একদিনের বিরতির পর পুঁজিবাজারের সূচক বাড়লেও ছড়িয়ে পড়া হতাশার অবসানের কোনো আভাস মিলছে না। এর কারণ, বড় মূলধনির অল্প কিছু শেয়ারের দর বৃদ্ধিতে সূচক বাড়লেও আবারও কমেছে বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারদর।
৭৫টি কোম্পানির শেয়ারের দর বৃদ্ধির বিপরীতে ২৬৯টির দরপতনে বিনিয়োগকারীদের মধ্যে স্বস্তির কোনো কারণ ছিল না।
এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি পতন হয়েছে যে ২০টি কোম্পানির, তার মধ্যে ১৭টিই হয় স্বল্প মূলধনি, নয় লোকসানি।
জুলাই থেকে এসব কোম্পানির শেয়ারদর টানা বাড়ছিল। তবে সংশোধন শুরু হওয়ার পর থেকে এগুলোর দরই সবচেয়ে বেশি কমছে। এই ঘটনাটি ঘটছে গত ১২ সেপ্টেম্বর থেকেই।
প্রায় প্রতিদিনই বেশিরভাগ কোম্পানি দর হারাচ্ছে, এর ভিড়ে সবচেয়ে বেশি কমছে গত তিন মাসে যেগুলোর দর অস্বাভাবিক হারে বেড়েছিল।
ব্যক্তিশ্রেণির বিনিয়োগকারীদের মধ্যে যাদের মূলধন কম, উচ্চহারে দর বৃদ্ধি পেতে থাকায় তাদের একটি বড় অংশই এসব কোম্পানিতে বিনিয়োগ করে ফেসে গেছে।
তবে এবার বাড়ছে লাফার্জ হোলসিম, ওরিয়ন ফার্মা, বেক্সিমকো লিমিটেড, জিপিএইচ ইস্পাত, লঙ্কাবাংলা ফাইন্যান্স, সাইফ পাওয়ারটেক, বেক্সিমকো ফার্মা, ইফাদ অটোর শেয়ারের দর আরও বেড়েছে।
সূচক সবচেয়ে বেশি বেড়েছে এই ১০টি কোম্পানির কারণে
এর মধ্যে কেবল লাফার্জ হোলসিমের দর বৃদ্ধিতে সূচক বেড়েছে ১০.০৯ পয়েন্ট। এছাড়া আইসিবি সূচক বাড়িয়েছে ৪.৭, গ্রামীণ ফোন ২.৯৩, ওরিয়ন ফার্মা ২.৫২, জিপিএইচ ইস্পাত ২.৫, বেক্সিমকো লিমিটেড ২.৪১, একমি ল্যাবরেটরিজ ১.৬৯, ইফাদ অটো ১.১৬, বিএসআরএম স্টিল ০.৮২ ও হাইডেলবার্গ সিমেন্টের দর বৃদ্ধির কারণে সূচক বেড়েছে ০.৭৮ পয়েন্ট।
অর্থাৎ এই ১০টি কোম্পানি সূচক বাড়িয়েছে ২৯.৬ পয়েন্ট। তবে সার্বিকভাবে পুঁজিবাজারে সূচক বেড়েছে ৩.৮৪ পয়েন্ট।
দরপতনের বাজারেও লেনদেনে কমতি নেই। হাতবদল হয়েছে আড়াই হাজার কোটি টাকার কাছাকাছি, যা চলতি বছরের আগে মন্দা বাজারে দেখা যায়নি।
পুঁজিবাজার বিশ্লেষক দেবব্রত কুমার সরকার নিউজবাংলাকে বলেন, ‘জেড ক্যাটাগরির কোম্পানিগুলোর শেয়ার দর যখন ক্রমাগত বাড়ছিল, তখন সিংহভাগ বিনিয়োগকারী মৌলভিত্তি বাদ দিয়ে দুর্বল ক্যাটাগরিতে বিনিয়োগ করেছে। এখন সেসব কোম্পানির শেয়ারদর কমে আসায় তাদের বিনিয়োগও আটকে গেছে। ফলে লেনদেনেও কিছুটা ভাটার টান দেখা যাচ্ছে।’
