বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

কুষ্টিয়া মেডিক্যালে অনিয়ম: ব্যবস্থা চান প্রধানমন্ত্রী

  •    
  • ৫ অক্টোবর, ২০২১ ১৮:২৩

পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, ‘প্রকল্পটিতে যারা অনিয়মে জড়িত ছিলেন তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার নির্দেশ দিয়েছেন। এমনকি অবসরে গেলেও পার পাবে না বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী।’

কুষ্টিয়া মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতাল নির্মাণ প্রকল্পে অনিয়মে জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

প্রকল্পে অনিয়মে জড়িতদের কেউ অবসরে গেলে তাকেও ছাড় না দেয়ার নির্দেশ দেন তিনি।

মঙ্গলবার জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভায় তিনি এ নির্দেশ দেন বলে জানিয়েছেন পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান।

একনেক সভা শেষে পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, ‘সভায় কুষ্টিয়া মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতাল স্থাপন প্রকল্পের সংশোধনী প্রস্তাব অনুমোদন দেয়া হয়েছে। প্রকল্পের ব্যয় আরও ৭১ কোটি টাকা বেড়েছে। এই প্রকল্প অনুমোদন দেয়ার সময় প্রধানমন্ত্রী প্রকল্পটি দ্রুত শেষ করার নির্দেশ দেন।

‘সে সঙ্গে প্রকল্পটিতে যারা অনিয়মে জড়িত ছিলেন তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার নির্দেশ দিয়েছেন। এমনকি অবসরে গেলেও পার পাবে না বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী।’

পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী বলেছেন এ প্রকল্পে কারা জড়িত তাদের খুঁজে বের করতে। তা করতে গিয়ে প্রকল্পের যেন আরও দেরি না হয়।’

আলোচিত কুষ্টিয়া মেডিক্যাল কলেজের প্রকল্পটি ২০১২ সালের মার্চে একনেকে অনুমোদন পায়। তখন এর ব্যয় ছিল ২৭৫ কোটি টাকা। তিন বছরের মধ্যে এর কাজ শেষ করার কথা থাকলেও তা হয়নি, বরং ব্যয় বেড়ে এখন ৬৮২ কোটি টাকায় দাঁড়িয়েছে।

এর আগে গত জানুয়ারিতে প্রকল্পটির সংশোধনী প্রস্তাব একনেকে তোলা হলে তা ফেরত পাঠান প্রধানমন্ত্রী। তখন পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের বাস্তবায়ন পরিবীক্ষণ ও মূল্যায়ন বিভাগ এ বিষয়ে সরেজমিন পরিদর্শন করে তদন্ত প্রতিবেদন দিতে বলে।

তদন্ত প্রতিবেদনে আইএমইডি শিডিউল পরিবর্তন, আর্থিক শৃঙ্খলা ভঙ্গ করে অতিরিক্ত ব্যয়, অনুমোদন ছাড়া নকশার পরিবর্তনসহ নানা অনিয়ম খুঁজে পায়। আইএমইডি অনিয়মে জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার জন্য সুপারিশ করে।

এ বিষয়ে পরিকল্পনা কমিশনের সদস্য নাসিমা বেগম বলেন, ‘প্রকল্পটিতে অনিয়মে জড়িতদের বিরুদ্ধে সুপারিশসহ প্রয়োজনীয় কাগজপত্র প্রধানমন্ত্রীর কাছে উপস্থাপন করা হয়। এরই মধ্যে জড়িতদের কেউ অবসরে গেছেন। তখন প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, তাদেরও ছাড় দেয়া যাবে না।

‘যদি কেউ অবসরে চলে যান তখন আর তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলা করা যায় না।’

কেউ যদি সরকারের স্বার্থহানির কোনো কাজ করে, তার বিরুদ্ধে পিডিআরএ (পাবলিক ডিমান্ডস রিকভারি অ্যাকট)-এর আওতায় ব্যবস্থা নেয়া যায় বলে জানান কমিশনের সদস্য।

এ বিভাগের আরো খবর