মাদারীপুরের কালকিনিতে ইউপি সদস্যের বাড়িতে হাতবোমা বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। এ সময় চারজন আহত হয়েছেন। এ ঘটনায় সন্দেহভাজন দুজনকে আটক করেছে পুলিশ।
কালকিনি উপজেলার সিডিখান ইউনিয়নের ৬ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মান্নান মোল্লার বাড়িতে সোমবার রাত ১টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।
গুরুতর আহত দুজন হলেন, সিডিখান ইউনিয়নের মাথাভাঙ্গা গ্রামের ৩৮ বছর বয়সী ইয়ামিন বেপারী ও দক্ষিণকান্দি গ্রামের ২৬ বছর বয়সী সুমন শিকদার।
কালকিনি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইসতিয়াক রাসেল বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
স্থানীয়দের বরাত দিয়ে তিনি জানান, ইউপি সদস্য মান্নান মোল্লার বাড়ির একটি পরিত্যক্ত ঘরে বসে হাতবোমা তৈরি করছিল কয়েকজন যুবক। রাত ১টার দিকে হঠাৎ বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। এতে ওই ঘরটির টিনের চালা উড়ে যায়। এ সময় ঘরের ভেতরে থাকা চারজন আহত হন।
পরে আহতদের উদ্ধার করে কালকিনি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। সেখানে অবস্থার অবনতি হলে আশঙ্কাজনক অবস্থায় দুজনকে বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক মফিজুল ইসলাম বলেন, ‘তাদের শরীরের বিভিন্ন স্থান বোমার আঘাতে ক্ষত-বিক্ষত হয়েছে। তাদেরকে সার্জারি বিভাগে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে।’
গ্রাম পুলিশ মিন্টু মোল্লা জানান, ওই এলাকার একটা ঘরের মধ্যে বোমার আলামত দেখতে পায় পুলিশ। কিছু দূরে গিয়া ইয়ামিন ও সুমনকে আহত অবস্থায় উদ্ধার করে তারা। পরে দুইজনকে বরিশালে চিকিৎসার জন্য পাঠানো হয়।
এ ব্যাপারে সিডিখান ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মো. চাঁন মিয়া শিকদার বলেন, ‘আগামী ১১ নভেম্বর ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনকে সামনে রেখে এক শ্রেণির প্রভাবশালী মহল এলাকায় অরাজকতা সৃষ্টির জন্য বোমা তৈরি ও বিস্ফোরণ করছে। এতে সুষ্ঠু নির্বাচন হওয়ার সম্ভবনা খুবই কম। তাই আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে আরও কঠোর অবস্থান নিশ্চিত করতে হবে।’
এ বিষয়ে ইউপি সদস্য মান্নান মোল্লার সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টা করলে তাকে ফোনে পাওয়া যায়নি।
ওসি ইসতিয়াক রাসেল আরও জানান, আসন্ন ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনকে সামনে রেখে এলাকায় আধিপত্য বিস্তারের জন্য হাতবোমা তৈরি করা হচ্ছিল বলে ধারণা করা হচ্ছে। এ ঘটনায় বিস্ফোরণ আইনে মামলা হবে।
এ বিষয়ে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অপরাধ) চাইলাউ মারমা জানান, ‘যারা বোমা তৈরি করতে গিয়ে আহত হয়েছে, তাদেরও আইনের আওতায় আনা হবে। চিকিৎসা শেষে তাদেরকে গ্রেপ্তার করা হবে। আর যার ঘরে এতোগুলো বিস্ফোরক আনা হয়েছে, সেটা কিভাবে আনা হলো সব তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।’
তিনি আরও জানান, এর আগেও সিডিখান ইউনিয়নের বোমা বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। যে কারণে বিয়ষটি গুরুতের সঙ্গে দেখা হচ্ছে।