বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

অরক্ষিত কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস

  • নিউজবাংলা ডেস্ক   
  • ৫ অক্টোবর, ২০২১ ০০:৫৫

বাংলা বিভাগের শিক্ষার্থী কেয়া মণি বলেন, ‘অরক্ষিত ক্যাম্পাসে ভয় লাগে। বহিরাগতদের অবাধ যাতায়াতে মেয়েরা এখানে নিরাপদ বোধ করেন না।’

সীমানা প্রাচীর না থাকায় কার্যত ‘অরক্ষিত’ কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় (কুবি) ক্যাম্পাস। খোলা জায়গা দিয়ে বহিরাগতদের অবাধ যাতায়াত ক্যাম্পাসে। ফলে মাঝে মধ্যেই ছিনতাইসহ নানা হয়রানির শিকার হচ্ছেন শিক্ষার্থীরা।

শিক্ষার্থীরা জানান, ক্যাম্পাসের উত্তর-পশ্চিম পাশের অবস্থা খুবই খারাপ। সেখানে সীমানা প্রাচীরের কিছুই নেই, এমনকি কাঁটাতারের বেড়াও নেই। সীমানা রক্ষার্থে কয়েকটি পিলার বসানো হয়েছে কেবল। এ পথে বহিরাগতদের অবাধ যাতায়াত। ক্যাম্পাসের ভেতরেই তারা বসায় মাদকের আসর।

বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার ১৫ বছরেও সীমানা প্রাচীর নির্মাণ না হওয়ায় ক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা। প্রায়ই ক্যাম্পাসে ঘটে নানা অপ্রীতিকর ঘটনা। অপরাধী শনাক্ত কিংবা আটক হয় না বেশিরভাগ ক্ষেত্রে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় খেলার মাঠ সংলগ্ন পাহাড়ের পাদদেশে রোববার সন্ধ্যায় ছিনতাইকারীর কবলে পড়েন ফিন্যান্স অ্যান্ড ব্যাংকিং বিভাগের শিক্ষার্থী সালমান চৌধুরী। ছাত্রলীগের কর্মীদের নিয়ে তিনি ছিনতাইকারীকে ধরার চেষ্টা করলেও লাভ হয়নি। খোলা এলাকা দিয়ে অনায়াসে ছিনতাইকারীরা পালিয়ে যায়।

ছিনতাই ঘটনার শিকার সালমান চৌধুরী বলেন, ‘এরকম ঘটনা আগেও ঘটেছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের পেছনের দিকে ঝোঁপঝাড় রয়েছে। সেখানে বহিরাগতরা নিয়মিত মাদকের আসর বসায়। এরাই ছিনতাই করে। ক্যাম্পাসের নিরাপত্তায় সীমানা প্রাচীর জরুরি।’

এর আগে বহিরাগতদের হাতে ক্যাম্পাসের ভেতরেই শিক্ষার্থীরা কয়েক দফা লাঞ্ছিত হয়েছেন। তখনও বহিরাগতদের আটক সম্ভব হয়নি।

বাংলা বিভাগের শিক্ষার্থী কেয়া মণি বলেন, ‘অরক্ষিত ক্যাম্পাসে ভয় লাগে। বহিরাগতদের অবাধ যাতায়াতে মেয়েরা এখানে নিরাপদ বোধ করেন না।’

ছাত্রলীগের বিশ্ববিদ্যালয়ের শাখার সভাপতি ইলিয়াস হোসেন সবুজ বলেন, ‘আমরা নিরাপত্তার বিষয়টি নিয়ে ভিসি, প্রক্টরসহ সংশ্লিস্টদের সঙ্গে কথা বলেছি। এমন থাকলে যে কোন সময় বড় ধরনের অঘটন ঘটতে পারে। সীমানা প্রাচীর নিয়ে দাবিটি আমরা লিখিতভাবেও দিব।’

বিশ্ববিদ্যালয়ের নিরাপত্তা শাখার প্রধান মোহাম্মদ সাদেক হোসেন মজুমদার বলেন, ‘নিরাপত্তা কর্মীরা মূল ফটকে থাকেন। বহিরাগতরা সেদিক দিয়ে ঢুকতে পারে না। আমাদের জনবল সংকট আছে। যেখানে সীমানা প্রাচীর নেই, সেদিক দিয়ে বাইরের লোক ঢুকতে পারে।’

বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার (অতিরিক্ত দায়িত্ব) অধ্যাপক ড. মো. আবু তাহের বলেন, ‘ক্যাম্পাসের নিরাপত্তা জোরদার করতে আমরা কাজ করছি। সীমানা প্রাচীর নির্মাণে অনেক টাকা লাগবে। বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি) থেকে অর্থ বরাদ্দ এনে তারপর এটা করতে হবে। নতুন ক্যাম্পাসে সীমানা প্রাচীরের জন্য বরাদ্দ আছে, এখানকার জন্য নেই। এ ক্যাম্পাসের জন্য আমরা ইউজিসিতে প্রকল্প পাঠাবো। এরকম অর্থ বরাদ্দ পেতে কিছুটা সময় লাগে।’

এ বিভাগের আরো খবর