বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

টিকার ২৫ ডোজ পানিতে, একজনকে অব্যাহতি

  •    
  • ৪ অক্টোবর, ২০২১ ১৯:৫৬

কাউন্সিলর আতাউর রহমান চৌধুরী বলেন, ‘৮ নম্বর ওয়ার্ডে আমার কার্যালয়ে মঙ্গলবার টিকা কেন্দ্র স্থাপন করে গণটিকা দেয়া হয়। টিকা কার্যক্রম শেষে এদিন বিকেলে টিকার বাক্স, টিকাদানের কাগজপত্র ফেলে রেখে যায় কর্তৃপক্ষ। রোববার রাতে বিষয়টি জানালে সোমবার দুপুরে সব সরঞ্জাম নিয়ে যান তারা। তখনই বেঁচে যাওয়া ২৫ ডোজ টিকা নষ্ট হয়ে যাওয়ার বিষয়টি জানাজানি হয়। ’  

সংরক্ষণের অভাবে মৌলভীবাজারের কুলাউড়ায় গণটিকার ২৫ ডোজ নষ্ট হয়ে গেছে। পৌর শহরের ৮ নম্বর ওয়ার্ডের টিকা কেন্দ্র থেকে সোমবার দুপুরে নষ্ট হয়ে যাওয়া টিকাগুলো ফেরত নেয়ার পর বিষয়টি জানাজানি হয়।

উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ফেরদৌস আক্তার বলছেন, ভুলবশত ঘটেছে এ ঘটনা।

বিষয়টিকে দায়িত্বে চরম অবহেলা উল্লেখ করে জেলা সিভিল সার্জন চৌধুরী জালাল উদ্দিন মোর্শেদ জানান, ইতোমধ্যে ভ্যাকসিন সরবরাহকারী (পোর্টার) টুকু দে-কে অব্যাহতি দেয়া হয়েছে।

উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সূত্রে জানা যায়, ২৮ সেপ্টেম্বর উপজেলার ১৩ ইউনিয়ন ও পৌরসভার ৯ ওয়ার্ডে গণটিকার প্রথম ধাপে ১০ হাজার টিকা বরাদ্দ হয়। ওয়ার্ড প্রতি বরাদ্দ পায় ২০০ ডোজ।

উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ফেরদৌস আক্তারের তত্ত্বাবধানে ওই ৯ ওয়ার্ডের সুপারভাইজারের দায়িত্ব পান সহকারী স্বাস্থ্য পরিদর্শক (এইচ আই) আব্দুল আওয়াল।

২৮ সেপ্টেম্বর পৌরসভার ৮ ওয়ার্ডে ২০০ জন করে টিকা পেলেও ৮ নম্বর ওয়ার্ডে টিকা নেন ১৭৫ জন। ব্যবহার না হওয়া ২৫ ডোজ টিকা রয়ে যায় টিকা কেন্দ্রে।

৬ দিন পর রোববার ৮ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর আতাউর রহমান চৌধুরী তার কার্যালয়ে টিকার কিছু সরঞ্জাম পড়ে থাকতে দেখে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে খবর দেন। সোমবার দুপুরে কমপ্লেক্সের কর্মকর্তারা সরঞ্জাম নেয়ার সময় অব্যবহৃত টিকাগুলোর সন্ধান পান। তবে ততদিনে সংরক্ষণের অভাবে নষ্ট হয়ে গেছে ২৫ ডোজ টিকা।

কাউন্সিলর আতাউর রহমান চৌধুরী বলেন, ‘৮ নম্বর ওয়ার্ডে আমার কার্যালয়ে মঙ্গলবার টিকা কেন্দ্র স্থাপন করে গণটিকা দেয়া হয়। টিকা কার্যক্রম শেষে এদিন বিকেলে টিকার বাক্স, টিকাদানের কাগজপত্র ফেলে রেখে যায় কর্তৃপক্ষ। রোববার রাতে বিষয়টি জানালে সোমবার দুপুরে সব সরঞ্জাম নিয়ে যান তারা। তখনই বেঁচে যাওয়া ২৫ ডোজ টিকা নষ্ট হয়ে যাওয়ার বিষয়টি জানাজানি হয়। ’

এ বিষয়ে টিকা কার্যক্রমের সুপারভাইজারের দায়িত্বে থাকা উপজেলা স্বাস্থ্য বিভাগের স্বাস্থ্য পরিদর্শক মো. আব্দুল আউয়াল বলেন, ‘আমার দায়িত্ব টিকা কার্যক্রম সুষ্ঠু হচ্ছে কিনা সেটা দেখা। ওইদিন বিকেলে খবর পাই ওই ওয়ার্ডে ১৭৫ জনকে টিকা দেয়া হয়েছে। টিকা বাকি আছে কিনা জানতাম না।’

উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ফেরদৌস আক্তার দায় স্বীকার করেছেন। তিনি বলেন, ‘ঘটনাটি ভুলবশত হয়ে গেছে। ইচ্ছে করে তো কেউ রাষ্ট্রীয় সম্পদ নষ্ট করতে চায় না।’

মৌলভীবাজার জেলা সিভিল সার্জন চৌধুরী জালাল উদ্দিন মোর্শেদ নিউজবাংলাকে বলেন, ‘বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। এটি অবশ্যই দায়িত্বহীনতা। গাফিলতির জন্য টিকা নষ্ট হলো। ইতোমধ্যে টিকা বহনকারীকে অব্যাহতি দেয়া হয়েছে।’

এ বিভাগের আরো খবর