বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

মাদক নিয়ে কড়া হুঁশিয়ারি বেবিচকের

  •    
  • ৪ অক্টোবর, ২০২১ ২১:০৯

বেবিচক চেয়ারম্যান বলেন, ‘আপনারা অন্যের বা আত্মীয়স্বজনের মালামাল নেয়ার আগে সচেতন হন। নিজস্ব লাগেজ ছাড়া অন্য কারও কাছ থেকে কিছু নেবেন না। আমরা দেখছি, অনেকের লাগেজে মাদক পাওয়া যাচ্ছে। তখন অনেকে দাবি করেন, স্বজনের পাঠানো মালামালের মধ্যে মাদক ছিল। এ ধরনের বক্তব্য আমরা আর গ্রহণ করব না।’

বিদেশে যাওয়া-আসার সময় কোনো যাত্রীর কাছে মাদক পাওয়া গেলে চিরদিনের জন্য তার বিদেশে যাওয়া বন্ধ হয়ে যাবে বলে জানিয়েছেন বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের (বেবিচক) চেয়ারম্যান এয়ার ভাইস মার্শাল এম মফিদুর রহমান।

ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে সোমবার এক গণশুনানিতে তিনি বলেন, ‘আমরা দেখছি বিভিন্ন বিমানবন্দরে মাদক পাচার বেড়ে গেছে। সবাই মিলে এসব প্রতিহত করতে হবে। আমরা জোরালো ব্যবস্থা নিচ্ছি, কাউকে ছাড় দেয়া হবে না। মাদক পাওয়া গেলে চিরদিনের জন্য বিদেশে যাওয়া বন্ধ হয়ে যাবে।’

যাত্রীদের উদ্দেশে বেবিচক চেয়ারম্যান বলেন, ‘আপনারা অন্যের বা আত্মীয়স্বজনের মালামাল নেয়ার আগে সচেতন হন। নিজস্ব লাগেজ ছাড়া অন্য কারও কাছ থেকে কিছু নেবেন না। আমরা দেখছি, অনেকের লাগেজে মাদক পাওয়া যাচ্ছে। তখন অনেকে দাবি করেন, স্বজনের পাঠানো মালামালের মধ্যে মাদক ছিল। এ ধরনের বক্তব্য আমরা আর গ্রহণ করব না।’

যাত্রীদের নির্ধারিত ফ্লাইটের কমপক্ষে আট ঘণ্টা আগে বিমানবন্দরে আসার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, ‘তাহলে করোনা টেস্টসহ যাবতীয় কার্যক্রম এই সময়ে শেষ করা যাবে।’

এম মফিদুর রহমান বলেন, ‘আগের দুই গণশুনানিতে যেসব সমস্যা পেয়েছি, সেগুলোর সমাধান করা হয়েছে। ট্রাভেল এজেন্সি নিয়ে অনেক অভিযোগ ছিল, তা সংশ্লিষ্টদের জানিয়েছি। আর বিমানবন্দরের নিরাপত্তা ব্যাপারে আমরা সিরিয়াস। আমাদের বিমানবন্দর ব্যবস্থাপনার জন্য আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃতি পেয়েছে। আমরা চেষ্টা করছি, যাত্রীসেবার মান আরও বাড়াতে।’

বেবিচক জানায়, গণশুনানিতে ১৪ জন প্রবাসী তাদের সমস্যা ও অভিযোগ তুলে ধরেন। তারা বলেন, টাকা না দিলে বিমানবন্দরের কাস্টমস কর্মকর্তারা কাজ করেন না, টাকা দিলে পণ্য ছাড়করণের সিরিয়াল আগে দেয়া হয়, ফ্লাইট মিস হলে টিকিট রি-ইস্যুর ক্ষেত্রে এয়ারলাইনসগুলো যাত্রীদের কোনো সহযোগিতা করে না।

যাত্রীদের অভিযোগের বিষয়ে বেবিচক চেয়ারম্যান বলেন, ‘সম্প্রতি বিদেশ যাওয়া যাত্রীদের ক্ষেত্রে আমরা স্বাস্থ্যবিধি ও স্বাস্থ্যসংক্রান্ত সমস্যা, এয়ারলাইনসসংক্রান্ত সমস্যা, ট্রাভেল এজেন্সির প্রতারণা, টিকিটের সময় থাকা সত্ত্বেও নতুন করে টিকিট কাটার জটিলতা, সময়মতো বিমানবন্দরে না আসা ইত্যাদি এমন বিষয়গুলো শনাক্ত করেছি। যথাযথ কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আমরা এ বিষয়গুলো নিয়ে আলোচনা করব।’

গণশুনানিতে বিমানবন্দরের নির্বাহী পরিচালক গ্রুপ ক্যাপ্টেন এএইচএম তৌহিদ-উল আহসানসহ বিভিন্ন এয়ারলাইনসের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।

এ বিভাগের আরো খবর