এই ১০টি কোম্পানির দরপতনে সবচেয়ে বেশি কমেছে সূচক
স্বল্প মূলধনি ও লোকসানি কোম্পানির পতনই বেশি
গত সোয়া এক বছরে পুঁজিবাজারে উত্থানে ব্যাংক খাতের ঘুমিয়ে থাকার মধ্যে এই খাতের পুরনো কোম্পানিগুলোর মধ্যে দাম সবচেয়ে বেশি বাড়ে কখনও লভ্যাংশ না দেয়া আইসিবি ইসলামী ব্যাংক।
এই এক বছরে ১০ টাকার শেয়ারের সর্বনিম্ন দাম ছিল ৩ টাকা ৬০ পয়সা, সর্বোচ্চ দাম উঠে ৭ টাকা ৫০ পয়সা।
এই উত্থানের মধ্যে দাম সবচেয়ে বেশি বাড়ে গত তিন মাস। এই সময়ে সর্বনিম্ন দাম ছিল ৪ টাকা ৬০ পয়সা। আর পতন শুরু হওয়ার আগে সেপ্টেম্বরের শুরুতে এক দশকের সর্বোচ্চ দামে উঠে।
টানা দুই দিন শেয়ারটির দাম কমেছে এক দিনে যত কমা সম্ভব ততই। দুই দিনেই কমল প্রায় ২০ শতাংশ।
দিনের সবচেয়ে বেশি পতন হওয়া কোম্পানির মধ্যে শীর্ষে অবস্থান করা কোম্পানিটি দর হারিয়েছে ৬০ পয়সা বা ১০ শতাংশ। আগের দিন দাম ছিল ৬ টাকা, দিন শেষে দাম দাঁড়িয়েছে ৫ টাকা ৪০ পয়সা।
স্বল্প মূলধনি কোম্পানির বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিএসইসির কমিটি গঠনের খবরে এসব কোম্পানির শেয়ারদর তেজী ঘোড়ার মতো ছুটতে থাকে। কোম্পানির আর্থিক অবস্থা, সম্ভাবনা বিচার বিবেচনা না করে কেবল শেয়ার সংখ্যা কম- এমন কোম্পানিতে ঝাঁপিয়ে পড়েছিল বিনিয়োগকারীরা। এখন এসব কোম্পানির শেয়ারধারীরাই বেশি ক্ষতির মুখে।
সবচেয়ে বেশি পড়েছে দুর্বল বা স্বল্প মূলধনি এই পাঁচটি কোম্পানির শেয়ারদর
গত এক যুগেও লভ্যাংশ দেয়ার ইতিহাস না থাকা শ্যামপুর সুগারের আধুনিকায়ন নিয়ে একটি প্রাথমিক পরিকল্পনা হয়েছে। এই খবরে গত ৫ আগস্ট থেকে ক্রমাগত বাড়তে থাকে। সেদিন দাম ছিল ৬২ টাকা ৮০ পয়সা। সেপ্টেম্বরের শুরুতে দাম উঠে ১৪১ টাকা ২০ পয়সা। দাম যত বাড়ছিল, শেয়ার লেনদেনও বাড়ছিল তত। এখন দাম যত কমছে, লেনদেন তত কমছে।
আগের দিনের তুলনায় ৮ টাকা ৫০ পয়সা হারিয়ে দিন শেষে শ্যামপুরের দাম দাঁড়িয়েছে ৯৮ টাকা ৩০ পয়সা। এক দিনেই কমেছে ৭.৯৫ শতাংশ।
