নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না বলেছেন, তিনি ক্ষমতায় গেলে সবার জন্য শিক্ষা নিশ্চিত করবেন।
কখনও কোনো সংসদীয় আসনে জিততে না পারা এই নেতা এও বলেছেন যে, অচিরেই সরকারের পতন ঘণ্টা বেজে যাবে।
মঙ্গলবার জাতীয় প্রেস ক্লাব মিলনায়তনে ‘বাংলাদেশ শিক্ষক সমিতি’ ও ‘বাংলাদেশ কলেজ শিক্ষক সমিতি’ প্রতিনিধি সভায় বক্তব্য রাখছিলেন আওয়ামী লীগ থেকে বেরিয়ে এসে দলটির কট্টর সমালোচক বনে যাওয়া এই নেতা।
মান্না বলেন, ‘আমি যদি ক্ষমতায় যাই তাহলে এই বাংলাদেশের শিক্ষা সর্বজনীন করব। শিক্ষা সর্বজনীন বলতে শিক্ষকদের এবং শিক্ষার সকল কিছুর দায়িত্ব রাষ্ট্র নেবে।’
এক যুগ ধরে ক্ষমতায় থাকা আওয়ামী লীগ সরকারের ‘বিদায় ঘণ্টা’ বেজে যাবে বলেও মনে করেন মান্না। বলেন, ‘আমার দল ক্ষমতায় যাবে কি যাবে না আমি তা জানি না, কিন্তু এই সরকার বেশি দিন থাকবে না। অচিরেই বিদায়ের ঘণ্টা বেজে যাবে। কেউ শোনে, কেউ শোনে না। কিন্তু ঘণ্টা বাজে।’
এ সরকার পতনের পর যেই আসুক, তার চোখে আমার স্বপ্ন বুনে দিতে চান বলেও মন্তব্য করেন সাবেক আওয়ামী লীগ নেতা।
আগের দিন জাতিসংঘ সফর শেষে এক সংবাদ সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভোট নিয়ে যে মন্তব্য করেন, তা নিয়েও কথা বলেন মান্না।
সরকারপ্রধান এক প্রশ্নের জবাবে বলেছিলেন, ‘ওদের কে ভোট দেবে? আমি সাংবাদিকদের কাছে জিজ্ঞেস করি- কারা, কী কারণে, কোন সুখের স্বপ্নে বিএনপি বা অন্যদের ভোট দেবে? আমরা কিছু করলাম কি না, সেটাও একটু তুলনা করেন।’
মান্না বলেন, ‘উনি (শেখ হাসিনা) বলেছেন এদেরকে (বিএনপি) কে ভোট দেবে? তাদের যদি ভোট না দেয়, তাহলে ডাকাতি করেন কেন ভোটে? এক কথায় তারা মূলত ক্ষমতায় থাকতে চায়।’
শিক্ষা খাতে সরকার যথেষ্ট ব্যয় করছে না বলে অভিযোগ করে নাগরিক ঐক্যের নেতা বলেন, ‘আজ ইউনিসেফ, জাতিসংঘ এবং সমস্ত সংস্থা বলে জিডিপির অন্তত ৬ শতাংশ শিক্ষা খাতে ব্যয় করা হোক। আমাদের এখানে কত টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়? ওয়ান পার্সেন্ট? এই বাজেটের ২ শতাংশ বাজেট বরাদ্দ করা হয়েছে শিক্ষা খাতে।
‘খেয়াল করবেন ছাত্রদল যখন মিছিল বের করে, ওই মিছিল ঠাণ্ডা করার জন্য যে পুলিশকে ব্যবহার করা হয়, সেটাও শিক্ষা খাতের বাজেট থেকে ব্যয় করা হয়। এভাবে হলে, বিশ্ববিদ্যালয়, কলেজের ছাত্রদের ঠাণ্ডা করার খরচ এই শিক্ষা খাতের মধ্যে।’