অনলাইনে পরীক্ষা নেয়ার প্রতিবাদে টানা তৃতীয় দিনের মতো পরীক্ষা বর্জন করেছেন চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (চুয়েট) বেশিরভাগ শিক্ষার্থী।
মঙ্গলবার সকালে প্রথম বর্ষের ফাইনাল পরীক্ষা অংশ নেননি তারা। এর আগে রোববার ও সোমবার দ্বিতীয় ও তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থীদের বড় একটি অংশ অনলাইন পরীক্ষা বর্জন করে।
নাম গোপন রাখার শর্তে এক শিক্ষার্থী বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয় কেন আমাদের কথা চিন্তা করবে না? ওনারা বলেছেন, টেবিল থেকে কিছু উপরে মোবাইল রাখতে হবে, যাতে করে শিক্ষার্থী ও পরীক্ষার খাতা দেখা যায়। এ জন্য তো দুইটা ফোন দরকার। সবার তো দুইটা ফোন নাই।
‘শিক্ষকরা আরও বলেছেন, পরীক্ষা শুরুর ৫ মিনিট আগে জুমে যুক্ত হতে হবে। পাঁচ মিনিটের বেশি সময় সংযোগ বিচ্ছিন্ন থাকলে, চেয়ারম্যানের অনুমতি নিয়ে আবার ঢুকতে হবে। কিন্তু দেশে ইন্টারনেট অবস্থা কেমন সবাই জানে। তা ছাড়া চেয়ারম্যানের অনুমতি পেতেও তো কমপক্ষে ১৫ থেকে ২০ মিনিট লাগবে।’
প্রথম বর্ষের আরেক শিক্ষার্থী বলেন, ‘আজকে আমরা পরীক্ষা বর্জন করেছি তা নয়, রোববার থেকে সিনিয়ররাও বর্জন করছে। আমরা চাই সশরীরে পরীক্ষার ব্যবস্থা করা হোক। সব জায়গায় তো হল খুলছে। হল খুলে দিলে আমরা হলে থেকে সশরীরে পরীক্ষায় অংশ নিতে পারব।’
বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার ফারুক-উজ-জামান নিউজবাংলাকে বলেন, ‘দেশের সব জায়গায় তো অনলাইনে পরীক্ষা হচ্ছে। আর শিক্ষার্থীদের সমস্যা হলে তো আমরা পরীক্ষা নিতাম না। এখন অনেকে পরীক্ষা দিচ্ছে না সত্যি, কিন্তু কিছু স্টুডেন্ট পরীক্ষা দিচ্ছে। সমস্যা যদি আসলেই হতো তারা কীভাবে পরীক্ষা দিতে পারল?’
তিনি আরও বলেন, ‘শিক্ষার্থীরা মনে করছে পাঁচ মিনিট দেরিতে আসলে পরীক্ষা দিতে পারবে না, বিষয়টা কিন্তু তা নয়। চেয়ারম্যানের অনুমতি নিয়ে পরীক্ষা দেয়া যাবে। ওরা আসলে বিষয়টা বুঝতে পারছে না অথবা আমরা বুঝাতে পারছি না। আর এখন যারা পরীক্ষা দিচ্ছে না, তাদের বিষয়ে অ্যাকাডেমিক কাউন্সিলে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।’