লভ্যাংশের ইতিহাস আহামরি হয়। তার ওপর উৎপাদন বন্ধ। তারপরেও আজিজ পাইপের দাম বাড়ছিল উৎপাদন আবার শুরুর ঘোষণায়। এই কোম্পানিটি এক দিনে দর হারিয়েছে অভিহিত মূল্যের প্রায় সমান। ৯ টাকা ২০ পয়সা বা ৬.৪৫ শতাংশ কমেছে কোম্পানিটির শেয়ারদর।
মৌলভিত্তির কোম্পানি হলেও বছর শেষে মুনাফা ও লভ্যাংশ কখনও আহামরি হয় না এএমসিএল প্রাণের। তবে কেবল শেয়ার সংখ্যা কম, এই কারণে এই কোম্পানিটির শেয়ারদর ব্যাপকহারে বাড়ছিল।
এই কোম্পানিটি দর হারিয়েছে ১৪ টাকা বা ৫.২৭ শতাংশ।
একই অবস্থা ফার্মা এইডের। মুনাফায় থাকা কোম্পানি, তবে লভ্যাংশ আহামরি কিছু দেয় এমন নয়। শেয়ার সংখ্যা কম, এ কারণে দামটা বরাবরই থাকে বেশি। গত তিন মাসে শেয়ার দর ৩৯৫ টাকা থেকে ৭১৬ টাকা পর্যন্ত উঠেছিল।
দিন শেষে এই কোম্পানিটি ৩১ টাকা ৫০ পয়সা বা ৫.১১ শতাংশ দর হারিয়েছে। শেয়ারদর দাঁড়িয়েছে ৫৮৪ টাকায়।
বন্ধ থাকা কোম্পানি বিডিওয়েল্ডিং দর হারিয়েছে ১ টাকা বা ৪.৮৫ শতাংশ।
এই কোম্পানিগুলোর শেয়ারদরও গত কয়েক মাসে অযৌক্তিক হারে বেড়েছিল
বন্ধ থাকা কোম্পানি চালু হবে, এমন বাস্তবতায় আরএসআরএম স্টিলের শেয়ারদর গত তিন মাসে প্রায় দ্বিগুণ হয়ে গিয়েছিল। কিন্তু চলতি বছর কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি বিপুল পরিমাণ লোকসান বিনিয়োগকারীরা বিবেচনায় আনেননি বলেই মনে হয়। অথচ কোম্পানি চালু হওয়ার পরদিন এটি ১.৬০ টাকা বা ৪.৮৩ শতাংশ দর হারিয়েছে।
এ ছাড়া স্বল্প মূলধনি পেপার প্রসেসিং ৮ টাকা বা ৪.৭৭ শতাংশ, লোকসানি দুলামিয়া কটন ২ টাকা ৭০ পয়সা বা ৪.৭৬ শতাংশ, জেমিনি সি ফুট ১০ টাকা ১০ পয়সা বা ৪.৭৫ শতাংশ, মেঘনা কনডেন্সড মিল্ক ৯০ পয়সা বা ৪.৪৭ শতাংশ দর হারিয়েছে।
১০ কোম্পানিতে মোট লেনদেনের ২৬ শতাংশ
লেনদেনে শীর্ষে থাকা ১০টি কোম্পানরি দখলে ছিল মোট লেনদেনের ২৬ শতাংশ। এরমধ্যে সবচেয়ে বেশি লেনদেন হয়েছে লার্ফাজ হোলসিমের। একক কোম্পানি হিসেবে লেনদেন হয়েছে ২১৩ কোটি ৯৯ লাখ টাকা।
তারপরেই আছে ওষুধ ও রসায়ন খাতের ওরিয়ান ফার্মা, যার লেনদেন হয়েছে ১৯৫ কাটি ৩২ লাখ টাকা। কোম্পানিটির শেয়ার দর বেড়েছে ৯.৯০ শতাংশ।
বিবিধ খাতের বেক্সিমকো লিমিটেডের দর লেনদেন হয়েছে ১৩৯ কোটি ১৯ লাখ টাকা। কোম্পানিটির দর বেড়েছে ১.৬৩ শতাংশ।
