ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগর উপজেলা যুবদলের ৩১ সদস্যের নবগঠিত আহ্বায়ক কমিটির সদস্যসচিব ও ৯ যুগ্ম আহ্বায়কসহ ২৫ জন পদত্যাগ করেছেন।
বিতর্কিত ব্যক্তিকে আহ্বায়ক করার অভিযোগে তারা কমিটি থেকে পদত্যাগ করেন বলে জানিয়েছেন।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেস ক্লাব মিলনায়তনে সোমবার দুপুরে সংবাদ সম্মেলনে নতুন কমিটির সদস্যসচিব নাসির উদ্দিন পদত্যাগের কথা জানান।
তিনি জানান, ১২ সেপ্টেম্বর নাসিরনগর উপজেলা যুবদলের ৩১ সদস্যের আহ্বায়ক কমিটি অনুমোদন দেয় কেন্দ্রীয় কমিটি। কমিটিতে বিএনপিপন্থী পরিবারের এক সদস্যকে খুনের মামলার আসামি, আওয়ামী লীগের মদদপুষ্ট ও গত ১০ বছর ধরে রাজনীতি থেকে বিচ্ছিন্ন বিতর্কিত মীর মোস্তফা জালালকে আহ্বায়ক করা হয়েছে। উপজেলা যুবদল নেতা-কর্মীর মতামত উপেক্ষা করে এই ব্যক্তিকে আহ্বায়ক করা হয়।
পদত্যাগ করা ২৫ জনের অন্যরা হলেন যুগ্ম আহ্বায়ক জামাল আহমেদ, মাসুদুর রহমান চৌধুরী, ইয়াছিন পাঠান, জিয়াউল করিম সোহেল, রুহুল আমিন, তৌহিদুল ইসলাম, আবদুল হান্নান ও মোশাররফ তালুকদার।
সদস্যরা হলেন তুষার মোল্লা, ছাদেকুর রহমান, মিজান ভূইয়া, জিয়াউর রহমান, সোহাগ ভূইয়া, ইসমাইল মীর, গোলাম মোহাম্মদ সেলিম, আবদুল মতিন, মুখলেছুর রহমান, মাহফুজুল ইসলাম, ফরিদ খাঁ ফয়েজ, গোলাম জালাল, আরিফ আহমেদ, জিল্লুর রহমান, আমিনুল ইসলাম মুনির ও শেখ হোসাইন আহমেদ।
নাসির উদ্দিন জানান, মীর মোস্তফা জালালকে আহ্বায়ক পদ থেকে সাত দিনের মধ্যে অব্যাহতি দেয়ার জন্য তিনি কেন্দ্রীয় যুবদলের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদককে পত্র দিয়েছিলেন। ১০ দিনেও তারা সুরাহা না করায় ৩১ সদস্যের কমিটির ২৫ জন পদত্যাগ করেছেন। সবার পদত্যাগপত্র কেন্দ্রে পাঠিয়ে দেয়া হয়েছে।
সংবাদ সম্মেলনে কমিটির যুগ্ম আহ্বায়ক জামাল আহমেদ, মাসুদুর রহমান চৌধুরী, ইয়াছিন পাঠান, জিয়াউল করিম সোহেল, রুহুল আমিন, তৌহিদুল ইসলাম, আবদুল হান্নান, সদস্য ছাদেকুর রহমান, গোলাম মোহাম্মদ সেলিম ও আমিনুল ইসলাম মুনির উপস্থিত ছিলেন।
এ বিষয়ে উপজেলা যুবদলের আহ্বায়ক মীর মোস্তফা জালাল বলেন, ‘আমি নাসিরনগর উপজেলা ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক ও জেলা ছাত্রদলের সহসভাপতি ছিলাম। আমি নিষ্ক্রিয় হলাম কীভাবে?’
তিনি বলেন, ‘২০২০ সালের ফেব্রুয়ারিতে কেন্দ্রীয় যুবদলের সাংগঠনিক টিম নাসিরনগর সফর করে ইউনিয়ন, ওয়ার্ড ও উপজেলা যুবদল নেতা-কর্মীদের সঙ্গে বৈঠক করে আমাদের সিভি নিয়ে যায়। আমি ওই বৈঠকে উপজেলা যুবদলের একক সভাপতি প্রার্থী হই।
‘১০ বছর ধরে উপজেলা যুবদলের কমিটি সাংগঠনিক কার্যক্রম চালাতে ব্যর্থ এবং ওই কমিটির মেয়াদ শেষ হয়ে যাওয়ায় ১২ সেপ্টেম্বর আমাকে আহ্বায়ক করে ৩১ সদস্যের কমিটি দেয় কেন্দ্রীয় কমিটি। সংবাদ সম্মেলনের কথা শুনেছি।’
জেলা যুবদলের সাধারণ সম্পাদক ইয়াসিন মাহমুদ জানান, পদত্যাগকারীদের অভিযোগ আহ্বায়ক বিষয়ে, কমিটি নিয়ে নয়। বিষয়টি সমাধানের চেষ্টা চলছে।