকাতর হওয়ায় এই মুহুর্তে শিশুদের টিকা দেয়া হচ্ছে না।
খুরশীদ আলম বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রীর জন্মদিনে ৮২ লাখ টিকা দেয়া হয়েছে। বর্তমানে দৈনিক পাঁচ লাখ করে টিকা দেয়া হচ্ছে। এ হিসেবে সপ্তাহে দেয়া হচ্ছে ৩০ লাখ এবং মাসে এক কোটি ২০ লাখ টিকা। এভাবে দিলেও দ্রুত লক্ষ্যমাত্রার সব মানুষকে টিকার আওতায় আনা সম্ভব।’
ইপিআইয়ের দেয়া তথ্য অনুযায়ী, দেশে এখন পর্যন্ত ফাইজারের ৪২ লাখ ৩৮ হাজার ৯১০ ডোজ টিকা এসেছে। সংরক্ষণের সক্ষমতা আছে ৭৮ লাখ টিকার।