এছাড়া ৫০ কোটি টাকার বেশি লেনদেন হয়েছে তিনটি কোম্পানির। এগুলো হচ্ছে প্রকৌশল খাতের জিএসপি ইস্পাত, যার লেনদেন হয়েছে ৬৮ কোটি ১২ লাখ টাকা। লঙ্কাবাংলা ফাইন্যান্সের লেনদেন হয়েছে ৬১ কোটি ৮৪ লাখ টাকা। সাইফ পাওয়ারটেকের লেনদেন হয়েছে ৫০ কাটি ৩৫ লাখ টাকা।
আবার আগ্রহের শীর্ষে ওষুধ ও রসায়ন
লেনদেনে আগ্রহ ধরে রেখেছে তালিকাভুক্ত ওষুধ ও রসায়ন খাত। সবচেয়ে বেশি দর বেড়েছে ওরিয়ন ফার্মার ৯.৯০ তাংশ। শেয়ার দর ৯৪ টাকা ৯০ পয়সা থেকে বেড়ে হয়েছে ১০৪ টাকা ৩০ পয়সা।
তারপরই আছে এ খাতের ওরিয়ন ইনফিউশন, যার শেয়ার দর বেড়েছে ৮.৯৩ শতাংশ। এছাড়া এডভেন্ড ফার্মার দর বেড়েছে ৮.০৪ শতাংশ। একমি ল্যাবরটরিজের দর বেড়েছে ৬.৬৬ শতাংশ।
লভ্যাংশ ঘোষণার অপেক্ষায় থাকা ওষুধ ও রসায়ন খাত গত কয়েকদিন ধরেই লেনদেনের শীর্ষে অবস্থান করছে
এ খাতে লেনদেন হওয়া কোম্পানিগুলোর মধ্যে দর বেড়েছে ১১টি কোম্পানির, দর হারিয়েছে ১৯ টি, একটির লেনেদেন স্থগিত।
মোট লেনদেন হয়েছে ৪৪৮ কোটি ৫৭ লাখ টাকা। আগের দিন লেনদেন হয়েছিল ৪১২ কোটি ৩০ লাখ টাকা।
অন্যান্য খাতের লেনদেন
লেনদেনের দ্বিতীয় অবস্থানে থাকা প্রকৌশল খাতে হাতবদল হয়েছে মোট ২৮২ কোটি ২৬ লাখ টাকা। এই খাতের ৪২টি কোম্পানির মধ্যে দর বেড়েছে ৭টির, কমেছে ২৩টির, অপরিবর্তিত ছিল বাকি ১২টির দর।
তৃতীয় অবস্থানে থাকা সিমেন্ট খাতের ৭টি কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে ৪টির, কমেছে দুটির, একটির লেনদেন ছিল স্থগিত। হাতবদল হয়েছে মোট ২৩৩ কোটি ৩৭ লাখ টাকা। আগের দিন লেনদেন ছিল ১৯৮ কোটি ৮৫ লাখ টাকা।
দরপতনের বৃত্তে থাকা বস্ত্র খাতের কোম্পানি ফ্যামিলি টেক্সের দর প্রায় ১০ শতাংশ বেড়েছে। তবে গোটা খাতে দর পতন হয়েছে ৪০টি কোম্পানির, বেড়েছে ১৩টির আর অপরিবর্তিত ছিল বাকি ৫টির দর।
দিন শেষে হাতবদল হয়েছে ২০০ কোটি ২৫ লাখ টাকা।
লেনদেন ও শেয়ারদরে পতন হয়েছে বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতেও। ২৩টি কোম্পানির মধ্যে দর হারিয়েছে ২০টি। বেড়েছে কেবল ৩টির দর। হাতবদল হয়েছে ১৯৪ কোটি ৬০ লাখ টাকা। আগের দিন লেনদেন ছিল ২৬৯ কোটি ৭০ লাখ টাকা।
