জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নাতনি ও ব্রিটিশ এমপি টিউলিপ সিদ্দিকের গাড়িতে হামলার ঘটনায় কাউকে দোষারোপ করতে চান না প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তবে ঘটনাটিকে দুঃখজনক বলেছেন তিনি।
জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের ৭৬তম অধিবেশন ও সাইডলাইনে অংশ নেয়া উচ্চপর্যায়ের আলোচনার বিষয়ে জানাতে সোমবার সংবাদ সম্মেলন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সেখানে তিনি ব্রিটিশ এমপি টিউলিপ সিদ্দিকের গাড়ি ভাঙচুর বিষয়ে এমন কথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘বাংলাদেশের অনেক সাজাপ্রাপ্ত আসামি, সাজাপ্রাপ্ত যুদ্ধাপরাধীদের সন্তানদের বহুজনের আবাস ইংল্যান্ডে। সেখানে একজন ব্রিটিশ এমপির গাড়িতে হামলা। সে শুধু বঙ্গবন্ধুর নাতনিই নয়, একজন এমপিও।
‘এরা কী জাতীয় লোক? ইংল্যান্ডের মতো জায়গায়, একটি সভ্য জায়গায় এ ধরনের অসভ্য ঘটনা ঘটে। সেখানে তো কিছু লোক আছেই। এটা দুঃখজনক। আমি কাউকে দোষারোপ করতে চাই না, এটা ব্রিটিশ সরকার খুঁজে দেখবে।’
গত বুধবার স্থানীয় সময় রাতে ব্রিটিশ লেবার পার্টির এমপি টিউলিপ সিদ্দিকের গাড়িতে ভাঙচুর করা হয়। তার বাড়ির বাইরে পার্ক করা গাড়িটির ছাদে রাজনৈতিক বার্তাও লিখে যায় দুর্বৃত্তরা। পাশাপাশি ভেঙে ফেলা হয় জানালার কাচ।
ব্রিটিশ বেশ কিছু সংবাদমাধ্যমের খবরে বলা হয়, বুধবার রাতে ব্রাইটনে লেবার পার্টির বার্ষিক সম্মেলন শেষে বাসায় ফেরেন লন্ডনের হ্যাম্পস্টেড ও কিবার্নের এমপি টিউলিপ। পরের দিন সকালে ব্যক্তিগত কাজে বাইরে যাওয়ার জন্য গাড়ির কাছে গিয়ে ভাঙচুর অবস্থায় দেখতে পান।
এটাকে ‘উদ্দেশ্যমূলক হামলা’ বলে উল্লেখ করে টিউলিপ জানান, গাড়ি ভাঙচুর করলেও কিছু চুরি হয়নি। বলছেন, এ হামলার পরও তিনি প্রতিবাদী অবস্থানেই অনড় থাকবেন।
এ ঘটনার পর লেবার পার্টি থেকে ইতিবাচক অনেক বার্তা পেয়েছেন টিউলিপ। হাউস অফ কমন্সের স্পিকার স্যার লিন্ডসে হলি ফোনও করেছেন তাকে।
২০১৫ সাল থেকে লন্ডনের হ্যাম্পস্টেড ও কিলবার্নের এমপি হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন শেখ রেহানার কন্যা টিউলিপ সিদ্দিক। ২০১৬ ও ২০১৭ সালে তিনি ব্রিটিশ সরকারের চিলড্রেন ও আর্লি ইয়ার্স ডিপার্টমেন্টে ছায়া মন্ত্রী হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছেন।