বন্ধ থাকার পাঁচ মাসের বেশি সময় পর বুধবার থেকে শিমুলিয়া-বাংলাবাজার-মাঝিরকান্দি রুটে ফের স্পিডবোট চলাচল শুরু হতে যাচ্ছে।
নিউজবাংলাকে এ তথ্য জানিয়েছেন বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআইডব্লিউটিএ) শিমুলিয়া ঘাটের উপপরিচালক শাহাদাত হোসেন।
তিনি বলেন, কয়েক সপ্তাহ আগে দেড় শতাধিক চালক ড্রাইভিং সনদ পেয়েছেন। সমসংখ্যক স্পিডবোট পেয়েছে রেজিস্ট্রেশন ও সার্ভে সনদ। তবে এখন পর্যন্ত রুট পারমিট পেয়েছে ২০টি স্পিডবোট।
শিবচরে বাল্কহেডের সঙ্গে স্পিডবোটের ধাক্কায় গেল ৩ মে প্রাণ হারান ২৬ জন। এর পর থেকেই এই রুটে স্পিডবোট চলাচল বন্ধ রয়েছে। ফলে নদী পারাপারে ফেরির ওপরই নির্ভর করতে হয়েছে যাত্রীদের। কিন্তু বৈরী আবহাওয়া ও তীব্র স্রোতের কারণে ফেরি চলাচলে নিষেধাজ্ঞা এলে বিপাকে পড়েন যাত্রীরা।
ভয়াবহ ওই দুর্ঘটনার আগে এই রুটে তিন থেকে চার শতাধিক স্পিডবোট চলত।
কম সময়ে পদ্মা পাড়ি দিতে এই দ্রুতগতির বাহন চলাচলকারীদের কাছে জনপ্রিয়তা পেয়েছে। এতদিন এটির চলাচলে কোনো নীতিমালা ছিল না। ফলে যাত্রী পরিবহনে ছিল বিশৃঙ্খলা।
উপপরিচালক শাহাদাত হোসেন নিউজবাংলাকে জানান, রুট পারমিট দেয়া হয় বিআইডব্লিউটিএর প্রধান অফিস থেকে। সোমবার পর্যন্ত ২০টি স্পিডবোট চলাচলের অনুমতি পেয়েছে। মঙ্গলবার আরও কয়েকটির পাওয়ার কথা রয়েছে। সব মিলে নির্ভর করবে বুধবার কয়টি বাহন নদীতে নামবে।
সনদ প্রদান প্রসঙ্গে ইঞ্জিনিয়ার শিপ সার্ভেয়ার ঢাকা সদরঘাটের মামুনুর রশিদ নিউজবাংলাকে জানান, ‘সনদ পাওয়ার জন্য অনেক কাগজপত্র দরকার হয়। কাগজ সঠিক কি না তা যাচাই-বাছাই করে স্ক্যান শেষে সার্ভারে আপলোড দিতে হয়। যার জন্য একটু সময় লেগে যায়। আমরা চেয়েছি দ্রুত স্পিডবোট চলাচল শুরু হোক।’