আর্থিক খাতের ২২টি কোম্পানির মধ্যে দর বেড়েছে ৪টির, কমেছে ১৮টির। লেনদেন হয়েছে ১৯১ কোটি ৭২ লাখ টাকা। আগের দিন লেনদেন ছিল ২৪৭ কোটি ৯১ লাখ টাকা।
বিবিধ খাতের ১৪টি কোম্পানিতে লেনদেন হয়েছে ১৮৪ কোটি ১৭৭ কোটি ২১ লাখ টাকা। আগের দিন লেনদেন হয়েছিল মোট ২২২ কোটি ৮০ লাখ টাকা। তিনটি কোম্পানির দর বৃদ্ধির বিপরীতে কমেছে বাকি ১০টির দরও।
বিমা খাতের মোট লেনদেন হয়েছে ১১৫ কোটি ৫৯ লাখ টাকা। আগের দিন লেনদেন হয়েছিল ১৪৩ কোটি ৯৬ লাখ টাকা। লেনদেন হওয়া কোম্পানিগুলোর মধ্যে দর কমেছে ৪০টির। দর বেড়েছে ১১টির।
ব্যাংক, বিমা, মিউচ্যুয়াল ফান্ড ঘুরে দাঁড়াতেই পারছে না
ব্যাংক খাতের মোট লেনদেন হয়েছে ৮৯ কোটি ৬০ লাখ টাকা। আগের দিন লেনদেন হয়েছিল ১২১ কোটি ৯০ লাখ টাকা। এ খাতের কোম্পানিগুলোর মধ্যে দর বেড়েছে ৫টির। কমেছে ১৭টির। দর পাল্টায়নি ১০টির।
খাদ্য ও আনুষঙ্গিক খাতের ২০টি কোম্পানির মধ্যে দর হারিয়েছে ১৫টি। বেড়েছে ৫টির দর। লেনদেন হয়েছে ৬৩ কোটি ৬১ লাখ টাকা। আগের দিন লেনদেন হয়েছিল ১০৯ কোটি ৪৪ লাখ টাকা।
তথ্যপ্রযুক্তি খাতের ১১টি কোম্পানিতে হাতবদল হয়েছে মোট ৪৮ কোটি ১০ লাখ টাকা। আগের দিন হাতবদল হয়েছিল ৭২ কোটি ০৬ শতাংশ। বেড়েছে একটির দর, কমেছে ১০টির দর।
মিউচ্যুয়াল ফান্ডে লেনদেন আগের কার্যদিবসের তুলনায় কমেছে। ৩৬টি ফান্ডের মধ্যে দর বেড়েছে কেবল দুটির, কমেছে ২০টির। বাকি ১৪টি ফান্ডের দর পাল্টায়নি।
এই খাতে লেনদেন হয়েছে মোট ১৭ কোটি ৭৩ লাখ টাকা। আগের দিন লেনদেন হয়েছিল ৩১ কোটি ১৪ লাখ টাকা।
সূচক ও লেনদেন
ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স আগের দিনের তুলনায় ৩ দশমিক ৪৮ পয়েন্ট বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৭ হাজার ৩৩১ দশমিক ৩৯ পয়েন্ট।
শরিয়াভিত্তিক কোম্পানি নিয়ে গঠিত ডিএসইএস দশমিক ৬৮ পয়েন্ট বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১ হাজার ৫৯৪ দশমিক ৪২ পয়েন্টে।
বাছাই করা কোম্পানি নিয়ে গঠিত ডিএস-৩০ সূচক ১২ দশমিক ৮৫ পয়েন্ট বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২ হাজার ৭৭৪ দশমিক ১২ পয়েন্ট।
দিনশেষে লেনদেন হয়েছে ২ হাজার ৩৫০ কোটি টাকা। আগের দিন লেনদেন হয়েছিল ২ হাজার ৭৫৫ কোটি টাকা ।