মানিকগঞ্জ শহরের সঙ্গে যোগাযোগকে সহজ করতে ৩৮ কোটি টাকা ব্যয়ে সদর উপজেলার বেউথা ঘাটের কালীগঙ্গা নদীর উপর ২৯৭ মিটার সেতু নির্মাণ করে সরকার।
সেতু নির্মাণের পাঁচ বছর শেষ হতে না হতেই তাতে দেখা দিয়েছে ফাটল। যে কোনো সময় দুর্ঘটনার আশঙ্কা করছেন স্থানীয় লোকজন।
স্থানীয় সরকারের প্রকৌশলী বলছেন, সেতুতে ফাটলের বিষয়টি তাদের জানা নেই।
মানিকগঞ্জ সদর উপজেলা প্রকৌশলী কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর ৩৮ কোটি ৭৮ লাখ ৪৭ হাজার টাকা ব্যয়ে কালীগঙ্গা নদীর উপর সেতুটি নির্মাণ করে ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান ডব্লিউএমসিজি ও নাভানা-জেভি। নির্মাণ কাজ শেষ হয় ২০১৫ সালের ৪ ফ্রেব্রুয়ারি।
দুই লেনের সেতুটিতে রয়েছে নয়টি স্প্যান, ৪৫টি গার্ডার, ৯৬টি পাইল, যার ক্যারিজ ওয়ের প্রস্থ ৭ দশমিক ৩ মিটার এবং প্রস্থ ৯ দশমিক ৮ মিটার। ২০১৬ সালের ১৬ অক্টোবর তৎকালীন স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী জাহিদ মালেক সেতুটির উদ্বোধন করেন।
সরেজমিনে দেখা যায়, সেতুর দক্ষিণ পাশের অংশের মাঝখানে দেখা দিয়েছে সেই ফাটল। যানবাহন চলাচলে তা আরও বড় হচ্ছে। একই সঙ্গে ফাটলটিতে হচ্ছে গর্ত। এ ছাড়া সেতুর বিভিন্ন স্থানের ঢালাইয়েও হয়েছে ক্ষতি।
জেলা শহরের সঙ্গে মানিকগঞ্জ পৌরসভার, হরিরামপুর ও সদরের মানুষের যাতায়াতের অন্যতম মাধ্যম এই বেউথা সেতু। এ ছাড়া জেলার অভ্যান্তরীণ সড়ক পথে বাস, ট্রাক, অটোরিকশাসহ বিভিন্ন যানবাহন চলাচল করে সেতুটি দিয়ে।
চর বেউথা এলাকার আবুল হোসেন বলেন, ‘সেতু হওয়ার পর আমাদের অনেক উপকার হয়েছে। এখন আর খেয়া পারের জন্য অপেক্ষা করতে হয় না। কিছুদিন ধরে ফাটল দেখা দিয়েছে। তাই শঙ্কা রয়েছে সবার মধ্যে।’
হরিরামপুরের আন্দারমানিক এলাকার আব্দুল লতিফ বলেন, ‘কয়েকদিন আগে সেতুটিতে ফাটলের কথা শুনেছি। শহরে কাজ শেষে ফেরার পথে দেখলাম। সেতুর দক্ষিণ পাশের অংশের মাঝখানে সেটি।
স্থানীয়দের অভিযোগ, সেতু নির্মাণে সরকার টাকা ঠিকই দিয়েছে। তবে অনিয়মের কারণেই এতো অল্প সময়ে তাতে ফাটল দেখা দিয়েছে। এর জন্য ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানকে আইনের আওতায় আনা দরকার।
মানিকগঞ্জের স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর নির্বাহী প্রকৌশলী ফয়জুল হক বলেন, ‘ফাটলের বিষয়টি জানা নেই। অফিস থেকে লোক পাঠিয়ে খোঁজ নিয়ে দেখা হবে।’