বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

কর্মের মাঝে বেঁচে থাকবেন প্রত্নতত্ত্ববিদ যাকারিয়া

  •    
  • ৪ অক্টোবর, ২০২১ ২৩:২৬

আলোচনা সভায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফারসি ভাষা ও সাহিত্য বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মো. আহসানুল হাদি বলেন, ‘স্যারের সঙ্গে কাজ করার সময় দেখেছি শেষ বয়সে লাঠি নিয়ে হাঁটলেও তিনি জ্ঞানচর্চায় ছিলেন নিরলস। একই সঙ্গে তিনি তরুণদের কথাও অত্যন্ত মনোযোগ দিয়ে শুনতেন।’

প্রত্নতত্ত্ববিদ ও গবেষক আবুল কালাম মোহাম্মদ যাকারিয়া ছিলেন একজন পরিপূর্ণ মানুষ। তিনি তার কর্মের মাঝে বেঁচে থাকবেন মানুষের হৃদয়ে। তার মতো গুনী, মেধাবী ও প্রজ্ঞাবান মানুষ এ সমাজে বিরল।

সোমবার আবুল কালাম মোহাম্মদ যাকারিয়ার ১০৪তম জন্মদিন উদ্যাপন উপলক্ষে ঢাকার স্থাপত্যবিষয়ক গ্রন্থ প্রণয়ন কমিটির ভার্চুয়াল আলোচনায় বক্তারা এসব কথা বলেন।

কমিটির চেয়ারম্যান ও বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ অধ্যাপক আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় অংশ নেন আবুল কালাম মোহাম্মদ যাকারিয়ার সহকর্মী অনুবাদক, স্থপতি, গবেষক ও তার পরিবারের সদস্যরা।

সভাপতির বক্তব্যে অধ্যাপক আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক বলেন, ‘আবুল কালাম মোহাম্মদ যাকারিয়া যেমন বহুমাত্রিক পাণ্ডিত্যের অধিকারী ছিলেন, তেমনি তিনি ছিলেন একজন পরিপূর্ণ মানুষ এবং সবচেয়ে বড় কথা অত্যন্ত ভালো মানুষ। আমাদের সমাজে অনেক পণ্ডিত থাকলেও আজকের সময়ে ভালো মানুষের বড় অভাব।’

যাকারিয়া তার কর্মের মাঝে মানুষের মনে স্থায়ী ছাপ রেখে গেছেন উল্লেখ করে আরেফিন সিদ্দিক আরও বলেন, ‘তিনি বেঁচে থাকবেন মানুষের হদয়ে। তার কর্মের মাঝে তিনি মানুষের মনে স্থায়ী ছাপ রেখে গেছেন। তার মতো প্রজ্ঞাবান মানুষ এ সমাজে বিরল।’

আলোচনা সভায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফারসি ভাষা ও সাহিত্য বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মো. আহসানুল হাদি বলেন, ‘স্যারের সঙ্গে কাজ করার সময় দেখেছি শেষ বয়সে লাঠি নিয়ে হাঁটলেও তিনি জ্ঞানচর্চায় ছিলেন নিরলস। একই সঙ্গে তিনি তরুণদের কথাও অত্যন্ত মনোযোগ দিয়ে শুনতেন। এই গুণ আজ খুবই বিরল।’

যাকারিয়াপুত্র মারুফ শমসের যাকারিয়া বাবার স্মৃতিচারণা করে বলেন, ‘এশিয়াটিক সোসাইটির এক অনুষ্ঠানে অধ্যাপক রফিকুল ইসলাম আব্বা সম্পর্কে বলেছিলেন, তিনি ছিলেন একটা জীবন্ত এনসাইক্লোপিডিয়া, যখনই তার সঙ্গে কোথাও যেতেন, বলতেন এখানে একটা নদী ছিল, এখানে এটা ছিল, ওটা ছিল।’

ঢাকার স্থাপত্যবিষয়ক গ্রন্থ প্রণয়ন কমিটির অন্যতম সম্পাদক এবং এশীয় দেশসমূহের স্থপতিদের সংগঠন আর্ক এশিয়ার সভাপতি অধ্যাপক আবু সাঈদ এম আহমেদ বলেন, ‘আমরা আজ এমন সময়ে আবুল কালাম মোহাম্মদ যাকারিয়াকে স্মরণ করছি, যখন দেশের প্রত্নসম্পদ মারাত্মক হুমকির মুখে। দেশে প্রতিদিনই কোথাও না কোথাও প্রত্নসম্পদ ধ্বংস হচ্ছে। তাই আমরা আশা করব বরেণ্য এই প্রত্নতত্ত্ববিদকে স্মরণ করার মধ্য দিয়ে যাতে আমরা তার আদর্শে অনুপ্রাণিত হয়ে দেশের প্রত্নসম্পদ রক্ষায় কাজ করার শক্তি অর্জন করতে পারি।’

সূচনা বক্তব্য উপস্থাপন করেন শিল্পী ইশরাত জাহান কাঁকন। অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন প্রণয় পলিকার্প রোজারিও ও আফসানা আশা। অনুষ্ঠানে সংগীত পরিবেশন করেন আবুল কালাম মোহাম্মদ যাকারিয়ার কন্যা জাকিয়া মাহফুজা যাকারিয়া ও সুফিয়া আতিয়া যাকারিয়া এবং ইশরাত জাহান কাঁকন ও অরুণা সরকার।১৯১৮ সালের ১ অক্টোবর ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার বাঞ্ছারামপুর উপজেলার দরিকান্দি গ্রামের এক অভিজাত পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন আবুল কালাম মোহাম্মদ যাকারিয়া। ঢাকা কলেজ ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষাজীবন শেষে বগুড়া আজিজুল হক কলেজে ইংরেজি ভাষা ও সাহিত্যের শিক্ষক হিসেবে কর্মজীবন শুরু করেন তিনি।

১৯৪৭ সালে তিনি ব্রিটিশ সিভিল সার্ভিসে যোগ দেন। এরপর দীর্ঘ কর্মজীবনে তিনি দেশের নানা প্রান্তে প্রত্নসম্পদের অনুসন্ধান এবং সংরক্ষণে গুরুত্বপূর্ণ সংগঠকের ভূমিকা পালন করেন। স্বাধীনতার পর তিনি দেশের প্রথম শিক্ষা, সংস্কৃতি ও ক্রীড়াসচিব হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।

এ বিভাগের আরো খবর